নাটক রিভিউ: //চিটার এন্ড জেন্টেলম্যান ১ম পর্ব//

আচ্ছা প্রথমে নাটকটি রিভিউ করার পূর্বে নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্যারেক্টার এর সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেই। নাটকের প্রধান ক্যারেক্টার---

• নায়ক: আখম হাসান
• নায়িকা: সালমা খানম নাদিয়া

ড্রামা	চিটার এন্ড জেন্টেলম্যান
রচনা ও পরিচালনা	সঞ্জিত সরকার
অভিনয়ে	আখম হাসান, সালমা খানম নাদিয়া,আরফান আহমেদ, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর,রিমি করিম, নাবিলা তুষ্টি, কুসুম,আরো অনেকেই‌।
সম্পাদনা	শেখ মোঃ বুরহান উদ্দিন
প্রযোজক	আব্দুল কুদ্দুস মিয়া
ব্যবস্থাপনা	জয় বিশ্বাস
গ্ৰাফিক্স	নাকিবুর রহমান টিটু
সহকারী পরিচালক	শরিফুল কবির মানিক
ভাষা	বাংলা
দৈর্ঘ্য	২১ মিনিট ২৭ সেকেন্ড
দেশ	বাংলাদেশ

নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী

প্রথমে নাটকটি শুরু হয় মেম্বার তার মা-কে বলে যে মা পরিষদে গেলাম দোয়া কইরো। এই কথা বলে সে তার বাসা থেকে বের হতে না হতেই তার বড় বোন জামাই এর দেখা তার বোন জামাই অর্থাৎ মেম্বারের দুলাভাই।সে তার সালাকে বলতেছে যে ঐ আদব কায়দা কি সব খেয়ে ফেলছো নাকি? বাড়ির মধ্যে একজন মুরুব্বী ঘোরাঘুরি করতেছে তার কোন সম্মান নাই আমার কথার কি তোমার কাছে কোন দাম নাই? তারপর তার শালা তার দুলাভাইকে বলতেছে যে তুমি দাম রাখার মত কি কোন কাজ করো। তুমি একটা কথা ঠিকঠাক মাথায় নাও। তুমি এই পরিবারের জন্য কোন চিন্তা করো। এইসব না করে তুমি এই বাড়ি সাহেবদেরকে দেওয়ার জন্য তুমি পাগল হয়েছো। তারপর তাদের মাঝে আরো অনেক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় এরপর মেম্বার অর্থাৎ তার শালা বলে যে আমি আমার এই বাড়ি কোনদিন বিক্রি করবো না এমনকি কেউ যদি বিক্রি করতে চায় তাকেও বিক্রি করতে দেবো না।

এরপর একজন রাস্তা দিয়ে ফোনে কথা বলতে বলতে চাইতেছে হঠাৎ ঐ রাস্তা দিয়ে মেম্বারের বোন অর্থাৎ কুসুম যাইতেছিল সিনেমা দেখার জন্য। তারপর ওই ছেলে জিজ্ঞেস করল যে তুমি কি একাই সিনেমা দেখতে যাবা নাকি তোমার সঙ্গে কেউ যাবে? তার প্রশ্নের জবাবে কুসুম বলল যে আমার সঙ্গে আমার বন্ধু যাবে। আবার ঐ ছেলে বলতেছে যে ছেলে বন্ধু না মেয়ে বন্ধু। তারপর কুসুম বললো যে মেয়ে বন্ধু নিয়ে কি কেউ সিনেমা দেখতে যায় ছেলে বন্ধু নিয়ে সিনেমা দেখতে যাবো। তারপর তাদের মাঝে আরো অনেক বিষয় নিয়ে কথা হয়।এরপর কুসুম সেখান থেকে চলে যায় সিনেমা দেখার উদ্দেশ্যে। এরপর সালা দুলাভাইয়ের মধ্যে জমা জমি নিয়ে অনেক কথা কাটাকাটি হয় তারপর মেম্বার বলল যে যতদিন আমার আম্মা বেঁচে আছে ততদিন আমি ওই জমি কাউকে বিক্রি করতে দিব না। তারপর তার দুলাভাই তার শালাকে বলতেছে যে একশন একশন ডাইরেক একশন আমি এখনে এই জমি বিক্রি করব। তারপর তাদের মাঝে আরো অনেক কথা হয়। এক পর্যায়ে তার দুলাভাই বলতে লাগলো আম্মাজান আম্মাজান আপনি বড়ই মেহেরবান এই কথা বলতে বলতে সে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে।

তারপর মেম্বার বাসা থেকে বের হয়ে যায় পথিমধ্যে তার বন্ধু অর্থাৎ আখম হাসান এর সাথে রাস্তায় দেখা হয় তখন মেম্বার সাহেব তার বন্ধুকে বললো যে খারা খারা। তারপর আখম হাসান বলল যে বেইমান। তুই ষড়যন্ত্র করিয়া আমাকে ধরিয়ে দিয়েছিস। তোরে আমি কত খাটাখাটনি কইরা মেম্বার বানাইছি বরঞ্চ তুই আমারে ষড়যন্ত্র কইরা জেলখানায় পাঠাইছোস। তুই আমার নামে মামলা করছোস। তারপর এক পর্যায়ে আখম হাসান বলল যে তুই মেম্বার বন্ধু থাকতে আমাকে জেলে যাইতে হইল কেন তুই যদি আমার নামে মামলা না করে থাকিস । তারপর তার মেম্বার বন্ধু বলল যে আমি একজন জনপ্রতিনিধি, তুমি যে এত কথা বলতেছো না তোমার যে আরেকজন জানে জিগার বন্ধু আছে না তুমি তারে গিয়া জিগাও যে তোমারে জেলে কে ঢুকাইছে। তারপর আখম হাসান বলল যে ওই বুলেট ওর আজকে খবর আছে এই কথা বলে সে যাত্রা শুরু করলো। তারপর যাইতে না যাইতেই রাস্তায় আখম হাসান দেখতে পেলেন তার চাচা লাঠি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে তার পথ আটকানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আখম হাসান বলতেছেন যে চাচা আমি খুব ঝামেলার মধ্যে আছি আমার ছাড়েন। তখন তার চাচা বলল যে আগে তোর জান কবজ করমু তারপর পথ ছাড়মু।

তারপর তাদের মাঝে লাঠি নিয়ে একটু হাতাহাতি হয়।এক পর্যায়ে আখম হাসান তার চাচার লাঠি কেড়ে নেয়।পরে যাওয়ার সময় সে তার চাচার লাঠি তার চাচাকে ফেরত দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। মেম্বার পুকুর পার হয়ে পরিষদে যাওয়ার জন্য রওনা দেয়। কিন্তুু পুকুর পাড় হওয়ার সময় তার প্রেমিকার দেখা হয় । আসলে মেম্বার যে মেয়ের সাথে প্রেম করে সে মেয়ের বাবা আবার ঐ গ্ৰামের চেয়ারম্যান,তাই তার একটু ভাব বেশি। এরপর তারা একে অপরের সাথে কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে চেয়ারম্যানের মেয়ে অর্থাৎ মেম্বারের প্রেমিকা রাগ করে সেখান থেকে চলে যেতে চায়। কিন্তু অনেক ছলে বলে মেম্বার তাকে আটকায় কিন্তু শেষে তার প্রেমিকা তাকে অনেক গালিগালাজ করে।

আমার ব্যক্তিগত মতামত

আর টিভি কে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদেরকে এতো সুন্দর একটা ধারাবাহিক নাটক উপহার দেওয়ার জন্য।নাটকটা দেখে অনেক ভালো লেগেছে আমার। তাই তো আপনাদের মাঝে রিভিউ করতে চলে আসলাম। আপনারা যারা এই নাটকটি দেখেন নি তাদেরকে এই নাটকটি দেখার অনুরোধ রইল। আপনারা সময় করে এই নাটকটি দেখে নিয়েন। যেহেতু এই নাটকে আখম হাসান আছেন , আশা করছি আপনাদের ও এই নাটকটি বেশ ভালো লাগবে। এবার যদি রেটিং এর কথায় আসি তাহলে আমি এটিকে ১০/০৮ দিব।

বি:দ্র: উপরের সব কটি ফটোগ্ৰাফি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে এবং নাটকের লিঃক টিও ইউটিউব থেকে কপি লিংক করা হয়েছে ।

🔗নাটকের লিঃক🔗