"মরিচ পোড়া দিয়ে মজার ডিম ভর্তা রেসিপি"
নমস্কার
মরিচ পোড়া দিয়ে মজার ডিম ভর্তা রেসিপি:
বন্ধুরা, আগের মতো করে প্রতিনিয়ত আর রেসিপি পোষ্ট শেয়ার করা হয়ে ওঠে না।তবুও ব্যস্ততার মাঝেও চেষ্টা করি নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করার।গরমকালে পান্তাভাত খাওয়া শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী।এটা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।আগেকার গ্রাম্য মানুষের রোজ সকালের খাবার ছিল পোড়ানো মরিচের সঙ্গে নুন মেশানো পান্তাভাত।এমনিতেই আমাদের বাড়িতে কখনো পান্তাভাত খাওয়া হয় না।কিন্তু গতদিন মা ইচ্ছেকরেই কিছু ভাত বাড়তি রেখেছিলেন।তাই ভাবলাম কি দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়া যায়! তখনই মাথায় আসলো মরিচ পুড়ানোর সঙ্গে ডিম ভর্তা বানানোর।তারপর চুলার আগুনে সেদ্ধ ডিমের সঙ্গে মরিচ পুড়িয়ে ভর্তা বানিয়ে পান্তাভাত খেলাম।একটি কাঁচা লঙ্কাও সঙ্গে নিয়েছিলাম,দারুন মজার হয়েছিল খেতে।আশা করি এই রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের কাছেও।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপিটি শুরু করা যাক----
উপকরণসমূহ:
2.পেঁয়াজ কুচি -1 টি
3.শুকনো পোড়া মরিচ - 4 টি
4.কাঁচা মরিচ - 1 টি
5.লবণ- 1 টেবিল চামচ
6.সরিষার তেল- 1.5 টেবিল চামচ
প্রস্তুত-প্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি ডিম দুটি সেদ্ধ করে নিলাম পরিমাণ মতো জল দিয়ে একটি কড়াইতে।
ধাপঃ 2
তো ডিমগুলো ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে গেলে এখন একটি পাত্রে উঠিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 3
এবারে শুকনো মরিচ নিয়ে নিলাম কয়েকটি।
ধাপঃ 4
এরপর চুলা থেকে কিছু আগুন তুলে নিয়ে তার মধ্যে শুকনো মরিচগুলি পুড়িয়ে নিলাম ভালোভাবে।
ধাপঃ 5
এখন সেদ্ধ ডিমের খোসা ছাড়িয়ে নিলাম।
ধাপঃ 6
এবারে পেঁয়াজ কুচি,লবণ ও পোড়া মরিচ একত্রে মেখে নিলাম।
ধাপঃ 7
এরপর সেদ্ধ ডিমগুলো মেখে নিলাম মিহি করে।
ধাপঃ 8
এখন মেখে নেওয়া লবন,মরিচ ও পেঁয়াজগুলি ডিমের মধ্যে নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 9
এবারে পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে সবকিছু একত্রে পুনরায় মেখে নিলাম।
ধাপঃ 10
সবশেষে ডিম ভর্তার উপর একটি কাঁচা মরিচ বসিয়ে নিলাম। তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "মরিচ পোড়া দিয়ে মজার ডিম ভর্তা রেসিপি"।
পরিবেশন:
এখন এটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে কিংবা পান্তাভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।চাইলে আপনারাও ট্রাই করে দেখতে পারেন,এমন গরমকালে পান্তাভাতে ডিম ভর্তা রেসিপি করে খাওয়ার।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
পান্তাভাত ছোটবেলায় খাওয়া হতো মরিচ পুড়ানোর সাথে। আমাদের শরীরের জন্যও ভালো পান্তাভাত। অনেকদিন পর ডিমের ভর্তা দেখলাম। শুকনো মরিচের সাথে একটু বেশি করে পেয়াজ দিলে ডিমের ভর্তা দারুণ লাগে খেতে দিদি। আপনার ভর্তাটিও মজা হয়েছে মনে হচ্ছে।
হ্যাঁ ভাইয়া, খুবই মজার হয়েছিল।আসলেই ভর্তাতে পেঁয়াজ কুচি বেশি দিলে ভালো লাগে খেতে কিন্তু গরমে একটু কম দিয়েছিলাম আমি।ধন্যবাদ
মরিচ পোড়া দিয়ে মজার ডিম ভর্তা রেসিপিটি বেশ দারুণ ছিল। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার কাছ থেকে বেশ দারুণ দারুণ রেসিপি দেখতে পাই। অনেক ভালো লাগলো। এটা খেতেও মনে হয় বেশ সুস্বাদু। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আপনার প্রশংসামূলক মতামত পড়ে উৎসাহ পেলাম, ধন্যবাদ ভাইয়া।
মরিচ পোড়া দিয়ে ডিম ভর্তা রেসিপিটি বেশ লোভনীয় ছিল। ডিম ভর্তা কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার পোস্টটি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে । নতুন একটি রেসিপি আপনার মাধ্যমে শিখে নিলাম। আমি বাসায় একদিন ট্রাই করবো ধন্যবাদ আপু।
অবশ্যই ট্রাই করবেন আপু।আর মজার রেসিপিটি আপনি আমার থেকে শিখতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো।
দিদি বর্তমানে গ্ৰামের মানুষগুলো ও বড়লোক হয়ে গিয়েছে আর সেজন্য এখন গ্ৰামেও তেমন কাউকে পান্তা ভাত খেতে দেখা যায় না। তবে ছোট বেলায় পান্তা ভাতের প্রচলন গ্ৰামে সবার ঘরে ঘরে দেখেছি যা এখন হারিয়ে গিয়েছে। এই গরমে সকালের নাস্তায় পান্তা ভাত খেতে দারুণ লাগে। এর সাথে মরিচ পুড়া হলে তো কথাই নেই। বুঝতে পেরেছি আজকের নাস্তা আপনি জমিয়ে খেয়েছেন। যাই হোক এভাবে ডিম ভর্তা খেতে আমি খুব পছন্দ করি। মাঝে মাঝেই এভাবে ডিম ভর্তা করা হয় কিন্তু পান্তা ভাত দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। একদিন খেয়ে দেখবো। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু ঠিকই বলেছেন,বর্তমানে আসলে সবকিছু বিলুপ্ত।আপনি অবশ্যই পান্তাভাতের সঙ্গে ডিম ভর্তা ট্রাই করে দেখতে পারেন।আশা করি দারুণ মজার খেতে হবে।
মরিচ পোড়া দিয়ে ডিম ভর্তা নাম দেখেই তো জিভে জল চলে আসলো।ঠিক বলেছেন দিদি আগেকার দিনে নুনও মরিচ পুড়িয়ে পান্তা খেলতেন।আপনার পান্তা খাওয়ার কথা শুনে আমারও খেতে মন চাচ্ছে। আপনি চমৎকার ভাবে মরিচ পুড়িয়ে ডিম ভর্তা করেছেন এবং ভর্তা করার পদ্ধতি চমৎকার ভাবে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। সব মিলিয়ে অসাধারণ সুন্দর একটি রেসিপি।ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু রেসিপি টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
দিদি আপনার কমেন্টগুলি সুন্দর।কিন্তু কিছু শব্দের ভুলের জন্য অর্থই পরিবর্তন হয়ে যায়, আশা করি পরবর্তীতে খেয়াল রাখবেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
গরমের সময় পান্তা ভাত খেলে শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। আর পান্তা ভাতের সাথে যে কোন ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে। মরিচ পুড়ে এরপর ডিম ভর্তা করেছেন দেখে ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে ডিম ভর্তা খেতে দারুন হয়েছিল।
হ্যাঁ আপু,আসলেই দারুণ খেতে হয়েছিল।আর পান্তা গরমকালের জন্য বেশ উপকারী।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু গরমের সময় সকলের খাবার ছিল শুকনা মরিচ পেয়াজ ও পান্তা ভাত। আর এই খাবারটি খেলে শরীর অনেক ঠান্ডা থাকতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই ধরনের খাবার অনেক মানুষই খুবই কম খায়। আপু আপনার আজকে ডিম ভর্তা রেসিপিটি দারুন হয়েছে। দেখে যেন মনে হচ্ছে এখনই এটা খেতে শুরু করে দেয়।
হি হি,তাহলে খাওয়া শুরু করে দিন আপু।খুবই মজার খেতে,ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেকদিন হলো ডিমের ভর্তা খাওয়া হয় না। ডিম ভর্তা আমার ভীষণ পছন্দ। ডিম ভর্তার সাথে আলু সিদ্ধ অ্যাড করতে পারলে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। অনেকদিন পর আপনার পোস্টে ডিম ভর্তা দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। আর মরিচ পোড়া ব্যবহার করলে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ দিদি লোভনীয় একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ডিম ভর্তা আপনার খুবই পছন্দ জেনে ভালো লাগলো।তাছাড়া মরিচ পোড়া দিলে স্মেল সুন্দর পাওয়া যায়, ধন্যবাদ আপু।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Thank you so much💝.