Better life with steem || The Diary Game || 10th December
গত বৃহস্পতিবারে পার্টি করার সময় আমরা জানতাম যে বাচ্চাদের স্কুল ছুটি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেদিন কেন যেন কোন স্কুল বন্ধের নোটিশ দিল না। শিক্ষকরা মৌখিকভাবে বিদায় দিয়ে দিল এবং বলল যে নোটিশ পরে জানিয়ে দিবে। কিন্তু কোন নোটিস এলো না ।পরে খোঁজ নিয়ে জানলাম যে স্কুল এখনো বন্ধ ঘোষণা করেনি। স্যারকে ফোন দিলাম, স্যার ও বলল যে হ্যাঁ!!! একটা প্রোগ্রাম হওয়ার কথা ছিল। প্রোগ্রামটি হয়নি, তাই স্কুল খোলা থাকছে।
কি আর করা !!!রোববার সকালে আবারো স্কুলের প্রস্তুতি নিয়ে নিলাম। এখন রাস্তাঘাট একটু ফাঁকা বিধায় দেরি করে বের হই। আটটার দিকে বাসা থেকে বের হলাম ছেলেকে নিয়ে। এর আগে আরো সকালে আমার মেয়েকে কলেজে দিয়ে আসলো ওর বাবা। সাড়ে আটটা ছেলেকে অ্যাসেম্বলিতে দিয়ে আমি হাঁটতে বের হয়ে গেলাম। হাঁটতে হাঁটতে বেশ কিছু ফুলের ছবির ফটোগ্রাফিও করে নিলাম।আজকে প্রায় ৪০ মিনিট হেঁটে ওয়েটিং রুমে এসে বসলাম। এরপর নাস্তা খেয়ে নিলাম।আমার বন্ধুরা চার জন এসেছিল। তাদের সাথে বেশ কিছুক্ষণ বসে গল্প করলাম। আমার বান্ধবী বাসা থেকে কেক বানিয়ে নিয়ে এসেছিল ওখান থেকে আমি কয়েক টুকরা রেখে দিলাম।এরপর দেখলাম হালকা ঠান্ডা লাগছে তাই রোদে যেয়ে বসলাম।
বারোটার দিকে ছুটি হয়ে গেলে ছেলেকে নিয়ে মেয়ের কলেজে চলে গেলাম। ওর ছুটি একটায়। একটা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরে ওকে নিয়ে বাসায় ফিরে আসলাম। বাসায় ফিরতে ফিরতে প্রায় দুইটা বেজে গেল। এরপর বাসায় এসে খেয়াল করলাম আজকে দুপুরের জন্য কোন মাছ রান্না করা নেই। তাই জলদি ফ্রিজ থেকে সরপুঁটি মাছ বের করে নিলাম। শীতের দিনে বরফ সহজে গলতে চায় না এরপর কলের নিচে ছেড়ে দ্রুত বরফ ছাড়িয়ে ভালো করে মাছ পরিষ্কার করে নিলাম। এরপর পেঁয়াজ, টমেটো দিয়ে দোপেঁয়াজি করে নিলাম ।এরপর গোসল করে নামাজ পড়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।
দুপুরের খাবারের পরে আমি সাধারণত এক কাপ চা খাই। কারণ সকালে বাসায় না থাকার কারণে সকলের চা টা মিস হয়। আজকে চা আমায় বিছানার পাশে রেখে যেই বসতে যাব এমন সময় আমার হাজব্যান্ড এর হাতের ধাক্কায় চা টা পড়ে গেল । আজ আর চা খাওয়া হলো না।এদিকে ৪:১০ এ মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলাম দিদি ডিসকর্ডে ডেকেছেন।চট জলদি ঢুকে গেলাম এবং দিদির কথা শুনলাম।যাই হোক এরপর রান্না সহকারী এলে তাকে রান্নার জিনিস গুলো বুঝিয়ে দিলাম। আজকে রান্না করেছি নলা মাছ দিয়ে সিম, কুমড়া শাক ভাজি, বেগুন ভাজা ও আইড় মাছ দিয়ে বেগুনের ঝোল।
এর মধ্যে আইড় মাছের ঝোল আজকে রাতেই খাবারের জন্য। কোথায় যেন পড়েছিলাম রাতের বেলা আঁশ না থাকা মাছগুলো খেতে নেই। এতে নাকি পেটে ব্যাধি হয়। সত্য মিথ্যা জানি না।আপনারা যদি কেউ জেনে থাকেন জানাবেন।রান্না শেষে এরপর আমি বন্ধুদের পোস্ট পড়লাম এবং কিছু কমেন্ট করলাম। এরপর ছেলে খাবার খেয়ে নিল। ছেলে ঘুমোতে যেতে চাইলে তাকে রেডি করে ঘুম পাড়িয়ে ঘুমাতে পাঠিয়ে দিলাম। আর আমি আবার মোবাইল নিয়ে বন্ধুদের পোস্ট পড়ে কমেন্ট করতে বসলাম। এর পরে রাতের খাবার খেয়ে নেব। খেয়ে জলদি ঘুমিয়ে পড়তে হবে কারণ আগামীকাল সকালে দুজনেরই ক্লাস আছে। তাই আজকের মত এখানেই লেখা শেষ করছি।
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |
আগে একসময় পরীক্ষা শেষ হলেই স্কুল বন্ধ হয়ে যেত, কিন্ত এখন সব উল্টো লাগে।আপনার ছেলের পরীক্ষা শেষ হলেও স্কুলে যাওয়া লেগেছে। দুপুরে বাসায় এসে ফ্রিজ থেকে মাছ বের করে রেধেছেন।রাতে আইড় মাছ খেয়েছেন।আর ওসব তথাকথিত কথার কোনো ভিত্তি নাই,আপনি নিশ্চিন্তে খেতে পারেন আইড় মাছ।আপনার দিনলিপিটি চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।।
গত বৃহস্পতিবার পার্টি শেষে আপনার জানলেন যে স্কুল ছুটি হয়ে যাচ্ছে। তারপর পরে খোঁজ নিয়ে জানলেন যে স্কুল এখনো বন্দর ঘোষণা দেয়নি। তারপর রোববার সকাল হতেই স্কুলে যাওয়ার আবার প্রস্তুতি নিলেন।
ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে তারপর আপনি একটু হাঁটতে বের হন হাঁটার সময় দেখেন কতগুলো ফুলের ছবি এবং সেই গুলো ক্যামেরাবন্দি করে নিলেন। তারপর ছেলে বারোটা বাজে স্কুল শেষ হল ছেলেকে নিয়ে মেয়ের কলেজে গেলে ওখান থেকে বারবার দুটার সময় এসে রাত দুপুরে রান্নাবান্না করে নিলেন। তারপর বিকেলবেলা ডিসকর্ডে গিয়ে দিদির সাথে কথা বলেন। তারপর ছেলেকে রাত্রে খাওয়া দাওয়া করে ঘুম পড়ে এবং আপনারা আস্তে আস্তে করে সবাই ঘুমিয়ে গেলেন।।
থ্যাংক ইউ খুব সুন্দর একটি ডেরি গেম আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।
বাচ্চাদের স্কুল ছুটি দেয়ার কথা ছিলো এবং নোটিশ দেয়ার কথা ছিলো কিন্তু আপনি নোটিশ পাননি বলে একটু খোঁজ খবর নিয়ে দেখলে এবং আপনি স্যারের সাথে ফোনে কথা বলে জানতে পারলে স্কুলে একটি প্রোগ্রাম হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু সেটি ক্যান্সেল হয়ে যায় যার জন্য স্কুল খোলা থাকবে।
তাই আপনি রবিবারে সকালে আপনার ছেলেকে স্কুলে নিয়ে গেলেন এবং আপনার মেয়েকে তার বাবা কলেজে দিয়ে এসেছে।সাড়ে আটটা ছেলেকে অ্যাসেম্বলিতে দিয়ে আপনি হাঁটতে বের হয়েছিলেন। এবং আপনি কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি ধারণ করেছিলেন যা আমাদের মাঝে আপনি শেয়ার করেছেন।
যাইহোক আপনার সারাদিনের একটি কার্যক্রম আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
স্কুল বন্ধ জেনেও যদি আবার স্কুল খোলার কথা থাকে এ বিষয়ে একটু বিরক্ত লাগে।আপনার বন্ধুদের সাথে আপনার সম্পর্ক বেশ দারুন। আপনার ছেলের স্কুল খোলা থাকায় বাড়ির কাজ ঠিক মত করতে পারলেন না তাই বাচ্চার স্কুল শেষে বাসার সকল কাজ করলেন। আপনার রান্না করা রেসিপি গুলো নাম শুনে জ্বিবে পানি চলে আসলো। সারাদিন এর সকল ব্যস্তময় সময় গুলো আমাদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন। অনেক ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
ঐদিন সবাই মিলে অনেক আনন্দ করেছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। স্কুল হয়তোবা বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু কোন নোটিশ না পাওয়ার কারণে আপনি স্কুলে স্যারের কাছে কল করেছেন। স্যার বলেছে একটা প্রোগ্রাম হবে তাই স্কুল বন্ধ হয়নি। তাই ছেলেকে নিয়ে আবার স্কুলে গিয়েছেন। ওখান থেকে মেয়ের কলেজে কলেজ শেষ করে বাসায় ফিরে এসে এক কাপ চা খাওয়ার জন্য রেডি করেছেন। কিন্তু চা খাওয়া আপনার হলো না কেননা আপনার হাজবেন্ডের ঢাকা খেয়ে চা টা নিচে পড়ে গেল।
সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পরেও নিজের ইচ্ছাটা পূরণ হয় না। তখন অনেক বেশি খারাপ লাগে যাই হোক রাতের খাবারের জন্য আপনি মাছ রান্না করেছেন। আপনি লিখেছেন এই মাছের আঁশ না থাকার কারণে নাকি। এই মাছ খাওয়া মোটেও ঠিক না আমিও ঠিক জানিনা। আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
ভেবেছেন ছেলেরা স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে তবে, হয়নি তাই আবার স্কুলে ছেলেকে নিয়ে আসতে হয়েছে এরপর আপনার ছেলেকে এসম্বেলিতে দাঁড় করিয়ে দিলেন এবং কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করলেন এর মাঝে খুব সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি তুললেন, এরপরে আপনার বান্ধবীর আনা কেক খেললেন, দুপুরে বাড়িতে এসে ভেবেছেন এক কাপ চা খাবেন তবে, সেটার খাওয়া হলো না। যাইহোক খুব সুন্দর একটি দিনতো করেছেন আপনার জন্য হলে অনেক অনেক শুভকামনা।
ম্যাম একজন মায়ের অনেক দায়িত্ব থাকে সেটি আপনার লিখাতে স্পষ্ট । ছেলে মেয়ের জন্য সময় ব্যায় করে আবার সংসারের কাজ সামলানো সত্যি অনেক কষ্টকর। একমাত্র মায়েরাই পারে এমন কষ্ট করতে। তাই মা হলো সবার থেকে আলাদা।
আপনার ফুলের ফটোগ্রাফিটি অনেক সুন্দর হয়েছে ম্যাম। এছাড়া আপনার রান্নার ফটো দেখে বুজলাম নিশ্চই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের জন্য দোয়া করি আপনার সকলেই ভালো থাকুন। শুভকামনা রইলো ম্যাম।
স্কুলে প্রোগাম টা না হওয়ার কারনে সেই দিন ও স্কুল খোলা ছিল কি আর করার আপনার ছেলেকে নিয়ে স্কুলে চলে যান ৷ তারপর বারো টা বেজে ছেলেকে নিয়ে চলে আসেন আর আসার পথে বেশ কয়েকটি ফুলের ছবি ফটোগ্রাফি করে থাকেন ৷ তারপর রাতের বেলা অনেক খাবারের আয়োজন করেছেন সেগুলো খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন ৷
এভাবেই আপনার আজকের দিনটি অতিবাহিত হয়েছে ৷ যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
আমাদের সাভারে প্রায় সব স্কুলেই বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছে এবং স্কুল বন্ধ দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম যে আপনার ছেলের স্কুল এখনো ছুটি হয় নি। এই শীতের মধ্যে সকাল বেলা বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে যাওয়া টা ও অনেকটা কষ্টের।
যাইহোক, ছেলে স্কুলে দিয়ে আপনি আপনার বান্ধবীদের সাথে হাটলেন এবং নাস্তা করেন।এরপরে ছেলের স্কুল ছুটি হলে মেয়ের কলেজে যান।
বাসায় এসে রান্না করেন,নামাজ আাদায় করে খবার খান,,কিন্তু ভাইয়ার হাতে লেগে চা পরে যাওয়ার কারণে চা খাওয়া হলো না।
এরপরে বিকালে রান্না করেন।
আর এভাবেই আপনার একটি দিন কেটে যায় সাংসারিক ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে।আপনার প্রতিটি দিন অনেক ভালো কাটুক এই কামনা করি।