ভ্রমণ পোস্ট: এশিয়া মহাদেশের বৃহৎ ঈদগাঁ মাঠ ভ্রমণ দিনাজপুর।
আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদেরকে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকের ব্লগ এ আমি এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ ঈদগাঁ মাঠ ভ্রমণ সম্পর্কে আলোচনা করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে এবার শুরু করা যাক।
কয়েকদিন আগে আমি এবং আমার ভাতিজা সহ দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী গৌড় শহীদ ঈদগাঁ মাঠ দেখার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। আমার বাসা থেকে দিনাজপুর প্রায় পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আমরা সেদিন মূলত ট্রেনে করেই দিনাজপুর গিয়েছিলাম। আমাদের শ্যামপুর স্টেশন থেকে সকাল আটটার সময় একটি ট্রেন পার্বতীপুর পর্যন্ত যায়। আমরা সেই ট্রেনে করে সর্বপ্রথম পার্বতীপুর স্টেশনে গিয়ে পৌঁছেছিলাম এবং সেখান থেকে আরেকটি লোকাল ট্রেনে করে আমরা দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম।
পার্বতীপুর স্টেশন অতিক্রম করে দিনাজপুরে যাওয়ার পথে আমরা অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা দেখেছিলাম। স্টেশনের সৌন্দর্য, নদী নালা, ফসলের মাঠ পেরিয়ে এক স্টেশন থেকে আরেক স্টেশন এভাবেই এক পর্যায়ে আমরা দিনাজপুর স্টেশনে গিয়ে পৌঁছেছিলাম। দিনাজপুর ধান আর লিচু চাষের জন্য বিখ্যাত। আমাদের দেশের বেশিরভাগ ধান এই দিনাজপুর এই উৎপাদন হয়।
চলন্ত ট্রেনে থাকা অবস্থায় আমি একটি মাঠের মাঝে একটি বৃহৎ বটগাছ দেখতে পেয়েছিলাম। দূর থেকে গম্বুজ আকৃতির মনে হয়েছিল। বটগাছটির চারিদিকে ধান খেত বেষ্টিত। এই গাছটির সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে। চলন্ত ট্রেনে থাকায় বটগাছটির ফটোগ্রাফিটি তেমন ভালো করতে পারিনি। লোকাল ট্রেনের জাকির কারণে হাত নড়াচড়া করেছিল এ কারণেই ফটোগুলো একটু ঝাপসা দেখা যাচ্ছে।
আমাদের দেশ নদীমাতৃক দেশ। দিনাজপুর যাওয়ার পথে আমরা আত্রাই নদীর উপর দিয়া অতিক্রম করেছিলাম। নদীটির উপর দিয়া লোহার ব্রিজ হয়েছে যা দেখতে অনেক সুন্দর ছিল। আমাদের দেশের নদীগুলোর সৌন্দর্য একেক রকম। আমার কাছে ট্রেন ভ্রমণের পাশাপাশি নদীতে নৌকা ভ্রমণও অনেক ভালো লাগে করতে। আশা করি পরবর্তীতে আমি নদী ভ্রমণে বের হব। নদীর ধারে কাশফুল, পাখিদের আনাগোনা, বইঠা হাতে নৌকায় মাঝি, জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। এসববের ফটোগ্রাফিও বেশ চমৎকার হয়ে থাকে।
দেখতে দেখতেই আমরা অবশেষে দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছেছিলাম। দিনাজপুর স্টেশনটি দেখতেও অনেক ভালো। দিনাজপুর স্টেশনে এসে আমরা গুগল ম্যাপে গৌড় শহীদ ঈদগাঁ মাঠটি সার্চ দিলাম। দেখলাম মাঠটি দক্ষিণে অবস্থিত সেখান থেকে প্রায় হাফ কিলোমিটার দূরে। আমরা ফ্লাই ওভারের পথ দিয়া গুগল ম্যাপ দেখে দক্ষিণে এগুতে লাগলাম।
প্রায় ১৫ মিনিট ধরে আমরা হেটেছিলাম। অবশেষে আমরা আমাদের গন্তব্যে এসে পৌঁছেছিলাম। ঈদগাঁ মাঠটিতে এসে আমরা একটি বিশাল মাঠ এবং একটি বিশাল মিনার দেখতে পেলাম। এই মাঠে প্রায় ছয় লক্ষ মানুষ ঈদের নামাজ পড়তে পারেন। দূর দূরান্ত থেকে ঈদের সময় এই মাঠে মানুষ নামাজ পড়ার জন্য আসেন। পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়া থেকেও অনেক লোক আসেন এই মাঠে নামাজ পড়ার জন্য। এই মাঠটি আমাদের দেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাঁ মাঠ হওয়ার পাশাপাশি এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সবথেকে বড় মাঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আপনারা চাইলে এই মাঠটি দেখতে আসতে পারেন এই মাঠটির সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। আপনারা যারা এই মাঠটি দেখেছেন কমেন্টে জানাবেন। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Device | Tecno spark 20c |
---|---|
Camera | 50 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
আমি ইতিমধ্যে এই মাঠের মধ্যে বেশ কয়েকবার গিয়েছিলাম। তবে, সেদিন তোমার সাথে গিয়ে একটু বেশি মজা হয়েছিল। বিকাল বেলা গেলে হয়তো আরো অনেক বেশি মজা হতো।আর বিকাল বেলা এই মাঠের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের খাবার দোকান বসে। দিনাজপুর বড় মাঠ ভ্রমণ কাহিনী খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন।