"ছুটতে ছুটতে বারাসাত অভিমুখে"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করি সবাই অনেক ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালো আছি।তাই আজ আমি আবারো হাজির হলাম ব্যস্ত দিনের অনুভূতি নিয়ে আপনাদের মাঝে।যদিও কয়েকদিন ধরে ঠিক সময়ে পোষ্ট ও কমেন্ট করতে পারছি না অনেক ব্যস্ততার কারনে।আগেই বলেছি ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাস শুধুই ব্যস্ততা ও ছোটাছুটির উপরেই থাকতে হবে।যাইহোক এই ছবিগুলো আমি গতকাল শেওরাফুলি ঘাট থেকে সংগ্রহ করেছি।তো আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে দৃশ্যগুলো।তো চলুন শুরু করা যাক---
ছুটতে ছুটতে বারাসাত অভিমুখে: এখন সময়টা যেহেতু শীতকালের দিকে অগ্রসর হচ্ছে সেহেতু খুবই দ্রুততার সঙ্গে সময় ফুরিয়ে যায়।আগে থেকেই প্ল্যান ছিল সোমবার বারাসাত শহরে যাবো।কারন যেহেতু আমরা আগে ওখানে বসবাস করতাম সেহেতু সকল কাগজপত্র ওখানেই রইয়ে গেছে।করোনা এবং নানাকারনে এখনো ট্রান্সফার করে নিয়ে আসা হয়নি বর্ধমানে।সকালে না খেয়ে বাড়ি থেকে বের হতে হতেই দেরি হয়ে গেল তাই বর্ধমান থেকে শেওরাফুলি 8.38 এর ট্রেনটা ধরলাম।বর্ধমান থেকে বারাসাত যেতে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টা সময় লেগে যায়।একদিনে যাওয়া আসা করতেই 6-7 ঘন্টা পার হয়ে যায়।তবুও আমার কলেজেও কিছু কাজ রয়েছে তাই চেষ্টা করি সবসময় দিনের দিন বাড়ি আসার।গতকাল ও তার ব্যতিক্রম হয়নি।আমি মূলত গিয়েছিলাম স্কলারশিপের জন্য আমাদের কাউন্সিলরের কাছ থেকে ইনকাম সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য।আমার সঙ্গে আমার দাদাও গিয়েছিল।
শেওরাফুলি ঘাট থেকে বোট করে গঙ্গানদী পার হয়ে দুইবার অটো ধরে বারাসাত পৌঁছালাম।যেহেতু পার্টি অফিসের অনেকেরই সঙ্গে আমার বাবার বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে।সেহেতু বাড়ি বসে আমাদের অনেক কাজ হাসিল ও হয়ে যায় ,শুধু কষ্টকর সেখানে গিয়ে নিয়ে আসা।যাইহোক কাউন্সিলরের অফিসে গিয়েই পরিচিত মানুষগুলোকে দেখতে পেলাম।তারা সবাই যেহেতু আমাদের চেনেন তাই বেশ আন্তরিকতার সঙ্গে আমার প্রথম কাজটি আগে করে দেওয়ার চেষ্টা করলো।তাড়াহুড়োতে একটি আসল কাগজ বাড়িতেই ফেলে গেলাম তাই খুবই ঝামেলা পোহাতে হলো দাদাকে অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করতে গিয়ে।তারপর বাবাকে ফোন দিয়ে সেই গুরুত্বপূর্ণ কাগজের বিভিন্ন আইডি নং জেনে নিয়ে অনেকটা সময় পর সমাধান হলো।আবার ছুটতে হলো প্রিন্ট আউট বের করতে সেখানে কাজ মিটিয়ে পুনরায় ছুটতে হলো কাউন্সিলরের সিগনেচার আনতে।
তখন অফিস প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময়, তবে কাউন্সিলর বেশ দেরিতে এসেছিলেন গতদিন।যাইহোক আমার দাদা আমার অনেক আগে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল ,তার কিছুক্ষণ পর আমিও গেলাম।গিয়ে দেখি অনেক দূরের মানুষকেও ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং বলা হচ্ছে পরের কাজ সন্ধ্যায় কাউন্সিলর বসলে তখন করে নিতে।কিন্তু পার্টির লোক যেহেতু আমার বাবার সুপরিচিত তাই সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের কাজ মিটিয়ে দিলেন।আমরা কাজ মিটিয়ে সোজা চলে গেলাম একটি হোটেলে খেতে।ডিমভাত খেয়েই ছুটলাম পাশাপাশি দুটি ব্যাংকে।ব্যাংকে গিয়ে আমি কিছু টাকা তুললাম।তারপর বইয়ের আপডেট করিয়ে দাদাও ব্যাংকের একগাদা কাজ মিটিয়ে নিল।বেলা তখন প্রায় শেষের দিকে ,তাড়াহুড়ো করে অটো ধরে শেওরাফুলি ঘাটে পৌঁছালাম।
শেওরাফুলি বাজার বেশ জমজমাট সকাল ও সন্ধ্যা।তবুও হাতে সময় কম তাই নতুন এক প্রকার শাক কিনে নিয়ে তাড়াতাড়ি ট্রেন ধরলাম।সেখানে তো পুরো দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড় ভিড়ের কারনে।রীতিমতো আমার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে গিয়েছিল তাও ভালো আমি লেডিস কামড়াতে উঠেছিলাম।যাইহোক আমাদের স্টেশন পৌঁছে একটি পরিচিত বাড়ি থেকে দাদা তার সাইকেল নিয়ে আসলো।দাদার সাইকেল চেপে বাড়ি ফিরতে ফিরতে 8.30 বেজে গেল।ইতিমধ্যে কলেজ থেকে মেসেজ এসেছে রাত 10 টার মধ্যে একটি ফর্ম ফিলাপ করতে হবে।তাড়াতাড়ি ভাত খেয়ে দাদা অনলাইনে আমার ফর্মফিলাপ করে দিল।আসলে আমার দাদা আমার পড়াশুনার ক্ষেত্রে অনেক অনেক হেল্প করে দেয় এইজন্য আমি খুবই লাকি।যদিও দাদাকে নিজের এবং সবার কাজ সামলিয়ে আমার কাজ করে দেওয়াটা বেশ প্রেসার হয়ে যায়।অনেক ক্লান্তি লাগছিল 6-7 ঘন্টা টানা ছোটাছুটি ও জার্নি করার জন্য।কমিউনিটির কোনো কাজ না করেই ঘুমিয়ে পড়লাম শেষমেশ।
তো আজকের লেখা ব্যস্ততম দিনের অনুভূতিটি আশা করি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।
🌸ধন্যবাদ সকলকে🌸
ক্যামেরা: poco m2
অভিবাদন্তে: @green015
টুইটার লিংক
ব্যস্ততার কারণে আপনি পোস্ট কমেন্টস সঠিক সময়ে করতে পারেননি। আসলে শীতকালে দিন ছোট হওয়ায় খুব তাড়াতাড়ি অতিক্রম হয়ে যায় দিন। যাইহোক আপনি খুব দ্রুত আপনার ব্যস্ততা কাটিয়ে উঠুন সেই কামনা করি। আমি তিতুমীরের বারাসাত বিদ্রোহের কথা শুনেছি ও পড়েছিলাম। আপনার টাইটেল টা দেখেই পোস্টটি পড়ার জন্য ঢুকলাম।
হ্যাঁ আপু,তিতুমীরের বারাসাত বিদ্রোহ একটি ঐতিহাসিক বিষয়।আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি আপু ব্যস্ততাই জীবন। আর আপনি যখন বারাসাত থাকতেন, তাই কাগজপত্র বারাসাতে থাকা স্বাভাবিক। যাইহোক আপনি ও আপনার দাদা মিলে স্কলারশিপের জন্য কাউন্সিলরের কাছে গিয়েছিলেন। সেখানে পরিচিত লোক থাকাতে কাজ গুলো ভালো ভাবে করতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগল। আসলে আপু পরিচিত লোক ছাড়া কোন কিছুই হয় না। ধন্যবাদ দিদি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু,জীবনে প্রয়োজনীয় কাজে পরিচিত লোক থাকা খুবই জরুরী।ধন্যবাদ আপনাকে।
মানুষের জীবনে ব্যস্ত থাকা স্বাভাবিক, ব্যস্ততা একটা সময় মানুষকে ঘিরে ধরে। কিছুটা সময় ফ্রি থাকলেও পরক্ষণে আবার অনেকেই ব্যস্ত হয়ে যায় আপনার ক্ষেত্রে হয়তো সেটাই ঘটেছে। আসলে বর্তমান সময়ে ট্রেনের অবস্থা অনেক বেশি খারাপ সেখানে সিটের সংখ্যা থাকলেও অনেক বেশি মানুষের ভিড় দেখা যায়, যদিও ছেলেদের ক্ষেত্রে তেমন একটা সমস্যা হয় না কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যা শেষমেষ আপনি মেয়েদের কামড়াতে উঠেছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। যাই হোক অনেকটা সময় জার্নি করার পরে আসলেই তখন আর অন্য কোন কাজ করতে মন চায় না।
সত্যিই ভাইয়া, শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়লে কিছু করতে ভালো লাগে না।আমার তো শুধু ঘুম পেয়ে যায়, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জীবনটাই নদীর মত। সব সময়ই দৌড়ে যেতে হয়।থামলেই সব এলোমেলো হয়ে যায়।চেনা জানা বড় পজিশনের এই সুবিধা,খুব সহজেই ঝামেলার কাজ গুলো সারা যায়।আর দাদারা বোনের কাজ করতে কখনো ক্লান্ত হয়না।ধন্যবাদ দিদি এত ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের সাথে ব্লগটি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন দাদা, ক্ষমতাবান লোকেরা চেনা জানা হলে খুব সহজেই অনেক কাজ তাড়াতাড়ি মেটানো যায়।আর দাদাদের কষ্ট হলেও প্রকাশ করে না,ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রয়োজনীয় কাজে বারাসাত শহরে গিয়েছেন । আসলে শীতকালে সময়ের সাথে পেরে উঠে কাজ করা যায় না। ঐ জায়গায় কাজ গুলো সম্পূর্ণভাবে করতে পেরেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। আসলে কিছু কিছু সময় আমরা খুবই ব্যস্ত থাকি। আপনি এত ব্যস্ততার মাঝে এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে পোস্টটি উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।