আমাদের এখানে গাড়িতে করে বাজার নিয়ে আসে তার কিছু মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আজ কিছু ছবি শেয়ার করবো আপনাদের মাঝে। আমাদের এখানে গাড়িতে করে বাজার নিয়ে আসে তার কিছু মুহূর্ত। অনেকেই হয়তো বা ভাবে আমরা আছি বাহিরেই কতই না সুখে আছি। তবে তারা এটা জানে না এখানে খাওয়া-দাওয়ার জন্য বাজারটাও একটি নিয়মের মধ্য করতে হয়।
আগে আমি যেখানে ছিলাম সেখানে বাহিরে থেকে বাজার করা যেতো না। তার আগে অন্য আরেকটি জায়গা ছিলাম সেখানেও একই নিয়ম ছিলো। এক কথা বলতে গেলে প্রজেক্ট এর মধ্য যে ক্যান্টিন আছে সেখান থেকে আমাদের বাজার করতে হয়। তবে এখানে এসে নিয়মটা একটু উল্টো পেয়েছি। কারণ এখানে তরকারি বা প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়ার মতো ক্যান্টিন নাই।
মালয়েশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়ম চলে বাহিরে থেকে বাজার চলবে না। তারা এক টাকার জিনিস ২ টাকা করে নিলেও কিছু করার থাকে না আমাদের। তবুও কি করার বাজার করতে হয় খাওয়া-দাওয়া তো আমাদের করতে হবে। যাইহোক এখানে এসে জানতে পেরেছিলাম দুইদিন পরপর বাজার আসে গাড়িতে করে।
এখন রোজার মাস তারা আসছে পাঁচটার সময় কারণ সারাদিন সবাই কষ্ট করে রোজা রাখছে এবং খাওয়া দাওয়া করতে হবে তাই একটু দ্রুত আসে। যাই হোক এই গাড়িতে আসে যারা তারা বাংলাদেশের মানুষ। তারা স্বামী স্ত্রী দুইজন আসে একটি গাড়ি নিয়ে সেখানে বাজারের শেষ নাই। স্বামী বাজার গুলো দেখা শোনা করে এবং স্ত্রী হিসাব করে যারা যে জিনিস নিচ্ছে সে গুলো।
এবং এই নিয়মটা সব জায়গায় আছে যারা নগর টাকা দিয়ে বাজার করে তাদের জন্য একটু কম রাখেন। এবং যারা খাতায় লিখে নিয়ে আসে তাদের জন্য আলাদা একটি দাম আছে। যাই হোক সব মিলিয়ে চলছে এখানে আমরা সব বাজার পাচ্ছি। এবং আপনারা ছবি দেখে বুঝতে পারছেন কেমন জায়গায় তারা দোকান দিয়ে বসেছে।
অবশ্যই সরকারি ভাবে এভাবে দোকান দেওয়ার অনুমতি নাই। তবে তারা যখন আমাদের প্রজেক্ট এর মধ্য ঢুকে যায় তখন তারা গেট লাগিয়ে দেয়। আবার পুলিশে দেখলে সমস্যা করতে পারে তাই। যাইহোক তারা আমাদের এখানে বাজার নিয়ে আসে সেখান থেকে আমরাও কিছুটা সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি। কারণ এখানে আমরা মন করলে বাহিরে থেকেও বাজার নিয়ে আসতে পারি। কোন নিয়ম মানা লাগে না যার যেমন মনে লাগে সে ঠিক তেমন ভাবে বাজার নিয়ে আসতে পারে।
যদি আমাদের প্রোজেক্টে প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়ার মতো ক্যান্টিন থাকতো তাহলে হয়তো বা তারা আসতে পারতো না। কারণ তখন ক্যান্টিন থেকে তাদের কে চাপ সৃষ্টি করত এরা আসে তাও কিছু জিনিস বিক্রি করতে পারে না। যে জিনিস গুলো ক্যান্টিনে পাওয়া যায় সেই জিনিস গুলো তারা এখানে নিয়ে এসে বিক্রি করতে পারবে না।
এবং চাউল বা কাঁচা বাজার যা প্রয়োজনীয় জিনিস এগুলো সব নিয়ে আসতে পারবে কারণ এগুলো ক্যান্টিনে থাকে না। তবে বাহিরে ছাড়া কিছুটা এখানে দাম বেশি আছে তবুও অন্য জায়গা তুলনা একটু কম আছে। এবং তাদের কে যদি ফোন করে বলা হয় কোন প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে আসার কথা তাহলে তারা অবশ্যই নিয়ে আসে।
এখানে এসেছি যাই হোক বেশ কিছু দিন হয়েছে তাই তাদের সাথে সম্পর্কটা এখন অনেকটা ভালো আছে। এবং কিছু বলেও তাদের কাছ থেকে কম করে বাজারে টাকা নিতে পারি। যাই হোক সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন আশা করি আমার লেখাটা এবং ছবি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।












Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশেও কিন্তু গাড়িতে করে বাড়ির মধ্যে বাজার নিয়ে আসে যার কারণে অনেকে বাজারে গিয়ে আর বাজার করা লাগে না গায়ের মধ্যে থেকে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনতে পারে আপনাদের ওখানেও এই সিস্টেম চালু হয়েছে জানতে পেরে ভালো লাগতো আপনার আগের পোস্ট যেন জেনেছিলাম যে আপনারা শুধুমাত্র ক্যান্টিন থেকেই আপনাদের বাজার করতে হতো কিন্তু বর্তমান সময়ে এখান থেকে বাজার করে আপনারা কিছুটা লাভবান হচ্ছেন জানতে পেরে ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।