The life is mine, The war is mine

জীবনটা আমার, যুদ্ধটা আমার, কৌশল আমার, যুদ্ধাস্ত্র আমার। এতকিছু আমার হবার সত্ত্বেও কেন অন্যের সিদ্ধান্ত ধার করে হাঁটব, দৌড়াব, থামব, জল খাব তাই আমার মাথায় ঢোকে না।

যারা থামাতে চান, তাদেরকে আমি খুব একটা সুবিধার চোখে দেখি না। হয়ত ভাল’র জন্য বা ক্ষতি চান না বলেই এই থামানোর কাজটা দায়িত্ববোধ থেকেই করেন। তবু আমার খুব বিরক্ত লাগে। আমার যা শেখার সেটা তো বই পড়ে, ডকুমেন্টারি দেখে বা সংশ্লিষ্টদের কাছে জিজ্ঞেস করলেই পেতে পারি। কিন্তু আমার যখন অভিজ্ঞতা দরকার তখন কাঁটাতারের বেড়ার মতো মানুষগুলো সামনে এসে দাঁড়ায়। আমি চোখ কচলে বিরক্ত হয়ে তাকাই, আর কথা বাড়াই না। কারণ যে থামার উপদেশ দেয়, আমি তার কথা শুনতে চাই না। আমি যা করতে চাই, সেটাই আমি করব। আমার যখন যেখানে থামতে মনে হবে, কেবল সেখানেই থামব। অভিজ্ঞতালব্ধ থামা আর অন্যের কথায় যেখানে সেখানে থামা এক কথা নয়।

থামার উপদেশ তো সবাই-ই দেয়, না থামার পরামর্শ কেন কেউ দেয় না তাও আমি জানি না! চলার মাঝে যে আনন্দ আছে, একটা লড়াই চালিয়ে যাবার পেছনে যে আনন্দ আছে থামার ভেতরে আমি তা পাই না। আমার কাছে আমার আনন্দের চেয়ে বেশি গুরুত্ব আর কিছুতে নেই। অন্যকে নিরবধি চলতে দেখলেও অনেকটা আনন্দ পাওয়া যায় কিন্তু। আমি তাই কাওকে থামাই না। জীবনকে ৩৬০ ডিগ্রী পেছনে ঘুরিয়ে নিজেরা থেমে গিয়ে যারা অন্যকেও থামিয়ে দিতে চান, তাদের থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।