আমার আজকের দিনের কিছু কার্যক্রম।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার কিছু কাজের সম্পর্কে শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। অবশ্যই কোনো পরিকল্পনা ছিলো না যে আজকের দিনের কিছু কাজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। যখন মাথায় চলে আসলো তাই আপনাদের মাঝে কিছুটা ছবি শেয়ার করছি।
যাই হোক তিন মাস ধরে আমরা একটি কাজ নিয়ে সমস্যায় আছি। গতকাল জানতে পারি সেই কাজটি আজকে আমাদের করতে হবে। যাদের নিয়ে সমস্যা ছিলো তারা আজকে আমাদের সাথে থাকবে। যাই হোক সেখানে অবশ্যই আমাদের অল্প কিছু কাজ ছিলো। সেই কাজটি করতে করতে আমাদের আরো একটি কাজের সমস্যা হয়ে যায়। সেখানে ছিলো পানির লাইনের পাইপ যেটা আমরা নষ্ট করে ফেলি। সকালে কাজ শুরু করতে গিয়েই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।
যে কাজটি আমাদের অনেক দূরত্ব হয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। ঠিক সেই কাজটি করতে আমাদের বেলা বারোটা বেজে যায়। যাই হোক আমরা এভাবে বারোটা পর্যন্ত কাজ করে খাওয়া-দাওয়ার জন্য চলে এসেছিলাম। এবং আজকে রেস্ট টাইম করতে পারেনি কারণ এতটাই বেশি সমস্যা ছিলো। যাইহোক বারোটার মধ্যে আমরা সেই কাজ শেষ করে দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার জন্য রুমে চলে আসি।
রুমে এসে জানতে পারি আমাদের আজকে তার টানতে হবে। এটা কোনো আমাদের জন্য নতুন কিছু না কিন্তু সমস্যা ছিলো যে সব রুমে কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে সেখানে গিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। এবং সেখানে তার টানার জন্য আমরা কোনো পাইপ আগে থেকে দেয়নি। যে গুলো এখন আমাদের সব কিছু নতুন করে দিতে হবে। সেখানে গিয়ে কাজের অবস্থা দেখতে দেখতে নিজের কাছে অনেক ভয় লাগছিল।
কারণ ওপরে সব কিছু সিলিং করা আছে যে গুলো কাটতে এখন অনেক সমস্যা। আসলে সিলিং কাটলে তার গুঁড়া শরীরে এসে লাগলে চুলকায় অনেক। যেটা সত্যি আমার কাছে অনেক ভয় লাগছিল। কিন্তু যেহেতু আজকে এই কাজ আমাদের করতে হবে তাহলে ভয় করে কি হবে। সাথে আরেকটি ভাই ছিলো সে তার ঠিক ঠাক করছিল। এবং আমি সিলিং কাটার জন্য রেডি হয়ে পড়ি।
এই কাজ গুলো আসলে কারেন্টের মানুষের করার কথা ছিলো কিন্তু এখন আমাদের করতে হচ্ছে কোন একটি সমস্যার কারণে। যে কাজটি করতে আজকে অনেক কষ্ট হয়ে যায় আমাদের সবার। যাইহোক আমরা এসি এর আগে ফিট করে এসে ছিলাম সেখানে। আজকে লাইন দেওয়ার জন্য তার টানতে হয়েছিল। অবশেষে আমাদের কাজ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে যায় আজকে কাজ ছাড়তে।
যাই হোক কি রান্না করা যায় তাই ক্যান্টিনে চলে যায় সেখান থেকে আমরা। সেখানে গিয়ে আজকে বেশি ঝামেলায় যেতে চাইনি। তাই একটি মুরগি নিয়ে এসেছিলাম রুমে। তাই তাড়া তাড়ি করে ফ্রেশ হয়ে রুমে চলে আসলাম আমি এসে ঝাল পেঁয়াজ এবং যে সব জিনিসের আমার প্রয়োজন ছিলো সব গুলো কেটে রেখে দিয়েছি। এবং আরেক টি ভাই ছিলো সে মুরগি পরিষ্কার করতে চলে যায়। সে মুরগি পরিষ্কার করে এনে দেওয়ার পরে আমি রান্না করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি।
আসলে বাহিরে জীবন সব চেয়ে কষ্টের জীবন যখন সারাদিন পরিশ্রম করে এসে নিজেদের রান্না নিজেদের করতে হয়। সারাদিন পরিশ্রম করে যতটা না কষ্ট হয় তার চেয়ে অধিক বেশি কষ্ট হয় রান্না করতে। কিন্তু কি আর করার এভাবে রান্না তো করতেই হবে না হলে না খেয়ে থাকতে হবে আমাদের। যাইহোক বন্ধুরা এটা ছিলো আমার আজকের অল্প কিছু কাজের অংশ।
মাশাআল্লাহ, ভাই, আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম দিনটি আপনার জন্য খুবই ব্যস্ত এবং চ্যালেঞ্জিং ছিল। কঠোর পরিশ্রম আর সমস্যার মধ্যেও আপনি দায়িত্ব পালন করেছেন, যা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। নিজের কাজের প্রতি এমন নিষ্ঠা এবং কঠিন পরিস্থিতিতে নিজের কাজ সম্পন্ন করার জন্য আপনার মানসিক শক্তি সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।
রান্নার ব্যাপারে আপনার যে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, তা প্রবাসী জীবনের বাস্তবতা অনেকটাই তুলে ধরে। দিনের শেষে নিজের হাতে রান্না করা খাবার খাওয়ার মধ্যে যে তৃপ্তি, তা কষ্ট হলেও এক অন্যরকম আনন্দ দেয়।আপনার পরিশ্রম এবং ধৈর্য দেখে সত্যিই মুগ্ধ হলাম। আশা করি আল্লাহ তাআলা আপনাকে সুস্থ রাখবেন এবং আপনার প্রতিটি কাজে বরকত দেবেন।
দোয়া করি, ভবিষ্যতে সব কাজ আরও সহজে এবং সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারেন। আপনার শেয়ার করা অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য একটি শিক্ষণীয় গল্প। ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আজকের দিনটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাহিরের কাজ করতে হলে একটু দেখে শুনে অবশ্যই করতে হয়। এবং কাজ করতে গেলে একটু সমস্যা হয়ে থাকে যে সমস্যা গুলো আমাদের আবার সমাধান করতে হয়। আসলে রান্নার বিষয়ে কি বলবো বাহিরে আসার পর থেকে অনেক কিছু মেনে নিতে হয়েছে অনেক কিছু শিখতে হয়েছে। সব সময় সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি এভাবে যেনো সুন্দর করে দিনটা পার করতে পারি জীবনে যতই কষ্ট আসুক না কেনো। অসাধারণ মন্তব্য শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে আপনার জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
গত তিন মাস ধরে যেই কাজ আটকে ছিল আজকে আপনারা সেই কাজ করার জন্য আবারো ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। আসলে যে কোন কাজ পরিশ্রম করা এবং চেষ্টা করলে অবশ্যই সেটা করা সম্ভব। আজকে আপনারা সেটা করে দেখিয়েছেন জানতে পেরে ভালো লাগলো। উপরে সিলিং থাকলে কাজ করতে সমস্যা হয় এটা একেবারেই বাস্তব। তাড়াহুড়া করে বাসায় এসে মুরগী রান্না করে নিয়েছিলেন কেননা আপনাদেরকে খাবার খেতে হবে। ধন্যবাদ এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।