ভ্রমণ পোস্ট: রংপুর চিকলি ওয়াটার পার্ক ভ্রমণ।
আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদেরকে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকের ব্লগ এ আমি চিকলি ওয়াটার পার্ক ভ্রমণ সম্পর্কে আলোচনা করবো । আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে এবার শুরু করা যাক।
আমার বন্ধু ঢাকায় একটি কোম্পানিতে জব করেন। সে পূজা উপলক্ষে চার দিনের ছুটি পেয়েছিল। ছুটি পেয়ে সে বাসায় ঘুরতে এসেছিল। বাসায় এসেছে আমাকে নিয়ে রংপুর চিকলি ওয়াটার পার্কে ঘুরতে গিয়েছিল। রংপুর স্টেডিয়ামের প্রায় পাশাপাশি এই বিল অবস্থিত। আমরা দুজন লালবাগ থেকে রিকশায় করে চিকনি ওয়াটার পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। ও বাসায় আসলে আমাকে নিয়ে কোথাও না কোথাও রিক্সায় করে ঘোরার জন্য বের হবেই।
চিকলি ওয়াটার পার্কে এসে আমরা প্রবেশ করার জন্য টিকিট কাটলাম। পার্কে প্রবেশ করার পর আমরা বিলের ধারে একটি পরিত্যক্ত নৌকায় গিয়ে বসলাম। আমার বন্ধু আমার থেকেও ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারে। উপরের ফটোটি সেই উঠাই দিয়েছিল আমাকে। আমার বন্ধুবান্ধব গুলোর মধ্যে ওই আমার ভালো ফটো উঠায়ে দিতে পারে। অন্যান্য বন্ধুদেরকে আমি ভালো ফটো উঠায় দেই কিন্তু অনুরূপভাবে তারা আমাকে সেরকম ফটো উঠায় দিতে পারে না। সেক্ষেত্রে এই বন্ধু আমার আলাদা। যে ফটোগ্রাফি করতে জানে সে যে কোন ফোন দিয়েই তা করতে পারে।
পরিত্যক্ত নৌকায় বসে আমরা প্রায় এক ঘন্টার মত আড্ডা দিয়েছিলাম। নৌকার আড্ডা শেষে বিলের একটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম। গোধূলি বিকালের ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। বিলের ধারে কাশফুল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা লাল সূর্য ডোবার দৃশ্য দেখতে অনেক অসাধারণ লেগেছিল। গোধূলি দেখার পর আমরা পার্কের আরো ভালো ভালো জায়গায় ঘোরার জন্য হাঁটতে ছিলাম।
পথি মধ্যে আমরা একটি কাশবন দেখতে পেয়েছিলাম। এই কাশবনটি পার্কের ভিতরেই অবস্থিত। এই কাশবনে ছবি উঠানোর জন্য অনেক লোকের সমাগম হয়েছিলো। আমরা অবশ্য সেখানে নিজের ছবি উঠায়নি তবে আমি ফটোগ্রাফি করেছি অনেক। কাশফুলের ফটোগ্রাফি শেষে আমরা কৃত্রিম ঝর্ণা দেখার জন্য সামনের পথ চলতে লাগলাম।
কাশবন থেকে ১ মিনিট হাটার পর আমরা কৃত্রিম ঝর্ণার কাছে এসে পৌঁছাইলাম। এখানে দুটি সাদা বকের মূর্তি আশেপাশে অনেক বড় বড় পাথর এবং গাছপালায় আচ্ছন্ন একটি বিশাল পাহাড় এগুলো সবই কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে পর্যটনকে আকর্ষণ করার জন্য। এই পাহাড়ের সামনে ছবি উঠালেও ছবিটি অনেক সুন্দর হয়। পাহাড়ের নিচে কৃত্রিমভাবে খাল বানানো হয়েছে এবং সেখানে বিভিন্ন রংবেরঙের মাছ ছেড়ে দেওয়া রয়েছে। এই জায়গাটিতে সময় কাটিয়ে অনেক ভালো লেগেছিল।
এই জায়গাটি মূলত পর্যটনদের বসে আড্ডা দেওয়ার জন্য বানিয়েছে। এটি কৃত্রিম ঝর্ণার পাশেই অবস্থিত। এখানে বসে আমরা দুই বন্ধু মিলে ভালো সময় পার করেছিলাম। এই জায়গাটি অনেক নিরিবিলি এবং গাছপালা দিয়ে ভরা হওয়ায় জায়গাটির পরিবেশ অনেক শীতল। এখানে বসে আমরা দীর্ঘক্ষণ ধরে দুঃখ কষ্টের আলাপ করেছিলাম। আলাপ শেষে আমরা এই পার্কের মূল আকর্ষণ নাগরদোলনা দেখার জন্য হাটতে লাগলাম। ততক্ষণে সন্ধ্যা হওয়ার উপক্রম হয়েছিল।
নাগরদোলনার কাছে এসে আমরা অনেক ফটোগ্রাফি করেছিলাম। এই নাগরদোলনাটি লন্ডন শহরের দোলনার আদলে কর্তৃপক্ষ নির্মাণ করেছেন। এই দোলনায় উঠলে পুরা রংপুর শহরটি দেখতে পাওয়া যায়। সেদিন সন্ধ্যা হওয়ায় এই দোলনায় আমাদের ওঠা হয়নি। তবে পরবর্তীতে গেলে এই দোলনায় ওঠার ইচ্ছা রয়েছে। দোলনায় উঠে ফটোগ্রাফি করলে অবশ্য অনেক আকর্ষণীয় ফটোগ্রাফি করতে পারতাম।
উপরের যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি নাগর দোলনার পাশেই অবস্থিত। এটি দেখতে বাদুড়ের মত লেগেছিল আমার কাছে। এটির নাম ঠিক জানিনা আমি। তবে দেখতে অনেক ভালো লেগেছিল। এর লাইটিং এর কালার অনেক ছিল। এজন্যই দেখতে অনেক সুন্দর লেগেছিল।
আমার পাশে যাকে দেখতে পাচ্ছেন সে হচ্ছে আমার বেস্টফ্রেন্ড। আমরা দুজন আগে অনেক ঘুরতাম তবে এখন আর তেমন ঘোরাফেরা হয় না কারণ ও এখন ঢাকায় জব করে। বছরে ১-২ বার ছুটি পেলে বাসায় আসে। আসলে বাস্তবতা অনেক কঠিন। জীবিকা নির্বাহের জন্য কখন কাকে কোথায় যেতে হয় বলা মুশকিল। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন আমাদের বন্ধুত্ব যেন সারা জীবন এভাবেই দৃঢ় থাকে।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
Device | Tecno spark 20c |
---|---|
Camera | 50 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
অনেক অনেক ভালো লাগলো আজকে আপনি আমাদের মাঝে ডিটেলস আকারে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। যেখানে আপনার বন্ধু ঢাকাতে চাকরি করেন সে চার দিনের জন্য পূজা ছুটিতে বাড়িতে এসেছে আর তার সাথে আপনারা পার্কে ঘোরাঘুরি করতে গিয়েছেন। আর সেই ঘোরাঘরের মুহূর্ত টা দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। খুবই ভালো লাগলো চমৎকার এই ভ্রমণ জাতীয় পোস্ট দেখতে পেরে।
ধন্যবাদ আপু 😍
চিকলি পার্ক আমাদের উত্তরবঙ্গের মধ্যে একটি বৃহত্তম বিনোদন পার্ক। আপনি দেখছি আপনার বন্ধু সহ রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্কের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন। আসলে চিকলি ওয়াটার পার্কের সৌন্দর্য যেমন মানুষ আকৃষ্ট করে ঠিক অনুরুপ ভাবে এর জনপ্রিয়তা ও অনেক বেশি। যাইহোক, পার্কের মধ্যে আপনার বন্ধু সহ খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন।
হ্যাঁ দিনটি অনেক সুন্দর ছিল, ভালো একটি মুহূর্ত পার করেছিলাম সেখানে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ 😍
খুব সুন্দর একটি পার্ক ভ্রমণ করেছেন আপনি। আপনার চমৎকার এ পার্ক ভ্রমন দেখে ভালো লাগলো। যেখানে আপনার বন্ধু বাড়িতে পূজার ছুটিতে এসেছেন এবং আপনার সুযোগ হয়েছে একত্রে সেখানে ঘুরতে যাওয়ার। এমন দারুন মুহূর্ত দেখে খুব ভালো লাগলো আমার।
ধন্যবাদ ভাইয়া 😍
রংপুর চিকলি ওয়াটার পার্কে অনেক দিন আগে সেখানে ভ্রমণ করছি।এর আগে গিয়ে সেখানে দারুণ ভাবে ভ্রমণ করছি।তবে এখন নাকি চিকলি ওয়াটার পার্ক আগের থেকে অনেক সুন্দর করছে।যাইহোক আপনার পোস্টের মাধ্যমে সব কিছু জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া দিন দিন চিকলি অনেক উন্নতি সাধন করতেছে। এখনো কাজ চলতেছে আরও আকর্ষণীয় করার। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।