বারুইপুরে যাওয়া by @bull1( 10% shy-fox এর জন্য)
নমস্কার
পোস্টের নাম | বারুইপুরে যাওয়া |
ডিভাইস | Realme 5 |
পোস্টদাতা | @bull1 |
কাল একটু বেরিয়েছিলাম বারুইপুরে যাওয়ার জন্য। এক বন্ধুর সাথে দেখা করার ছিলো। অনেক দিন হয়ে গেল বন্ধুটার সাথে দেখাসাক্ষাৎ হয় না। এদিকে ফেসবুকে বা হোয়্যাটস্যাপে প্রায় প্রতিদিন কথাবার্তা হয়। মাঝেমধ্যেই বন্ধুটা ডাকে ওদের ওখানে যাওয়ার জন্যে। গেলে নাকি পেয়ারা খাওয়াবে। বারুইপুর ঘুরিয়ে দেখাবে। কিন্তু আমাদের ওই যা হয় আরকি।
ল্যাদ লাগে। তাছাড়া অন্যান্য কাজও তো থাকে। ব্যবসার কাজ। পড়ানোও থাকে। যদিও এখন পড়ানো অনেক কমিয়ে দিয়েছি। কিন্তু তবুও সময় তো যথেষ্ঠই যায় ওতে। মানে সব মিলিয়ে এক মূহুর্তও ফাঁকা সময় আর পাওয়া যায় না। অবশ্য আমার বলে না। সম্ভবত সবারই একি অবস্থা। সবাই হয়তো সোশ্যাল মিডিয়াতেই বন্ধুত্ব সেরে ফেলে। কিন্ত তারপর আর দেখাসাক্ষাৎ করার সময় পায় না।
তা যাইহোক ঠিক করলাম যে এবার যেতেই হবে। আসলে কাল সকালে একজায়গায় যাওয়ার ছিলো। সেইভাবেই প্রস্তুত হচ্ছিলাম। ভোরে উঠে মাঠে ব্যায়াম করে এসেছিলাম। তারপর ব্রেকফাস্ট সেরে স্নানও করে নিলাম সারাদিন বাইরে থাকতে হবে বলে। কিন্তু তারপরেই খবর আসল যে আজ নাকি আর যেতে হবে না। সেখানে সমস্যা মিটে গেছে।
অগত্যা আর কিই বা করা যাবে? বাইরে পরার ড্রেস ছেড়ে ঘরে পরার ড্রেস পরতে যাব ‚ হঠাৎ মনে আসল যে আজ তো একবার বারুইপুরে গেলেই হয়। বহুদিন ধরেই ও ডাকছে। যাওয়া হচ্ছেনা। আজ চলেই যাই।
অগত্যা যা ভাবা তাই কাজ। বেরিয়ে পড়লাম। একটা ছোট্ট প্রবলেম অবশ্য ছিলো। আমার মান্থলি টিকিট কাটা ছিলো নরেন্দ্রপুর পর্যন্ত। এদিকে তারো কয়েকটা স্টেশন পরে বারুইপুর। এখান থেকেই টাকা নষ্ট করে বারুইপুর পর্যন্ত টিকিট কাটব কিনা ভাবছি‚ এমন সময় একজন বলল যে টিকিট কাউন্টারে বললেই আর মান্থলি টিকিট দেখালেই নরেন্দ্রপুর পর্যন্ত টিকিট করে দেবে।
তাহলে আর চিন্তা কিসের? কাউন্টারে গিয়ে বললাম সমস্যার কথা। ওরাও তক্ষুনি টিকিট বানিয়ে দিল। আমিও আর বেশী না ভেবে টুক করে ট্রেনে উঠে পড়লাম। গন্তব্য বারুইপুর!
আমি @bull1 পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় থাকি। বয়স ২৮ বছর। ছাত্রজীবনে ইতিহাসে আর অঙ্কে গ্র্যাজুয়েট কমপ্লিট করেছি। এখন শিক্ষকতা করি। আর টুকটাক লেখালেখি করার অভ্যাস আছে। |
---|