প্রথমবার লঞ্চ ভ্রমণের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।।
আমার সেমিস্টার ফাইনাল থিউরি এক্সাম শেষ হওয়ার পর প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য কিছুদিনের বন্ধ পাই তাই নিজেদের মন ফ্রেশ করার জন্য আমি এবং আমার চার বন্ধু মিলে চিন্তা করতে থাকি কোথায় ঘোরাঘুরি করা যায়। সেই সময় আমার এক বন্ধু বলে আমরা চাইলে চাঁদপুর থেকে ঘুরে আসতে পারি কারণ চাঁদপুরে কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে এবং টাটকা ইলিশের স্বাদও পাব। আমি এবং আমার চার বন্ধুও রাজি হয়ে গেলাম কারণ ঘুরাঘুরির পাশাপাশি আমরা লঞ্চ ভ্রমণ করতে পারব কারণ কেউই এর আগে লঞ্চে উঠিনি ।
তাই ৮ই নভেম্বর আমি এবং আমার চার বন্ধু চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। আমরা এক বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারি সদরঘাট থেকে প্রথম লঞ্চ সাড়ে সাতটায় চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। আমরা সকাল পাঁচটায় সাভার থেকে সদরঘাট উদ্দেশ্যে বাসে উঠি। রাস্তায় জ্যাম থাকার কারণে আমরা সদরঘাট পৌঁছাতে পৌছাতে প্রায় আটটা বেজে যায় তাই আমরা পরবর্তী লঞ্চ ৮:৩০ এ লঞ্চে উঠি। লঞ্চে উঠার পর নিজের শরীরের ব্যালেন্স ঠিক করতে কিছুটা সময় নেই। তারপর আমরা লঞ্চের ছাদে উঠে যাই। লঞ্চের বেশিরভাগ সময় আমরা ছাদেই কাটিয়েছি।
লঞ্চের ছাদে বসে নদীর দুইপাশের তীর দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। সেখানে বসে আমরা পাঁচ বন্ধু মিলে লুডু খেলতে শুরু করি। মাঝে মাঝেই লঞ্চ এদিক ওদিক দুলছিল তাই আমরা একটু ভয় পাচ্ছিলাম। বেশ কিছু সময় পর নিচে গিয়ে দেখলাম বেশিরভাগ মানুষ লঞ্চের পাটাতনে কাপড় বিছিয়ে শুয়ে আছে। আমারা লঞ্চের ক্যান্টিন থেকে হালকা খাবার খেয়ে নিলাম। প্রায় ৪ ঘন্টা পর আমরা চাঁদপুরে গিয়ে পৌঁছাই। সত্যি বলতে প্রথমবার লঞ্চ ভ্রমণের বিষয়টি আমি খুবই উপভোগ করেছি।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার লঞ্চ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। আপনারা যারা লঞ্চ ভ্রমণ করেছেন অথবা নিয়মিত লঞ্চে যাতায়াত করেন আশা করি আপনারা অনেক বেশি উপভোগ করে থাকেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
লঞ্চে ভ্রমণ করতে ভালোই লাগে। আমরা অনেক আগে যখন ঢাকা থেকে ফরিদপুরে যেতাম তখন লঞ্চে করে যেতাম তবে বেশিরভাগ সময় ফেরিতে যাওয়া হয়। লঞ্চে করে গেলে আসলেই নদী দেখতে ভালো লাগে তবে কখনো ছাদে ওঠা হয়নি। আপনারা ছাদে গিয়ে সুন্দর ভাবে লঞ্চ ভ্রমণটা উপভোগ করেছেন।দির্ঘ চার ঘণ্টা লঞ্চ ভ্রমণ করেছেন তাহলে তো প্রথমবার হিসেবে দারুণ একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে।
খুব ভালো লেগেছে আপু ছাদে ভ্রমণ করে।
ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন লঞ্চ ভ্রমণে আনন্দ এবং ভয় দুটোই সমান সমান যার জন্য ভ্রমণটাও মনে হয় বেশ মজার হয় ।আমি মনে হয় জীবনে দু-একবার লঞ্চে উঠেছিলাম ,তাও সে অনেক আগে, কেমন লাগে তা মনে নেই ।তবে আপনার লঞ্চটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক বড় ।বন্ধুরা কয়েকজন মিলে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ লঞ্চটি বেশ বড়ই ছিল।
আপনার লঞ্চ ভ্রমণের অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লেগেছে।ঠিক বলছেন লঞ্চ ভ্রমনে যেমন আনন্দ আছে তেমনি রিস্ক এবং ভয় দুটি কাজ করে।তবে চার ঘন্টার জার্নিতে ছাদে বসে লুডু খেলে বেশ আনন্দ করছেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন ভাই আমি একটু ভুল করেছি। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।