স্বাস্থ্য সচেতনতা ও অন্যকে জ্ঞান দান

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg

made by canva

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমরা সব সময় অন্যকে জ্ঞান দিতে খুব বেশি পছন্দ করি এবং সেই জ্ঞানের মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যাপার যেটা থাকে কিংবা সবচেয়ে মূল ব্যাপার যেটা থাকে, সেটা হলো স্বাস্থ্য সচেতনতা। অর্থাৎ আমরা অন্যের বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ কিংবা রোগ দেখে সবসময় বলি যে, সে কেনো এভাবে তার লাইফ স্টাইল পরিচালনা করছে কিংবা লাইফস্টাইল এ অনেক ভুল রয়েছে। এবং সে কারণেই সে বিভিন্ন অসুখে পরছে। সে বিভিন্ন রোগে পড়ছে এবং তার বারবার ডাক্তারের কাছে ছুটতে হচ্ছে এসব এসব।

কিন্তু আদত পক্ষে আমরা যদি নিজেদের দিকে তাকাই। প্রথমতই দেখবো যে, আমাদের নিজেদের শরীর হাজার হাজার রোগে আক্রান্ত। হয়তো কিছু রোগ সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে অবগত হয়েছি আর কিছু রোগ সম্পর্কে হয়তো এখনো অবগত হইনি। কিন্তু তার মানে এমনটা নয় যে, আমাদের শরীরে কোনো রোগ বালাই নেই। রোগবালাই ঠিক ই রয়েছে হয়তো যাকে জ্ঞান দিচ্ছি, তার চেয়ে খানিকটা বেশিই রয়েছে।

কিন্তু আমরা সব সময় এমন একটা অভ্যাস করে ফেলেছি যে,আমরা নিজেদের রোগটাকে একটু কম করে দেখি। অর্থাৎ রোগকে খারাপ কিছু ধরার সময় খুব কম করে দেখি। এবং অন্যকে জ্ঞান দেওয়া শুরু করি যে তাদের লাইফ স্টাইল ঠিক নেই। আবার যখন রোগটাকে একটু পজিটিভ ভাবে আমরা দেখাতে চাই। অর্থাৎ রোগটাকে হাতিয়ার করতে যাই। তখন আবার নিজেদের রোগ বেশি হয়ে যায় এবং অন্যের রোগটা একেবারে কিছুই না হয়ে যায়। আশা করি আমি কি বুঝাতে চাইলাম, আপনারা বুঝতে পেরেছেন তাই তো।

আমি এই বিষয়টা খুব খেয়াল করেই দেখেছি আসলে স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে সবাই আমরা জ্ঞান দিতে অসম্ভব ভালোবাসি। কিন্তু যখন নিজেদের স্বাস্থ্য সচেতনতার ব্যাপারটা আসে। তখন আমরা একেবারে হাওয়ায় উড়িয়ে দেই। আর এটা আমাদের বাঙালি জাতির অনেক বড় একটা অভ্যাস। অর্থাৎ নিজের সমস্যাকে খারাপ না ভাবা। কিন্তু অন্যের সমস্যাকে খুব খারাপ কিছু ভাবা।
Sort:  
 19 days ago 

প্রতিটি সমাজে কিছু কিছু মানুষ রয়েছে, যারা অন্যকে জ্ঞান দিতে খুব পছন্দ করে। সুযোগ পেলেই শুরু করে দেয় জ্ঞান দেওয়া। একেবারে খাওয়া থেকে শুরু করে ঘুমের সময় পর্যন্ত বিস্তারিত বলে দেয়। আর যদি শুনতে পারে কেউ একটু অসুস্থ, তাহলে তো জ্ঞানের ডোজ আরও বাড়িয়ে দিবে। পরবর্তীতে খবর নিলে দেখা যায়,যে জ্ঞান দিচ্ছে তার লাইফস্টাইল ঠিক নেই এবং নিজেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। দুনিয়াটা আসলেই একটা আজব কারখানা। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.11
JST 0.031
BTC 67719.65
ETH 3791.75
USDT 1.00
SBD 3.53