বার্ধক্যে একাকিত্বের কষ্ট (চতুর্থ পর্ব)
কিন্তু তিনি খেয়াল করে দেখেন শফিক এর স্ত্রী তার সাথে খুব ভালো ব্যবহার করে। এভাবে বেশ কিছুদিন থাকার পরে সুলতান মিয়ার শরীরটা খারাপ হতে থাকে। তখন একদিন তিনি শফিকের স্ত্রীর কাছে বলে বাড়ি থেকে কিছু সময়ের জন্য বের হয়ে যান। দুপুরবেলায় তিনি যখন ফিরে আসেন। তখন একটা প্যাকেটে কিছু কাগজপত্র দিয়ে শফিকের স্ত্রীকে বলেন মা রে এই কাগজগুলো তোমার কাছে রেখে দাও। তবে এই কাগজে কি আছে সেটা এখনই দেখার দরকার নেই। আমি মারা গেলে এই কাগজগুলো শফিকের কাছে দিও।
শফিকের স্ত্রী চিন্তা করতে থাকে প্যাকেটের ভেতর কি আছে একবার তার ইচ্ছা হয় খুলে দেখতে। কিন্তু পরবর্তীতে মনে হয় মুরুব্বী মানুষ যেহেতু এখন খুলতে নিষেধ করেছেন। তাই এখন খোলাটা ঠিক হবে না। যাইহোক দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে সুলতান মিয়া বিশ্রাম নিতে যান। সেদিন সন্ধ্যার সময় শফিক বাড়িতে ফেরে বাড়িতে ফিরে প্রতিদিনের মতো সেদিনও সুলতান মিয়ার খোঁজ নিতে যায়।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
শফিক খুব ভালো একটা কাজ করেছে সুলতান মিয়াকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে। আমার মনে হচ্ছে সুলতান মিয়া শফিকের স্ত্রীর কাছে তার জমিজমার দলিলপত্র দিয়েছে। সুলতান মিয়ার মনটা আসলেই অনেক বড়। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।