আবু রায়হানকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বৃহস্পতিবার ,৩১ অক্টোবর ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগণ আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করছি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আমি আল্লাহর রহমতে ভালো আছি তবে মানসিক দিক থেকে একদমই ভালো নেই। কেননা কাল রাত থেকে হঠাৎ আমার বাচ্চা ভীষণ অসুস্থ। কয়েকদিন আগে থেকেই একটু ঠান্ডা লাগার মত হয়েছিল। তবে মাকে ড্রপ দেওয়ার কারণে ঠান্ডা লাগতে পারেনি। তবে গতকাল রাতে আমার বাবু খুব সুন্দর ভাবে নয়টার সময় খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর রাত দশটা থেকে ভীষণ জ্বর। সারারাত একটুও ঘুমাতে পারিনি। বুঝতে পারছেন বাচ্চারা অসুস্থ মানে মায়ের দ্বিগুণ চিন্তা আর অস্থিরতা। সারারাত বাবু অনেক কান্না করছিল কান্না করছে। আমি তো খালি ভাবছিলাম কখন সকাল হবে আর ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো। কথায় আছে না যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়। আমাদেরও ঠিক এমনটাই হয়েছিল। রাত যেন শেষই হচ্ছে না এদিকে বাবু অসুস্থ। তখন আমি সত্যি সত্যি একটু বেশি অনুভব করলাম যে বিপদের রাত মনে হয় অনেক দেরিতে যায়। কেননা মানুষের খারাপ সময়টা খুবই মনে থাকে এবং অনেক দেরিতে যায় সময় মনে হয়।
রাতে এত পরিমাণ জ্বর এসেছিল মনে করছিলাম একটু মাথা ধুয়ে দেবো অথবা গা মুছে দেবো কিন্তু রাত হওয়াতে কিছুই করতে পারলাম না। এমনিতেই ঠান্ডার জন্য নাক বন্ধ হয়ে আসছে তার ওপর আবার কান্না করছে। এরপর খুব কষ্টের সাথে আমাদের দুজনের রাত্রি অতিবাহিত হলো। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম খুব দ্রুতই ডক্টরের কাছে চলে যাব। তবে আপনার ভাইয়ের স্কুল এবং ডাক্তার চেম্বারে বসে সকাল আটটায়। তাই এই সুযোগে আমরা আমাদের নিজেদের কিছু কাজ গুছিয়ে নিলাম। আপনাদের ভাইয়া যেহেতু স্কুলে থাকে তাই ওনাকে বললাম স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে আসতে। এরপর স্কুল ছুটি নিয়ে উনি চলে আসলো বাড়িতে নয়টার দিকে। আমি রেডি হয়ে বাবু কে ও রেডি করিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পথে আমার মায়ের বাসা তাই ওদের সাথেও সকালে একটু দেখা করে গেলাম। আবু রায়হান অসুস্থ শুনে ওরা ভীষণ চিন্তিত ছিল।
আমরা যেহেতু ডাক্তারের কাছে আগে থেকেই সিরিয়াল দিয়ে রেখেছিলাম তাই আর দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়ে দিলাম। তারপর ডাক্তারের কাছে গিয়ে দেখে অনেক ভিড়। যতই সিরিয়াল দেওয়া থাকুক না কেন ডাক্তারের কাছে গেলে দেরি হবেই। আমরা যাওয়ার পর তিনচারটা রোগী দেখার পর আবু রায়হানকে চেম্বারে ডাকলো। আমরা আবু রায়হানের সমস্যার কথা ডাক্তার কে খুলে বললাম। বাবুর ভীষণ জ্বর ছিল তার সাথে সর্দি কাশি। যখন একটু বেশি জ্বর আসছিল তখন বাবু বমি করছিল। আজকে দুইবার বমি করেছে। ডাক্তার টি অনেক ভালো তিনি প্রথমে আবু রায়হানের সাথে কিছু সময় আড্ডা দিলেন তারপর বিস্তারিত জেনে ঔষধ দিলেন। ডাক্তারের কাছে আমাদের প্রায় এক ঘন্টা সময় অতিবাহিত হয়েছিল। যাইহোক এরপর আমরা সেখান থেকে চলে গেলাম আমার নানির বাসায়। ডাক্তারের চেম্বার ও জোড় পুকুর আবার আমার নানার বাড়ি জোর পুকুরে তাই আমরা ডাক্তার দেখিয়ে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম এর জন্য নানীর বাড়ি চলে গেলাম।
এরপর সেখানে গিয়ে আবু রায়হানের জ্বর বেশি এসেছিল তাই কুসুম গরম পানি দিয়ে গা মুছে দিলাম। এরপর একটু ওষুধ খাইয়ে দিলাম। তারপর আমরা খাওয়া দাওয়া করে রওনা দিলাম বাসার উদ্দেশ্যে। ছোট বাচ্চার অসুস্থ হলে বাড়ির সবারই অনেক দুশ্চিন্তা। যাইহোক আপনারা সবাই আমার বাচ্চার জন্য অনেক অনেক দোয়া করবেন। আজ এখানে শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের মাঝে আবারও নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব। সবাই সুস্থ ও ভালো থাকবেন শুভকামনা রইল।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
প্রথমে তোমার বাবুর জন্য সুস্থতা কামনা করি। এখন আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার সময় তাই বিভিন্ন সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই চেষ্টা করতে হবে সব সময় তাদের যত্নে রাখা এবং নিয়ম মেনে ওষুধ খাওয়ানো।
আমার কাছেও এমনটাই মনে হয়েছে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হয়তো অসুস্থ হয়েছে বাবু।
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এখন সবাই অসুস্থ হচ্ছে আপু। বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা যখন অসুস্থ হয় খুবই খারাপ লাগে। যেহেতু বাবুর অসুখ হয়েছে তাহলে আপনার তো একটু কষ্ট হবে। যাক অবশেষে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলেন ভালো লাগলো। দোয়া করি খুব দ্রুত যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন।
বড় মানুষ অসুস্থ হলে সবকিছু বলতে পারে খেতে পারি কিন্তু ছোটরা অসুস্থ হলে খুবই সমস্যা হয় আপু।
সন্তানের অসুস্থতার কোন ভাবেই বাবা-মাকে ঠিক রাখতে পারেনা। আবু রায়হান অসুস্থ হওয়ার কারণে আসলেই আমরা দুজন এই কয়দিন খুবই খারাপ সময় অতিবাহিত করছি। প্রার্থনা করি মহান সৃষ্টিকর্তা ও বোরহানকে দ্রুত সুস্থ করে দেবে।
ইনশাআল্লাহ।
হ্যাঁ আপু বাচ্চা যখন অসুস্থ হয় তখন মায়ের চিন্তা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। আর আপু ছোট বাচ্চাকে এমনিতে একটু সাবধানে রাখতে হয় কারণ হালকা ঠান্ডা লাগলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে ভালো করেছেন ডাক্তার দেখিয়ে। আর আপু ভালো ডাক্তারের কাছে গেলে রোগী এমনিতে অনেক থাকে। আর ডাক্তার দেখিয়ে ভালো করেছেন আপনার ছেলেকে। এবং আপনার ছেলের জন্য দোয়া রইল আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ করে এবং সুস্থ রাখে।
আপু এখন শীত গরমের আবহাওয়া সকালে ঠান্ডা দুপুরের গরম আবার রাতে মাঝে মাঝে গরম লাগে আবার ঠান্ডা লাগে এই আবহাওয়াতে অসুস্থ হওয়া স্বাভাবিক। তবে আবু রায়হানের একদম হঠাৎ করে এভাবে অসুস্থ হওয়াটা আমাদের কাছে সত্যিই অন্যরকম লাগছিল।