আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-৬৩। আমার ফোনে ধারণ করা শরতের সেরা ফটোগ্রাফি।
বর্তমান চলতেছে শরৎকাল এই শরৎকালে আবার মাঝে মাঝে বৃষ্টি ও হয়। তখন মনে হয় এ যেন বর্ষাকাল । কয়েকদিন আগে আমি রংপুর চিকলি ওয়াটার পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেদিন আকাশটা ছিল মেঘলা। বৃষ্টি আসার উপক্রম ছিল তবে বৃষ্টি সেদিন আসেনি। এই পার্কে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ছোট ছোট কুঁড়েঘর তৈরি করা হয়েছে পর্যটনদের জন্য। মূলত সেখানে বসেই আমি এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম। ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিলো তবে আকাশে সাদা মেঘের ভেলা থাকলে ফটোগ্রাফিটি আরো ফুটে উঠতো বলে আমি মনে করি।
উপরে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি আমি বাজার যাওয়ার সময় ফোনে ধারণ করেছিলাম। রাস্তার দুই পাশে মেহগনি কাঠের গাছ। মাঠে সবুজ ধান ক্ষেত এবং আকাশে সাদা মেঘের ভেলা দেখতে সেদিন আমার খুবই ভালো লেগেছিল। শরৎকালেই মূলত আমরা সাদা মেঘের ভেলা আকাশে দেখতে পাই। মেঘের কারণেই মূলত গ্রামীণ পরিবেশের সৌন্দর্য বেড়ে যায়।
উপরে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি আমার গ্রাম থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই গ্রামটির সৌন্দর্য আমাকে অনেক মুগ্ধ করে। আমি মাঝে মাঝে এই গ্রামে অবসর সময় পার করার জন্য আমার এক বন্ধুর বাসায় ঘুরতে যাই। গ্রামটি অনেক গাছ গাছালি দিয়ে ভরা। এই গ্রামের চারপাশে খাল এবং বিল রয়েছে। মূলত এ কারণেই এই গ্রামের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
গ্রামীণ জনপদের পাশেই, বিল থেকে এই শাপলা ফুলের ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম। শরৎকালে বিলের মাঝে অসংখ্য শাপলা ফুল দেখতে খুবই ভালো লাগে। চারিদিকে শুধু সাদা আর সাদা, আকাশটাও সাদা মেঘ আর নীল আকাশে বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো আনন্দ আর কোথাও পাওয়া যায় না। এ কারণেই হয়তো আমাদের দেশে এই ফুলটিকে জাতীয় ফুল হিসেবে নামকরণ করা হয়েছিল।
উপরের ফটোগ্রাফিটি হচ্ছে অলকানন্দা ফুলের ফটোগ্রাফি। এই ফুলটিকে আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় হলুদ মাইক ফুল নামে ডেকে থাকে। এই ফুলটি প্রায় মাইকের মতো দেখতে। বর্ণ হলুদ হওয়ায় ফটোগ্রাফিতে এই ফুলের সৌন্দর্য অনেক গুণের বৃদ্ধি পায়। এই ফুলটির ফটোগ্রাফি মূলত আমি চিকলি ওয়াটার পার্কে করেছিলাম। ফুলটি দেখতে আসলেই অনেক সুন্দর।
এবার যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হচ্ছে মাশরুমের ফটোগ্রাফি। মূলত আমাদের গ্রামে এটি ব্যাঙের ছাতা নামে পরিচিত। ছোটবেলায় আমরা এই মাশরুম নিয়ে অনেক খেলাধুলা করেছিলাম। মাশরুম সাদা বর্ণের হওয়ায় এর ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়। মূলত এটি পরিত্যক্ত গাছের কান্ড বা ভেজা কাঠে টুকরায় জন্মায়।
শরতের সব থেকে আকর্ষণীয় সৌন্দর্য মূলত কাশবনেই নিহিত বলে আমি মনে করি। গতবার আমি নদীর তীরে কাশবন দেখতে গিয়েছিলাম। এবার অবশ্য নদীতে কাশবন দেখতে যাওয়া হয়নি। তবে আমার এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ইটের ভাটার মাঝে অনেক কাশফুল ফুটেছিল। বাসার সাথেই এই পরিত্যক্ত ইটের ভাটায় কাশফুল দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে কয়েকটি নিজের পিকচার উঠার পাশাপাশি আমি কয়েকটি ফটোগ্রাফিও করেছিলাম। কাশফুলের সৌন্দর্য আমাকে সবথেকে মুগ্ধ করে।
আমার ফটোগ্রাফি গুলো কেমন হয়েছে তা কমেন্টে জানিয়ে দেবেন। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Device | Tecno spark 20c |
---|---|
Camera | 50 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া।ভাইয়া আপনার পোস্ট এর প্রথম টাইটেল ব্লগ লেখাটা ভুল হয়েছে। খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনি উপস্থিত হয়েছেন। আপনার ধারণ করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু 🥰
ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি বেশ কিছু দারুন ফটোগ্রাফী দিয়ে ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় অংশ করেছেন। আপনার মাধ্যমে শরৎ কালের সেরা ফটোগ্রাফি গুলো দেখার সুযোগ হলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সাপোর্ট দেওয়ার জন্য 🥰
আমার বাংলা ব্লগে সুন্দর প্রতিযোগিতায় আপনি অংশগ্রহণ করেছেন এটা দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাই। শরতের প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এই প্রতিযোগিতায় আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া 😍
ভাইয়া আপনাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনি শরতের খুব সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার এত সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রতিটা ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু 😍
শরতের প্রকৃতি দেখতে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে শরতের আকাশ দেখতে বেশি ভালো লাগে। আর আপনি এত সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি ভাইয়া। অনেক ভালো লেগেছে ফটোগ্রাফি দেখে।