বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যর সাথে জড়িয়ে আছে এমন বিভিন্ন স্থান। 🏰🏯🏰
হ্যালো বন্ধুরা।
সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি।
আশা করি আপনারা যে যেখানে রয়েছেন সবাই সুস্থ,সুন্দর রয়েছেন আর Steem For Tradition এর সাথেই রয়েছেন।
আজকে আমি আপনাদের সাথে আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন স্থান এর কিছু তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
পুরান ঢাকার অন্যতম এক ঐতিহ্যর নাম আহসান মঞ্জিল। এই স্থাপনাটি পুরান ঢাকার ইসলামপুরে অবস্থিত। এক এর সামনেই রয়েছে বুড়িগঙ্গা নদী। এই স্থাপনাটি একসময় জমিদারদের কাচারি বলে পরিচিত ছিল। ১৮৫৯-১৮৭২ প্রায় ১৩ বছর জাবত এই ভবনের নির্মাণ কাজ চলে। সেই সময় এই ভবনের মত এত সুন্দর ভবন আর কোথাও ছিল না। এই ভবন্টির গম্বুজ, মূল গেট সহ সকল কারুকাজ আহসান মঞ্জিল দেখতে আসা প্রায় প্রতিটি মানুষকে বিমোহিত করে। ভবনের ভেতর নাচঘর, ভোজনলায়, বৈঠকখানা, পাঠাগার সহ বিভিন্ন কক্ষ রয়েছে। মারবেল পাথরের বারান্দা, রানীগঞ্জের ইট আর ইঞ্জিনিয়ার গোবিন্দ চন্দ্রের সুনিপুন দক্ষতা একে স্থাপত্য শিল্পের এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থী আহাসান মঞ্জিল ও এর ভেতরে অবস্থিত যাদুঘর দেখতে ভিড় জমায়। এটি আমাদের ঐতিহ্যর অন্যতম অংশ।
ঐতিহাসিক চুনাখোলা মসজিদ বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত একটি মসজিদ। বিখ্যাত ষাটগম্বুজ মসজিদের অদুরেই অবস্থিত এই মসজিদটি অনেকের কাছেই অপ্রিচিত মনে হলেও এটি আমাদের ইথিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।চুনাখোলা নামক গ্রামে অবস্থিত বলেই এই মসজিদের নামকরন করা হয়েছে চুনাখোলা মসজিদ। এক গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটি চুন,সরকি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। মসজিদের পাচটি দরজা রয়েছে। এছাড়াও লাল ইটের উপর কারুকাজ ও বিভিন্ন ধরনের স্থাপত্য শিল্প এই ঐথিহ্যবাহী মসজিদের এক অন্যতম আকর্ষণ।
বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অন্যতম পরিচায়ক হলো সংসদ ভবন। লুই আই কানের নকশা ও দক্ষতা এটিকে বিশ্বের অন্যতম স্থাপত্যর এক্টিতে পরিনত করেছে। ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই স্থাপনা। মুল প্লাজা, দক্ষিন প্লাজা আর রষ্ট্রপতি প্লাজা এই তিন ভাগে বিভক্ত এই ভবনটি। ১৯৬১-১৯৮২ সাল পর্যন্ত এই ভবনের নির্মাণ কাজ চলে। মূল্যবান ইট,পাথর আর নকশা একাকার হয়ে এই ভবনটিকে খবই আক্রষনীয় করে তুলেছে। এই প্লাজার মূল অংশেই রয়েছে অধিবেশন কক্ষ। এখানে ৩৫০ টি আসন রয়েছে সংসদ সদস্যদের জন্য। এই ভবনটি দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তই নয় এমনকি বিভিন্ন দেশ থেকেও মানুষ আসে এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
পুঠিয়া রাজবাড়ি এটি রাজশাহী জেলার পুঠিয়ায় অবস্থিত। বাংলাদেশের ঐতিহ্যর একটি অংশ এই রাজবাড়ি আমাদের অনেকের কাছেই অপরিচিত। ১৮৯৫ সালে হেমন্তকুমারী নামের এক মহারানী এই রাজবাড়ী নির্মাণ করেন।এই রাজবাড়িটি পাচানি জমিদার বাড়ি হিসেবেও পরিচিত। রাজবাড়ির সামনের স্তম্ভ, এর ভেতরের দেয়ালের কারুকাজ, এছাড়াও বিভিন্ন কাঠের আসবাবের উপর অংকিত চিত্রকর্ম আগত দর্শনার্থীদের বিমোহিত করে। এই রাজবাড়িরটির তেমন নাম ডাক না থাকলেও দীর্ঘদিন ধরেই এটি আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্যর আর সংস্কিরতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
খান জাহান আলী নির্মিত ষাট গম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম। বাগেরহাট জেলার নাম এলেই যে স্থানের নামটি সবার আগে আসে তা হল ষাট গম্বুজ মসজিদ। এই মসজিদটি কত সাল থেকে কত সাল পর্যন্ত নির্মাণ হয় তার আসল ইতিহাস জানা জায় না । তবে এটি ১৫ শতাব্দীর দিকে নির্মাণ করা হয় বলে ধারনা করা হয়। রাজমহল থেকে আনা দামী পাথর, ইট আর স্থাপত্য শিল্পের সুনিপুন দক্ষতা এটিকে খুবই আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এই মসজিদের সামনে রয়েছে বিশাল দিঘী। মসজিদের সৌন্দর্য বিবেচনায় ইউনেস্কো এটিকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর একটির মর্যাদা দিয়েছে।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রান উৎসর্গ কারী ৩০ লক্ষ শহিদের স্মৃতি রক্ষায় নির্মিত হয় এই মহান স্থাপনা জার নাম স্মৃতিসৌধ। ঢাকার সাভারের নবীনগরে অবস্থিত আমাদের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এর নকশা করেন সৈয়দ মাইনুল হোসেন। প্রায় ২৪ একর জায়গা জুড়ে থাকা এই স্মৃতিসৌধ এলাকায় রয়েছে ১০ টি গণকবর, পুকুর, ফুলের বাগান, কয়েকশ প্রজাতির গাছ। যে কোন দেশের রাষ্ট্রপ্রাধান একে তারা এই স্মৃতিসৌধটিতে ফুল দিয়ে শহীদের সম্মান জানায়। ১৬ই ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ্রেই দিবস গুলোতে স্মৃতিসৌধ নতুন রুপে সাজানো হয়। প্রতদিন হাজারো মানুষের পদচারনায় মুখর থাকে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর স্বাধীনতার এক অন্যতম অংশ এই স্মৃতিসৌধ।
আমার অনেকদিনের ইচ্চাহ ঢাকা আহসান মঞ্জিল জাবো কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি। তবে যাব একদিন আশা আছে। আপনি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী স্থান গুলো নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুরান ঢাকার ঐতিহ্য বাহী স্থান এর মধ্যে একটি হলো আহসান মঞ্জিল। আপনি এই ঐতিহাসিক স্থাপনা নিয়ে অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখছেন ভাই। অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে। স্মৃতিসৌধ আমার কাছে অনেক সুন্দর লাগছে। আপনাকে ধন্যবাদ
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
বাহ ভাই আপনার পোস্ট পড়ে অনেক মজাই পেলাম। দেশের বিভিন্ন স্থানের ঐতিহ্যবাহী স্থান নিয়ে আপনি সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। আর সব গুলো ছবিই অসাধারণ হয়েছে। অনেক অজানা তথ্য আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাই
বাহ খুব সুন্দর লিখেছেন। ঢাকা পরাতন জায়গাগুলা তুলে ধরেছেন। বেশ সাজিয়ে গুছিয়ে লিখছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঐতিহ্যবাহী স্থান নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা নিয়ে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে ধাপে ধাপে লিখেছেন। আপনার পোস্টি অসাধারণ হয়েছে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি আপনার পোস্টে ঐতিহ্যগত জিনিসগুলোকে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। অনেক অজানা জিনিস জানতে পারলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে।ছবিগুলো বেশ ভালই হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্থান গুলো নিয়ে অসাধারণ লেখছেন ভাই আপনার ছবি তোলাও অনেক সুন্দর হয়েছে, আমি আহসান মঞ্জিল তার পর ষাট গম্বুজ মসজিদ এগুলোর নাম শুনছি কিন্তু এখনো দেখি নাই, আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন, আপনার পোস্ট পরে আমাকে খুব ভালো লাগলো,আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক কয়েকটি পুরাতন স্থাপনা নিয়ে আপনি লিখেছেন ভাই। এর মধ্যে কয়েকটি স্থাপনা দেখার সুযোগ আমার হয়েছে। আপনার পোস্ট কোয়ালিটি যথেষ্ট ভালো। ভালো লিখেছেন ভাই শুভকামনা রইল
আপনাদের অনুপ্রেরণা পেলে ভবিষ্যতে আরো ভালো পোস্ট করতে পারবো বলে আশা করি। আপনাকে ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।
খুবই সুন্দর উপস্থাপনা। যে স্থাপনাগুলো সম্পর্কে লিখেছেন প্রতিটিই আমাদের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্কিত। ষাট গম্বুজ মসজিদ বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। প্রতিটি স্থাপনা সম্পর্কে সুন্দর কিছু তথ্য শেয়ার করেছেন।