(এসো নিজে করি) আর্ট :- পুরাতন একটি বাটির উপরে মাছ ধরার দৃশ্য পেইন্টিং।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আপনাদেরকে সুন্দর একটা পেইন্টিং করে দেখাবো। এরকম পেইন্টিং গুলো করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। কারণ পোস্টার রঙ দিয়ে আঁকলে রংগুলো খুব তাড়াতাড়ি ছবির সাথে মিশে যায়। যেকোনো জিনিসের উপরে পোস্টার রং দিয়ে রং করলে দেখতেও কিন্তু খুব সুন্দর দেখায়। তাই আমি আজকে অন্যরকম ভাবে আলাদা একটি পেইন্টিং করার চেষ্টা করেছি। একটি পুরাতন ছোট বাটির উপরে সুন্দর একটি পেইন্টিং করলাম।
প্রথমে তো পেইন্টিং করার সময় ভেবেছিলাম হয়তো রং গুলো বাটির মধ্যে মিশবে না। কিন্তু কিছুটা রং করার পরে দেখলাম খুব সুন্দর ভাবে এই রংগুলো বাটির সাথে মিশে যাচ্ছে। তখন এই বিষয়টা আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো দেখে। যাইহোক ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ পেইন্টিং শেষ করে নিলাম। মাঝেমধ্যে এরকম ভিন্ন রকমের কিছু উপরে পেইন্টিং করলে নিজের কাছেও দেখতে অনেক ভালো লাগে। আমার কাছে তো দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। তাই আজকে পুরাতন এই বাটির উপরে মাছ ধরার দৃশ্য পেইন্টিং করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি আমার এই পেইন্টিং আপনাদের অনেক পছন্দ হবে।
আঁকার উপকরণ
✓ ছোট বাটি
✓ পোস্টার রং
✓ রং করার তুলি
✓ পেন্সিল
✓ রাবার
✓ কাটার
✓ মার্কার
আঁকার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি পুরাতন ছোট বাটি নিয়ে নিলাম। তারপর সেই বাড়ির মাঝখানে সবুজ এবং হলুদ রং দিয়ে কিছুটা অংশ রং করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ২ :
তারপর নিচের অংশে নীল এবং সাদা রং দিয়ে নদীর মতো করে কালার দিয়ে সুন্দরভাবে রং করে নিয়ে নিলাম
ধাপ - ৩ :
এরপর সবুজ রঙের একপাশে কমলা কালার এবং কালো রঙ দিয়ে একটি কুঁড়েঘর সুন্দরভাবে রং করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
তারপর সেই কুড়ে ঘরের একপাশে এবং উপরের অংশে কিছু ঝোঁপঝাড় সবুজ এবং কালো রঙ দিয়ে সুন্দরভাবে রং করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
তারপর কুঁড়েঘর এর আরেক পাশে একটি খেজুর গাছ কফি কালার এবং সবুজ রং দিয়ে সুন্দরভাবে রং করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
তারপর সেই নদীর মধ্যে একটি ছেলে বরশি নিয়ে মাছ ধরার চিত্র বিভিন্ন কালারের রং দিয়ে সুন্দর ভাবে রং করে নিয়ে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এভাবে একটি বাটির মধ্যে সুন্দর মাছ ধরার দৃশ্য ফুটিয়ে তুললাম। আশা করি আমার আজকের পেইন্টিং আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
আচ্ছা আপু পেইন্টিং করার পর বাটির উপরে রং গুলোকে উঠে গিয়েছিল। নাকি শুকিয়ে গেলে এমনটাই থাকে। আপনি তো দেখছি বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর পেইন্টিং করছেন। আপনার তৈরি করা আর্ট গুলো অনেক নিখুঁত এবং খুবই ভালো লাগে। আজকে মাছ ধরার দৃশ্যটি দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু।
আমরা যদি অ্যাক্রলিক রং দিয়ে থাকি তাহলে রং গুলো আর উঠে না। আর জল রং অথবা পোস্টার রং দিয়ে রং করলে পানি লাগলে সেই রংগুলো মুছে যায়।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1789179159694164124?t=JGgBxnAvV1XSvtsffH8Nig&s=19
বড়শি দিয়ে মাছ ধরার খুব সুন্দর একটি চিত্র প্রস্তুত করেছেন দেখে সত্যি খুবই ভালো লাগলো।
একদিকে যেমন মাছ ধরার দৃশ্য ফুটেছে তেমনি গ্রাম্য পরিবেশের সৌন্দর্য কিন্তু ফুটে উঠেছে।
সেই সাথে চিত্রের কালার কম্বিনেশনটা ছিল অসাধারণ।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি দৃশ্য আমাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার জন্য।
চেষ্টা করেছি সুন্দরভাবেই প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনাদের মাঝে অংকন করে ভালোভাবে শেয়ার করার জন্য
বড়শি দিয়ে মাছ ধরার খুব সুন্দর একটি চিত্র প্রস্তুত করেছেন দেখে সত্যি খুবই ভালো লাগলো।
একদিকে যেমন মাছ ধরার দৃশ্য ফুটেছে তেমনি গ্রাম্য পরিবেশের সৌন্দর্য কিন্তু ফুটে উঠেছে।
সেই সাথে চিত্রের কালার কম্বিনেশনটা ছিল অসাধারণ।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি দৃশ্য আমাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার জন্য।
আপু বরশি দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য দেখে ছোটবেলার স্মৃতির কথা মনে পড়ে গেলো। পুরাতন বাটির উপরে মাছ ধরার দারুন দৃশ্য অঙ্কন করেছেন দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমার নিজেরও ছোটবেলার স্মৃতি খুব মনে পড়ে গেল এই দৃশ্য পেইন্টিং করতে গিয়ে
চোখ দুটি জুড়িয়ে গেল আপু আপনার পোস্টার রং দিয়ে করা মাছ ধরার পেইন্টিংটি দেখে। একটা বাটির মধ্যেও যে এরকম চমৎকারভাবে পেন্টিং করা যায় এটা আপনার পোস্ট না দেখলে কখনোই বুঝতে পারতাম না। পেন্টিং করার ধাপগুলিও একদম অসম্ভব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু। তবে আশা করছি আগামীতে আরো ইউনিক সব পেইন্টিং আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
আপনার কাছে আমার এই পেইন্টিং ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ
পুরাতন বাটির উপরে মাছ ধরার দৃশ্যটি অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আপু। প্রতিটি ধাপের বর্ণনা এবং রং এর ব্যবহার খুবই প্রাণবন্ত এবং সৃজনশীল। আপনার শিল্পকর্ম আমাদের বাংলাদেশের ঐতিহ্য এবং সৌন্দর্যকে তুলে ধরেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
চেষ্টা করব পরবর্তীতে আরো কিছু শিল্প আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য
পুরনো বাটিটাকে নষ্ট না করে তার ওপর এরকম সুন্দর ধরনের পেইন্টিং করে ভালই করেছেন আপু। আসলে এই ধরনের জিনিসগুলো ঘরে রাখলে সেগুলো ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। রং গুলো দেখছি আসলেই খুব ভালোভাবে মিশে গিয়েছে বাটির সাথে, যার ফলে আপনার পেইন্টিংটি খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। দারুন একটি উপস্থাপনা ছিল আপনার।
ঠিক বলেছেন পুরাতন হয়ে গেলে আমরা সেই জিনিসগুলো ফেলে দিই কিন্তু আমি নতুন কিছু করার চেষ্টা করলাম
মাঝে মাঝে আমরা যেটা ভাবি সেটা হয় না, আমরা হয়তোবা একটা ভেবে রাখে কিন্তু পরবর্তীতে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে জিনিসটা আপনাদের ভাবনার থেকেও অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি ভাবনার বাইরে অনেক সুন্দর একটা পেইন্টিং অঙ্কন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মাছ ধরার দৃশ্যের এই পেইন্টিংটা দেখে অনেক বেশি মুগ্ধ হলাম। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমিও চেষ্টা করেছি সুন্দর এই পেইন্টিং করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
পুরাতন বাটির উপরে মাছ ধরার দৃশ্যটি আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। অসাধারণ একটি পেইন্টিং আপনি করেছেন। যা দেখতে পেয়ে মুগ্ধ হলাম।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ