লাইফস্টাইল: গল্পকথা রেস্টুরেন্টে একদিন।
আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদেরকে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকের ব্লগ এ আমি আপনাদের মাঝে গল্পকথা রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে আলোচনা করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে এবার শুরু করা যাক।
অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আমি এই মাসে লালমনিরহাটে মেসে উঠেছি। মেসের খাওয়া-দাওয়া আমার কাছে তেমন ভালো লাগে না। এজন্য মাঝে মাঝে বাইরে খাওয়ার জন্য যাই। কালকে আমি এবং আমার এক বন্ধুসহ গল্পকথা রেস্টুরেন্টে খাওয়া এবং সময় কাটানোর জন্য গিয়েছিলাম। সময় আমাদের ঠিকই কেটেছে ওইখানে কিন্তু কিছু খাওয়া হয়নি বর্তমানে এই রেস্টুরেন্টের কাজ চলতেছে তাই সাময়িক বন্ধ রয়েছে রেস্টুরেন্ট। এই রেস্টুরেন্টে যাবতীয় খাবার পাওয়া যেত।
এই রেস্টুরেন্টে দোলনায় বসে থাকার পাশাপাশি সুন্দর পরিবেশে বসে গল্প-গুজব করার সুন্দর সুব্যবস্থা রয়েছে। রেস্টুরেন্টের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য চারিদিকে ফুলের গাছ রোপন করা হয়েছে। রাতে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য মরিচ বাতি লাগানো রয়েছে। আমার কাছে এই রেস্টুরেন্টের কিছু ব্যতিক্রম উদ্যোগ চোখে পড়েছে। যা অন্যান্য রেস্টুরেন্ট থেকে আলাদা।
স্কুল কলেজ চলাকালীন এখানে কোন স্টুডেন্ট তাদের ইউনিফর্ম পড়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ধূমপান করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই রেস্টুরেন্টে বেশিরভাগ বয়স্ক লোকদেরকে দেখা যায় বিকেল বেলা। কারণ এখানে একটি লাইবেরিও রয়েছে সেখান থেকে লোকজন গল্পের বই পেপার-পত্রিকা নিয়ে পড়ে থাকেন। এই প্রথম আমি এমন রেস্টুরেন্ট দেখলাম যেখানে গল্পের বইও খাবারের পাশাপাশি অবসর সময়ে পড়তে পাওয়া যায়। গতবার যখন মেসে ছিলাম তখন বন্ধুবান্ধবসহ এখানে এসে আড্ডা দিতাম ভালোই সময় পার হয়েছিল গতবার।
![]() | ![]() |
|---|
এই রেস্টুরেন্টে ছোট বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও রয়েছে। শুধু তাই নয় সুন্দর সুন্দর মাটির জিনিসপত্র রয়েছে এখানে। আশা করি এই রেস্টুরেন্টে আগের তুলনায় আরো সুন্দরভাবে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ সাজাবেন। এই রেস্টুরেন্টের অনেক কাজ এখনো বাকি রয়েছে। আশা করি কয়েক মাসের মধ্যেই এই রেস্টুরেন্ট আবার চালু হবে। লালমনিরহাট এর মধ্যে এই রেস্টুরেন্ট আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
কালকে আমি এবং আমার বন্ধু এই রেস্টুরেন্টে ঘুরতে গিয়েছিলাম। পরে জানতে পারি এই রেস্টুরেন্ট সাময়িক বন্ধ রয়েছে । পরে আমি কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। জানিনা ফটোগ্রাফি গুলো কেমন হয়েছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্টে জানাবেন। দীর্ঘক্ষণ সময় পার করার পর আমরা সেখান থেকে বের হয়ে অন্য একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম।
আপনারা চাইলে এই রেস্টুরেন্টে আসতে পারেন। এই রেস্টুরেন্ট লালমনিরহাটের মৃধাবাড়ী, ভোকেশনাল রোডের পাশেই অবস্থিত। ভালো সময় কাটানোর জন্য ভালো একটি রেস্টুরেন্ট বলে আমি মনে করি। এখানে চা কফি খাওয়ার পাশাপাশি পেপার পত্রিকা পড়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। যা আমার কাছে সব থেকে ভালো লেগেছে। এমন রেস্টুরেন্ট খুবই কম দেখা যায়।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
| Device | Tecno spark 20c |
|---|---|
| Camera | 50 MP |
| County | Bangladesh |
| Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness











ডেইলি টাক্স:
https://x.com/Golamrabba34801/status/1872247523408286193?t=6VnWPQvfBFn-_dRDe6xbIg&s=19
রেস্টুরেন্টের নামটা খুব সুন্দর। আর রেস্টুরেন্টের পরিবেশটাও ভীষণ সুন্দর। আপনি দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেখানে। আগের থেকে আরো সুন্দরভাবে ডেকোরেশন করা হচ্ছে জেনে ভালো লাগলো। আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ্ আজকে দেখছি আপনি আমাদের মাঝে গল্পকথা রেস্টুরেন্টে কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। রেস্টুরেন্টের নামটা যেমন সুন্দর তেমনি রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন টাও বেশ দারুন। আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার পোষ্টের ফটোগ্রাফি আর বর্ণনার মধ্য দিয়ে একটি অচেনা অজানা রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে বেশ অবগত হতে পারলাম। আপনি সমস্ত বিষয়গুলো সুন্দরভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। আপনার সাবলীল ভাষায় এমন সুন্দর উপস্থাপনা আমাকে মুগ্ধ করেছে।