এই সেই কৃষ্ণচূড়া গাছ। ১০% বেনিফিসারি @shy-fox.
প্রিয় কমিউনিটির সদস্য আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আপনাদের দোয়ায় । বেশ কয়েকদিন যাবত তীব্র গরম পড়ছে এই গরমে মানুষের জীবন এক প্রকার নাজাহাল অবস্থা হয়ে গেছে ।এই অবস্থার মধ্যেই আজকে বৃষ্টি আমাদের জন্য স্বস্তির সুসংবাদ হয়ে এসেছে। যখন বৃষ্টি নামে শুরু করল তখন চারদিকে হালকা বাতাস ছি।ল বাতাসটা যখন ঘরে ঢুকছিল তখন অনেকটা স্বস্তি পেয়েছি এবং সেই সাথে শরীরটাও ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে।
আজকে আমি আপনাদের সাথে সুন্দর একটি ছোট গল্প শেয়ার করব গল্পটির নাম হল এই সেই কৃষ্ণচূড়া গাছ। আমরা সাধারণত কৃষ্ণচূড়া ফুলের সাথে পরিচিত ।এ ফুলটি সচারচার আমরা সকলেই চিনি। হয়তোবা এই ফুলটি আমাদের দৃষ্টিতে দেখতে খুবই ভালো লাগে। যদিও ফুলটি কোনো সুবাস ছড়ায় না ।তারপরেও ফুলটি আমাদের পরিবেশের সৌন্দর্যকে খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলে। যাইহোক মূল গল্পের দিকে ফিরে আসা যাক।
সময় টা ছিল আজ থেকে প্রায় ২০ বছরের পূর্বে । তখন কেবলমাত্র স্কুলের গণ্ডি পার হয়ে কলেজের গণ্ডিতে পা রেখেছি । আসলে কলেজে এর প্রথম দিনের অনুভূতিটা একটু ভিন্ন ধরনের হয় কারণ স্কুল জীবন পার করে কলেজ জীবনে গেলে মনের মধ্যে অন্যরকম একটা আবেগ কাজ করে। ঠিক তেমনি করিমেরও একটা অনুভূতি ছিল। কলেজ থেকে বের হয়ে সামনের পুকুর পাড়ে বেশ বড়সড়ো একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ ছিল। সেখানে মাঝে মধ্যেই বন্ধুরা বসে আড্ডা দিত। আবার অনেক সময়
বন্ধুরা মিলে হাসি ঠাট্টা করে সময় কাটাতো ।
এক কথায় বলতে পারেন গাছটি কলেজের সকলের কাছে একটা পরিচিত জায়গায় ছিল। আসলে একদিন করিম এবং তার বন্ধুরা এই কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। হঠাৎ এই সময় উষ্কখুষ্ক চুল উড়ানো একটি মেয়ে পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছে করিমের চোখ পড়তেই মেয়েটিকে খুব ভালো লেগে গেল। কি আর করার মেয়েটিকে করিম চোখে চোখে রাখল। করিম এভাবে চোখে চোখে রাখতে রাখতে একটি পর্যায়ে গিয়ে দেখা গেল মেয়েটি এবং করিম একই ডিপার্টমেন্টে স্টুডেন্ট।
এরপরে হঠাৎ করিম এবং সেই মেয়েটির নাম ছিল শান্তা। এই দুজনের একদিন কথা হল এবং কথা বলতে বলতে এরা দুজন বন্ধু হয়ে গেল ।বেশ ভালই তাদের বন্ধুত্ব চলছে। এবং তারা একে অপরকে বুঝে ।একদিন করিম হুট করেই শান্তাকে বলে ফেলল আসলে জানিস তোকে আমি প্রথম দিন কোথায় দেখেছিলাম তখন শান্তা বলল কোথায় তখন করিম বলল আমাদের কলেজের সামনে যে কৃষ্ণচূড়া গাছ টি আছে ওইখানে দুপুরবেলা রোদ্দুর উজ্জ্বল মুহূর্তে তুই চুলগুলো ছেড়ে দিয়ে কৃষ্ণচূড়া গাছের
তল দিয়ে যখন তুই হেঁটে যাচ্ছিলিস তখন তোকে দেখে মনে হচ্ছিল গাছ থেকে কোন পরী নেমে এসেছে ।আসলে কৃষ্ণচূড়া ফুলের রঙের সাথে তুই একেবারেই মিশে গিয়েছিলিস ।বেশ ভালোই দেখাচ্ছিল তোকে। তখন শান্তা বলল যাহ! আর হেঁয়ালি করা লাগবে না। যাইহোক কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বসে দুজনে গল্প করে পরিশেষে ক্লাসে গেল এভাবে মাঝেমধ্যেই তারা দুজনে সময় পেলে পুকুর পাড়ে কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বসে নিজেদের মনের ভাব আদান প্রদান করত।
এভাবে যখন করিম ইন্টারমিডিয়েট সেকেন্ড ইয়ারে তখনই শান্তার একটা বিয়ের প্রস্তাব আসে ।যাই হোক মেয়েটি একেবারেই রাজি ছিল না কিন্তু পরিবারের চাপে পড়ে মেয়েটিকে বিয়ে করতে হয় ।এরপর থেকে আর করিমের সাথে সন্তান দেখা হয়নি ।এভাবে পার হতে হতে বেশ অনেক বছর পার হয়ে গেছে ।তারপরেও একে অপরের সাথে আর দেখা হয়নি । এদিকে করিম বিয়ে করে সংসারী হয়ে উঠেছে ।সেও বেশ ভালোভাবেই তার সাংসারিক জীবন পরিচালনা করছিল। শান্তাকে এক প্রকার
করিম ভুলেই গিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও শত মানুষের ভিড়ে সব সময় সে শান্তাকে খুঁজে বেড়ায়। তাই হঠাৎ করে একদিন আবার করিম সেই কলেজে কোন এক কারণে গিয়েছিল হঠাৎ সে কলেজের শান্তাকে দেখতে পেল ।শান্ত তার মেয়েকে কলেজে দিতে এসেছে। এই সময় করিম শান্তাকে দেখে চিনে ফেললো যাই হোক করিম তার কাছে গিয়ে বলল আপনি শান্তানা তখন সে বলল হ্যাঁ আমি শান্তা। আপনি তো করীম তাই না ।যাই হোক দুজনে অনেক সময় কথা বলল এবং কথা বলার এক পর্যায়ে করিম বলল এই
কৃষ্ণচূড়া গাছটির কথা কি তুমার মনে আছে। এই গাছ দিয়ে যখন তুমি প্রথম হেঁটে যাচ্ছিলে তখন তোমাকে দেখে আমি এক প্রকার তোমার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। আজ দীর্ঘ ২০ বছর জীবন থেকে পার করার পরে শেষ জীবনে এসে এই সেই কৃষ্ণচূড়া গাছের তলায় তোমাকে দেখতে পাবো কখনো আমি ভাবিনি। এ কথা বলতে বলতে শান্তার মেয়ে এসে বলল মা চলো বাসায় যেতে হবে। করিম সেখানে বেশ কিছু সময় দাঁড়িয়ে থেকে মনে মনে ভাবল কৃষ্ণচূড়া তুমি তোমার রূপের বাহারে কত মানুষকে করেছো মুগ্ধ কিন্তু আমাকে দিয়েছে শুধু হাহাকার।
এভাবে কত করিম শান্তার অপেক্ষায় বসে থাকে তার ঠিক নেই। কোনো শান্তার সাথে হয়তো দেখা হয় আবার কোনো শান্তা একেবারে চিরকালের জন্য হারিয়ে যায়। দারুণ লাগল গল্পটা। ভালো লিখেছেন। তবে কিছু বানান এ মিসটেক হয়েছে এটা একটু খেয়াল রাখবেন।।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ট্যাগ এর বিষয়ে এখনো অনেক কিছু পরিস্কার হয় নাই আপনার। কারন সাইফক্স, এবিবি স্কুল ট্যাগ ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। কনটেন্ট রিলেটেড ট্যাগ ব্যবহার করা জরুরী। ধন্যবাদ
পরবর্তী থেকে এ বিষয়ে আরো সাবধানতা অবলম্বন করবো। ধন্যবাদ আপনাকে।