লাইফ স্টাইল।। পাশের গ্রামে মাহফিলে যাওয়ার অনুভূতি (পর্ব ১)।।
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৯/ ১১/২০২৪) রোজ: শনিবার।
💞শুভ রাত্রি💞
প্রতিদিনের ন্যায় আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করি। এরপরে বই নিয়ে পড়তে বসি। তারপর একটু বিশ্রাম নি। বিশ্রাম শেষ করে উঠে গোসল করলাম। আজকে আমাদের গ্রামে অনেক বড় করে একটা পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিল। উক্ত পিকনিকে আমার দাওয়াত ছিল। তাই দ্রুত গোসল শেষ করে রেডি হয়ে দাওয়াত খাওয়ার জন্য দুইটার সময় বাসা থেকে বের হলাম। আমার বাসা থেকেই স্কুল মাঠ বেশি দূরে নয় মোটরসাইকেলে যেতে দুই মিনিট সময় লাগে। খুব দ্রুতই সেখানে পৌঁছলাম। এখানে বসে দেখলাম খাওয়া-দাওয়া অলরেডি শুরু হয়ে গেছে। এরপরে ওখানে পিকনিকের ভজন খাওয়া শেষ করে বাসায় না এসে ওখান থেকে আবার গাংনীতে রওনা দিলাম। গাংনীতি কম্পিউটারের দোকান একটু কাজ ছিল সেই কাজ শেষ করে বাসার দিকে রওনা দিলাম। এরপর রায়পুর বাজারে এসে ভাবলাম একবারে চুলটা কাটাই যায়। তাই সেখানে কিছু সময় ব্যয় হলো। এরপরে মাগরিবের কিছুক্ষণ আগেই বাসায় ফিরলাম। বাসায় ফিরে মোটরসাইকেল ঘরে তুলে ওযু বানিয়ে নিলাম। তারপর আজান দিতে মসজিদে দিকে গেলাম। মসজিদে নামাজ আদায় শেষ করে বাসায় ফিরলাম। এভাবে আজকে বিভিন্ন কাজের মধ্য দিয়ে সময়টা পার করলাম। সবশেষে সময় বের করে পোস্ট লিখতে বসলাম।
আসলে আমি আজকে আপনাদের মাঝে কি বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি তাই ইতিমধ্যে আপনার আমার টাইটেল দেখে বুঝতে পেরেছেন। এইতো গত দুইদিন আগে আমাদের পাশের গ্রামে বাদিয়াপাড়া মোহাম্মদপুর সেখানে একটা মাহফিল হয়েছিল। হঠাৎ করেই আমরা পরামর্শ করলাম মাহফিলে শেষ দিন আমরা যাব। তাই বাসা থেকে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রাত 9 টার সময় একটা পাখি গাড়ি ভাড়া করে আমরা বের হলাম। আমাদের পাশের গ্রাম আমাদের বাসা থেকে যেতে ২০ মিনিট সময় লাগে। তাই এমন একটা গাড়ি ভাড়া করেছিলাম। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে পৌঁছে গেলাম। আসলে বাদিয়াপাড়া মহাব্বতপুর এখানে প্রতিবছর মাহফিল হয়ে থাকে। সময় পেলে সেখানে যাই আমি। তো মাহফিলে গেম দেখলাম অনেক বড় মেলা বসেছে। তাই মেলায় ঢুকলাম। এরপরে দেখলাম চারিদিকে খুব সুন্দর করে বিভিন্ন খেলনা পাতা এবং অনেক কসমেটিক সামগ্রী জিনিসপত্র বসেছে। বাসা থেকে ভেবেছিলাম যত মাহফিলে যাচ্ছি সেখানে আমরা আজকে গিয়ে জিলাপি খাব। তাই ভাবলাম আগে একটু মেলা ঘুরে নিই তারপর খাওয়া দাওয়া করে মাহফিল শুনে বাসায় ফিরব। মেলায় প্রবেশ করে উপরের ছবিটি আমি আমার ফোনে ধারণ করি।
এবার যদি আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন মেলায় কিন্তু অনেক মানুষের ভিড় জমে গেছে। তাছাড়া মাহফিলে মেলায় অনেক মানুষের ভিড় দেখা দেয়। কেননা মাহফিলে যে মেলাগুলো বসে থাকে সেখানে অনেক জিনিসপত্র বসে থাকে। তাছাড়া এখানে অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থাকে সেই সাথে ছোটদের খেলনা গুলো পাওয়া যায়। আমি অনেক মানুষের ভিড় দেখেই উপরে ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি।
এরপরে আমি একটু মেলায় ঘুরাঘুরি করলাম। এবং আমি দেখতে পেলাম অনেকগুলো খেলনা বসেছে। তাছাড়া সাধারণত এই মেলা গুলোতে যে সকল জিনিসপত্রগুলো পাওয়া যায় সেগুলো কিন্তু বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র হয়ে থাকে। তবে এর মধ্যে বেশিরভাগ ছোটদের খেলনা গুলো পাওয়া যায়। এভাবে বেলায় ঘোরাঘুরি করার মুহূর্তে উপরের ছবিটি আমি আমার ফোনে ধারণ করি। আপনারা ছবির দিকে ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন অনেকগুলো জিনিসপত্র খুব সুন্দর করে দোকানে সাজানো রয়েছে। তাছাড়া আমি সেখানে লক্ষ্য করেছিলাম সেখানে খেলনা সহ কসমেটিক এসব জিনিসপত্র নিয়ে ১৬ টি বা তারও বেশি ঘর। আজকে এতোটুকু শেয়ার করলাম পরবর্তীতে অন্য পর্বের মাধ্যমে আরো কিছু জানতে পারবেন এবং দেখতে পাবেন।
আজ এখানেই শেষ করলাম পরবর্তীতে আরো নতুন কোনো পোস্ট শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।
টেবিল ০১ | টেবিল ০২ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A15 |
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শীতের সময় বিভিন্ন অঞ্চলে মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আমাদের এদিকেও এখন বিভিন্ন জায়গায় মাহফিল হচ্ছে। ভাই আপনি মাহফিলে গিয়েছিলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। মাহফিলে যাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
শীতের সময়টা আসলেই অনেক ভালো লাগে। এই সময়টা চারিদিকে মাহফিল হয়। আমাদের এখানেও এখন মাহফিল হচ্ছে। তবে ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসের দিকে মাহফিল বেশি হয়ে থাকে। আপনার মাহফিলে যাওয়ার মুহূর্ত দেখে বেশ ভালো লাগলো।
একদম ঠিক বলেছেন আপু ধন্যবাদ।
শীতকালে চারিদিকে শুধু মাহফিল আর মাহফিলের আয়োজন করা হয়ে থাকে। তাছাড়া মাহফিল উপলক্ষে মেলার মতো পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এতে করে মানুষের আনাগোনা বেশ ভালোই দেখা যায়। এককথায় বলতে গেলে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া।