ঢাকায় জুম্মার নামাজ শেষে কেনাকাটার অনুভূতি।।
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৮/১১/২০২৪) রোজ: শুক্রবার ।
💞জুম্মা মোবারক💞
প্রতিদিনের ন্যায় আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে ফিরে সু হয়ে নাস্তা করি। তাছাড়া আজকের ছিল জুম্মার দিন। তাই বারোটা অব্দি গোসল করে জুম্মার নামাজ পড়ার জন্য বের হয়ে যায়। নামাজ শেষ করে এসে দুপুরে খাবার খাই। খাবার শেষ করে আজকে একটু বামুন্দি বাজারে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার সময় ফুটবল মাঠে খেলা দেখলাম। এরপর সন্ধ্যা হতে বাসায় ফিরলাম। তারপর নাস্তা করে ভাবলাম একটা পোস্ট শেয়ার করা যাক। তাই পোস্ট লিখতে বসলাম।
আসলে আমি আজকে আপনাদের মাঝে কি বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি তাই ইতিমধ্যে আপনার আমার টাইটেল দেখে বুঝতে পারছেন। আসলে আমি এইতো কিছুদিন আগে ঢাকায় অবস্থান করেছিলাম। আমি ঢাকায় গিয়েছিলাম আমার একটি জরুরী পরীক্ষার জন্য। তবে ঢাকায় জুম্মার দিন নামাজ পড়ার জন্য খুব আগেভাগে গোসল শেষ করি। গোসল শেষ করে পাঞ্জাবি পায়জামা পরিধান করে মাথায় টুপি দিয়ে হাতে জায়নামাজ নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম মসজিদের দিকে। ঠিক এমন সময় উপরের ছবিটি আমি আমার ফোনে ধারণ করি। আমি ছিলাম মিরপুর ১১ তে। ওখান থেকে মসজিদের দূরত্বটা ছিল খুব একটা বেশি দূরে নয়। তাই আমি নিজে পায়ে হেঁটেই গেলাম মসজিদে। তবে রাজধানীতে একটা বিষয় হয়ে থাকে সেটা হচ্ছে জুম্মার দিন অনেক মানুষ একসাথে নামাজ পড়ায় রাস্তায় জামাত হয়ে থাকে। এমনকি আমি গিয়ে দেখতে পেলাম পাঁচতলা বিল্ডিং বিশিষ্ট মসজিদ একদম ভরপুর। তারপরে আমি দেখতে পেলাম রাস্তা খুব সুন্দর করে ঝাড়ু দেয়া হয়েছে। এবং মসজিদের পাশের রাস্তাগুলোতে খুব সুন্দর করে লাইন দেওয়া রয়েছে। সেখানে সকলে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ আদায় করার জন্য বসে পড়লো। তবে আমি নিচে না বসে তৃতীয় তালায় উঠে পড়লাম। কেননা আমি একটু আগে গিয়েছিলাম যে কারণে দ্বিতীয় তালায় আমি জায়গা পেয়েছিলাম। তারপর সেখানে নামাজ আদায় করলাম। নামাজ শেষ হলেই মসজিদের পাশে একদম মনে হয় একটা বাজার বসেছে।
নামাজ শেষ করে নিচে নামতে আমার সময় লেগেছিল ১০ মিনিট। কেননা মানুষের অনেক চাপ। এরপরে খুব ধীরে ধীরে মানুষের ভিড়ের মধ্য দিয়ে একে একে নিচে নামলাম। নিচে এসে দেখি বাজার শুরু হয়ে গেছে। আসলে আমি আগে থেকে জানি এখানে জুম্মার দিন নামাজ শেষে খুব সুন্দর করে এখানে বাজার বসে যাই। তাছাড়া সবাই নামাজ আদায় করে বাসায় যাওয়ার পূর্বে তাদের প্রয়োজনের জিনিসপত্রগুলো ক্রয় করে। তবে এখানে যে জিনিস গুলো বেশি বিক্রি হয় সেগুলো হচ্ছে খাবারের জিনিস। তাই আমি বাসা থেকে আগে থেকে টাকা নিয়ে গিয়েছিলাম যে নামাজ শেষ করে সেখান থেকে কিছু খাওয়া জিনিস ক্রয় করে বাসায় আসবো। আমি নামাজ আদায় শেষ করে যখন নিচে আসি তখন উপরের ছবিটা আমার ফোনে ধারণ করি। তাছাড়া আপনারা যদি উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন অনেক মানুষ। এরপর আমি সেখানে অনেকগুলো খাবারের আইটেম দেখেছিলাম। তবে পাকা পেঁপে দেখে আমার খুবই খেতে ইচ্ছে করেছিল। এরপরে দেখলাম সেই পাকা পেঁপে গুলো বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। তাই আমি ওখান থেকে এক কেজি ওজনের একটি পেঁপে ক্রয় করলাম। আসলে পেপের দাম এতটা খামার কাছে একটু অবাক লেগেছিল। কেননা আমি গ্রামে বড় হয়েছি। সেই থেকে পেঁপের দাম ৫০ টাকা কেজি বিষয়টা আমার কাছে একটু অবাক লেগেছিল। তাছাড়া ঢাকা শহরে প্রায় সব জিনিসের দাম অনেক বেশি। যাইহোক খেতে ইচ্ছে করেছে তাই পাকা পেঁপে কল করলাম। পাকা পেঁপে ক্রয় করে পাশে দেখতে পেলাম খুরমা জাতীয় কিছু খাবারের জিনিস বিক্রি হচ্ছে। যদিও ওইটার নাম আমি সঠিক জানিনা। তবে সেগুলো বিক্রি হয়েছিল ২০০ টাকা কেজি। তাই আমি ওখান থেকে ৫০ টাকার ক্রয় করলাম। আর একটা বিষয় হচ্ছে সেখানে এতটাই ভিড় ছিল যে কারণে ছবি ধারন করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। এরপর বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে প্রথমেই ফুফুমণিকে বললাম পেঁপে গুলো কেটে দিতে। এরপরে দেখলাম পেঁপে গুলো খেতে খুবই স্বাদ ছিল। এভাবে ঢাকায় কাটানোর জুম্মার দিনটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। তাছাড়া ঢাকা শহরে যদিও প্রয়োজনীয় কাজে যাওয়া হয়ে থাকে । তার পরেও সেখানে আমার বেশ ভালই লাগে।
আজ এখানেই শেষ করলাম পরবর্তীতে আরো নতুন কোনো পোস্ট শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।
টেবিল ০১ | টেবিল ০২ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A15 |
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মসজিদের পাশের রাস্তা গুলোতে বেশ ভিড় রয়েছে দেখছি। শুক্রবারে রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা থাকে। তবে মসজিদের পাশের অংশগুলোতে অনেক ভিড় দেখা যায়। আপনি নামাজ পড়েছেন এরপর কেনাকাটা করেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।