সুস্বাদু চামঘাস ভর্তার রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা
আজ ১১ আশ্বিন - ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - রোজ সোমবার- ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |
---|
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার ও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের মাঝে মজাদার একটি ভর্তার রেসিপি শেয়ার করব। আজ আমি আপনাদের মাঝে চামঘাস এর ভর্তা কিভাবে তৈরি করেছি তা শেয়ার করব। এই চামঘাস সাধারণত এক ধরনের কচু। তবে এক এক জায়গায় এই কচুর নাম এক এক রকম। আমাদের এদিকে এই কচুকে চামঘাস বলে চিনি। এর ভর্তা আমার কাছে একদম টাকি মাছের ভর্তা মতো লাগে। আশা করি আপনাদের মাঝে ভালো লাগবে। তাহলে বন্ধুরা আর দেরি না করে চলুন দেখে নেওয়া যাক মজাদার আজকের ভর্তার রেসিপি।
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমান |
---|---|---|
১ | চামঘাস | পরিমান মতো |
২ | পেঁয়াজ কুঁচি | পরিমান মতো |
৩ | শুকনো মরিচ | ৮ টি |
৪ | রসুন | পরিমান মতো |
৫. | লবণ | স্বাদমতো |
৬. | তেল | পরিমান মতো |
রান্না করার প্রক্রিয়া
ধাপ ১
প্রথমে চামঘাস গুলো ছোট ছোট করে কেটে নেই । এরপর পানি দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে নেই।
ধাপ ২
পরিষ্কার একটি কড়াই চুলার মধ্যে বসিয়ে দেই। এরপর ধুয়ে রাখা চামঘাস গুলো দিয়ে নেই কড়াই এর মধ্যে।
ধাপ ৩
চামঘাস গুলো কড়াই এর মধ্যে দিয়ে কিছুক্ষণ ভালোভাবে ভেজে নেই। এরপর ছবিতে দেখার মতো হয়ে এলে নামিয়ে নেই।
ধাপ ৪
কড়াই এর মধ্যে পরিমান মতো তেল দিয়ে কেটে রাখা পেঁয়াজ কুঁচি ও রসুন দিয়ে নেই। এরপর ভালোভাবে ভেজে নেই।
ধাপ ৫
পেঁয়াজ এবং রসুন ভেজে নেওয়ার পর শুকনো মরিচ গুলো দিয়ে নেই। এরপর শুকনো মরিচ গুলো ভালো ভাবে ভেজে নেই।
ধাপ ৬
চামঘাস এবং ভেজে রাখা পেঁয়াজ রসুন ও শুকনো মরিচ গুলো শীল এবং নোরা দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নেই।
ধাপ ৭
এরপর পরিমাণমতো সরিষার তেল দিয়ে হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিলেই মজাদার চামঘাসের ভর্তার রেসিপি তৈরি হয়ে যাবে।
অবশেষে তৈরি হয়ে এলো সুস্বাদু চামঘাস ভর্তা রেসিপি। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে। যদি আপনাদের কাছে ভালো লাগে তাহলে আপনারা আপনাদের মহা মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
রেসিপি | মজাদার চামঘাস ভর্তার রেসিপি |
---|---|
ছবি তোলার মাধ্যম | Realme c 21 |
ফটোগ্রাফার | @bobitabobi |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি মোছাঃ ববিতা আক্তার বিথী। আমার ইউজার নেম @bobitabobi। আমি পেশায় একজন ছাত্রী। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। এই বাংলায় জন্মগ্রহণ করে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। আমার ভালো লাগে বাংলায় কথা বলতে। এই বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমার পাশে থাকবে। আমি যেন আগামীতে আরো অনেক সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে এসে উপস্থিত হতে পারি। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
. চাম ঘাসের নাম এর আগে কখনো শুনিনি এবং দেখিনি। তবে আপনি এই চাম ঘাস দিয়ে খুব সুস্বাদু ও মজাদার একটি ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন। যেকোনো ধরনের ভর্তা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। তৈরি করার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জীবনে প্রথম দেখলাম এ জাতীয় একটি রেসিপি কখনো এর নামটাও শুনিনি আবার পূর্বে কখনো রেসিপি কাউকে খেতেও দেখিনি। নতুন একটা ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো তবে খেয়ে দেখার প্রয়োজন ছিল জানিনা এটা কোথায় পাওয়া যায়। দেখে তবে সুস্বাদু মনে হল।
এটা দেখতে একেবারে সাধারণ শাক এর মতোই। তবে আপনি এটার নাম বললেন চামঘাস। এই নামটা প্রথম শুনলাম। দেখতেও বেশ সুন্দর লাগছে। বেশ চমৎকার ছিল চামঘাস এর ভর্তা রেসিপি টা বেশ ভালো হয়েছে। দেখে বেশ সুস্বাদু মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
আপু আপনি আজকে চামঘাস ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন। সত্যি বলতে আপু এই চামঘাস এমন নামই আমি আজও শুনিনি। অনেকক্ষণ চেয়ে দেখলাম তবুও চিনতে পারলাম না। তবে ভর্তা তৈরির ধাপ গুলো আপনি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি রেসিপি আমাদের শেয়ার করার জন্য।
ভর্তা আমার খুব পছন্দ। তবে কখনও এই চাম ঘাসের নাম শুনিনি।আর কাউকে খেতে ও দেখিনি।আপনি চমৎকার ভাবে ভর্তা রেসিপিটি শেয়ার করলেন আপু।খুব মজা হয়েছে বলা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে মজার এই ভর্তা রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
নাম টা বেশ ভালো ছিল প্রথম যেহেতু নাম শুনেছি আগ্রহটাও একটু বেশি ছিল আপু। তবে নামটা যাই হোক জিনিস এক হলেই হয়েছে। আপনি বেশ মজার করে ভর্তা তৈরি করলেন ভীষণ মজার হবে দেখে বুঝা যাচ্ছে। অনেক ভালো লাগে লেগেছে আপু ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করলেন।
চামঘাস কখনো দেখা হয়নি। এই প্রথম চামঘাস ভর্তার নাম শুনেছি আর আমার কাছে অনেক ইউনিক লেগেছে। আপনার উপস্থাপনা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার ও ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
চামঘাস যে একপ্রকার কচু সেটা জানতাম না আপু। আর এই চামঘাস নামটা কখনো শুনিনি। নতুন একটি রেসিপি শিখলাম আপনার কাছ থেকে। দেখে তো মনে হচ্ছে ,এই ভর্তার রেসিপি টা খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। রান্নার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনি। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।