অনেকদিন পরে পদ্মা নদীর তীরে
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ashikur50 বাংলাদেশের নাগরিক।
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।
আমাদের কমিউনিটির সবাই খুব সুন্দর সুন্দর পোস্ট করে, তেমনি আমিও আজকে আপনাদের সামনে একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।
আজ আমি আপনাদের মাঝে অনেকদিন পর পদ্মা নদীর তীরে ঘুরতে যাওয়ার গল্পটা শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে। আগে আমরা বন্ধুত্ব ছোট ভাইয়েরা বিকেল হলেই পদ্মা নদীর তীরে ঘুরতে যেতাম। মাঝে মাঝে তো পদ্মা নদীর তীরে পিকনিক করতাম এবং বিভিন্ন মজা মাস্তি করতাম। এখন সবাই সবার মত কর্মব্যস্ত কারো কোন সময় নেই।
Device : redmi note 13 pro plus
What's 3 Word Location: https://w3w.co/umbilical.boulevard.downswing

Device : redmi note 13 pro plus
What's 3 Word Location: https://w3w.co/umbilical.boulevard.downswing

Device : redmi note 13 pro plus
What's 3 Word Location: https://w3w.co/umbilical.boulevard.downswing
কয়েকদিন যাবত এই গরমের সময় বেশ ঠান্ডা পড়ছিল। দিনের বেলা ঠান্ডা বেশি একটা না থাকলেও রাতে বেশ ঠান্ডা ছিল। এইজন্য রোজার মধ্যে তেমন একটা কোথাও যা হয়নি। আজকে ২-৩ দিন যাবত বেশ গরম অনুভব করছি। কাল হঠাৎ পদ্মা নদীর তীরে ঘুরতে যাওয়ার চিঠি গুলো মনে পড়ছিল কিন্তু যাদের সাথে ঘুরতে যেতাম তাদেরকে আর পেলাম না। হঠাৎ ফেসবুকে মেসেঞ্জারের একটিভ লিস্টে পেলাম স্কুল জীবনের একটি বন্ধু নাম তার বাবু। আমরা সবসময় আদর করে বাবুসোনা বলে ডাকতাম। ও এখন বেকার বাড়িতেই ঘুরছে চেষ্টা করছে বিদেশে যাওয়ার। সেদিন কথা হল শুনলাম কাগজ পাতি নাকি সব ঠিক হয়ে গেছে হয়তোবা ঈদের পরেই ওর ফ্লাইট। তো ভাবলাম ও তো ফ্রি আছে ওর নিয়ে ঘুরতে গেলে মন্দ হয় না। ঝটপট মেসেঞ্জারেই বাবুকে কল করলাম। বললাম চল বন্ধু নদীর দিকে যাই অনেকদিন তো নদীর দিকে যাওয়া হয় না। ওই নদীর তীরকে সাধারণত পদ্মার চোর বলা হয়ে থাকে আমাদের এই দিকে। তো আমি ওইভবে বললাম চল পদ্মায় চলে যাই। বলতে না বলতে ও রাজি হয়ে গেল। তারপরে আমি আমার বাইকটা নিয়ে ওর বাসার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। এবং সাথে সাথে ফোন করলাম তো ঝটপট রেডি হয়ে চলে আসলো। তারপরে আমি বাইকটা বাবুকে চালাতে দিয়ে পিছনে আরামসে বসলাম। কারণ অনেকদিন পিছনে বসা হয় না সব সময় আমার বন্ধু সুমন আমাকেই চালাতে দেয় ও শুধু পিছনে বসবে। এজন্য আর বাবুকে পেয়ে পিছনে বসার সুযোগটা আর হাতছাড়া করলাম না। বাবুকে আমি বললাম বন্ধু খুব আস্তে আস্তে বাইক চালাবি আমরা এই সবুজ প্রকৃতি দুপাশে ফসল মাঝে মেঠো পথ এই প্রকৃতির ফিল নিব। এই বলতে বলতে আমরা আস্তে আস্তে যেতে থাকলাম। যত আঘাতে থাকি ততই যেন সুন্দর্যটা বেড়ে উঠছে। দু'পাশের সবুজ ধানের ক্ষেত মাছ দিয়ে মেঠো পথ। ধানের ক্ষেতে কৃষকেরা কাজ করছে। আবার অনেকেই সারাদিন মাঠে গরু চরিয়ে বাড়ি ফিরছে। আহ কি দৃশ্য এমন দৃশ্য গ্রাম ছাড়া কখনোই উপভোগ করা সম্ভব না। শহরে তো ইট বালিশ শহর চারিদিকে শুধু বর্বর অট্টলিকা এবং গাড়ির হর্ন। অসহ্যকর একটি পরিবেশ আর এমন সবুজ পরিবেশের মধ্যে আসলে মনটা নিমিষেই ভালো হয়ে যায়। আমি ছোটবেলা থেকেই গ্রামে মানুষ হয়েছি আর গ্রাম আমার খুবই ভালো লাগে। এজন্য শহরে গেলে বেশি সময় আমার মন টেকে না। শুধু মন চায় ছুটে যায় আমার সেই সবুজ শ্যামল গ্রামে। যেখানে নেই কোন গাড়ির যানজট নেই কোন বড় বড় অট্টলিকা শুধু সবুজ আর সবুজ। চারিদিকে পাখিদের কিচির মিছিল ডাক এবং অসাধারণ পরিবেশ।
Device : redmi note 13 pro plus
What's 3 Word Location: https://w3w.co/umbilical.boulevard.downswing

Device : redmi note 13 pro plus
What's 3 Word Location: https://w3w.co/umbilical.boulevard.downswing
এসব কথা চিন্তা করতে করতেই তুই বন্ধু এই কথা থাকি এবং একসময় আমরা পদ্মা নদীর পাড়ে পৌঁছে যাই। মূলত আমরা একটু দেরি করে বের হয়েছিলাম এজন্য আসল যে পদ্মা নদী সেখানে যেতে পারিনি। আসলে আমাদের এখানে পদ্মা নদীর কয়েকটা শাখা আছে সব থেকে একটা আছে অনেক বড় তার থেকে আর একটা একটু ছোট তারপরে আর একটু একটু ছোট। সাধারণত পদ্মার পরে এই ছোট পদ্মা শাখা কে আমাদের গ্রামের ভাষায় কোল বলা হয়ে থাকে। তাই আমরা সময়ের জন্য দ্বিতীয় টায় গিয়ে বসলাম। আগে এটাও অনেক বড় ছিল প্রায় সবসময়ই পানি থাকতো। কিন্তু এখন আর আগের মত পানি থাকে না পদ্মার পানি শুকিয়ে সেখানে ধান চাষ হয়ে থাকে। সেই নদীর তিল আর আগের মত পাওয়া যায় না। মনে হয় কোন একটা মাঠের মধ্যে এসে বসেছি মাঝে শুধু ছোট্ট একটি পানির নালা। কিন্তু আমরাই ছোটবেলায় দেখেছি পদ্মার সেই যৌবন। সবসময়ই প্রায় পানিতে থৈ থৈ করত। দেখলেই অনেক ভয় লাগতো কত জেলেরা এখানে মাছ মারত সেই সময় অনেক টাটকা পদ্মার মাছ পাওয়া যেত প্রায় সবসময়ই। আর এখন শুধু বর্ষার সময় টাটকা পদ্মার মাছ পাওয়া যায়। সত্যিই সেই দিনগুলো খুবই মিস করে থাকি আমি কিন্তু এই পদ্মা নদীতে এই সাঁতার শিখেছি নৌকা চালানো শিখেছি।
Device : redmi note 13 pro plus
What's 3 Word Location: https://w3w.co/umbilical.boulevard.downswing
Device : redmi note 13 pro plus
What's 3 Word Location: https://w3w.co/umbilical.boulevard.downswing
আমার দাদাভাইয়ের একটি কাঠের ডিঙ্গি নৌকা ছিল। বিকেল হলেই বন্ধু এবং ভাই ব্রাদার মিলে নৌকা নিয়ে বের হতাম। কোন কোন দিন নদীর উত্তর দিকে আবার কোন দিন নদীর পশ্চিম দিকে। প্রথম প্রথম তেমন ভালো চালাতে পারতাম না কিন্তু পরে বেশ ভালো চালাত। সময়গুলো বেশ মধুর ছিল। এই সব গল্পই দুই বন্ধু করতে করতে কখন যে ছয়টা বেজে গেল বুঝতেই পারলাম না। গল্পের জন্য বেশি ফটোগ্রাফি করতে পারেনি যে আপনাদের সাথে সুন্দর দৃশ্যগুলো শেয়ার করব। তারপরেও যে দৃশ্যগুলো আমার ক্যামেরা মাধ্যমে ক্যাপচার করেছি আশা করি আপনাদের কাছে ভীষণ ভালো লাগবে। আজ তো অনেক কথা বললাম দেখা হবে তাহলে অন্য একটা দিনে অন্য একটি গল্প নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনাই রইল।
আমার পোস্টে ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ধন্যবাদ সবাই কে আমার পোস্ট টা পড়ার জন্য।
আমি মোঃ আশিকুর রহমান সোহাগ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ashikur50। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি।










পদ্মা নদীর তীরে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। কোলাকুল মুক্ত পরিবেশ ছেড়ে এরকম প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটাতে ভালোই লাগে। চমৎকার একটা জায়গায় সময় কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো খুবই মনমুগ্ধকর ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্টটি পড়ে আপনি খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বন্ধু বাবু এবং আপনি দুজনে মিলে পদ্মার চরে দারুন সময় কাটিয়েছেন। আদর করে বন্ধুর নামটা বেশ ভালোই দিয়েছেন। নামটা শুনে হাসি পেল। দুজন মিলে অনেকদিন পর পদ্মার চরে অনেক সুন্দর একটা সময় পার করলেন। নদীর চরে সময় কাটাতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। গ্রামের দৃশ্যগুলো আরো অপূর্ব হয়ে থাকে। দারুন দারুন ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ চমৎকার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
ওর নাম বাবু এজন্য বন্ধুরা আমরা সবাই মজা করে বাবুসোনা বলে ডাকতাম এবং ওর নাম নিয়ে বেশ মজা করতাম। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পদ্মা নদীর তীরে বন্ধুদের সঙ্গে আপনার কাটানো সময়ের স্মৃতিগুলো সম্পর্কে জেনে ভালোই লাগলো। । প্রকৃতির সৌন্দর্য, নদীর পাড়ে ছোট ছোট মুহূর্তগুলো সত্যিই অসাধারণ। আপনার গল্পে গ্রামের শান্ত পরিবেশের বর্ণনা হৃদয় ছুঁয়ে গেল। ছবিগুলোও অনেক সুন্দর হয়েছে, খুব ভালো লাগলো।
আসলেই নদীর তীরে মজাই আলাদা আর চারিদিকের পরিবেশ টা সাধারণ। ধন্যবাদ আপনাকে।
নদীর পাড়ে ঘুরতে এবং সময় কাটাতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আসলে পদ্মা নদীর অপরূপ সৌন্দর্য আপনি আপনার দক্ষতায় এত সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে।
PUSS Task এর বিষয়ে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে, ডিসকর্ডের Daily-Task চ্যানেলটি দেখে টাস্ক লিংক শেয়ার করার অনুরোধ করা হলো। এটা বাধ্যতামুলক, ধন্যবাদ।
পদ্মা নদীর তীরে অনেকদিন পরে গিয়েছেন এবং আজকে সেরকম একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালোই লাগছে৷ আসলে কোথাও আমরা যখন অনেকদিন পরে যাই তখন সেই মুহূর্ত একেবারে অন্য ধরনের হয়ে থাকে৷ আর আজকেও আপনি সেরকম একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন৷ এখানে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেক সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে৷