অপমান যেভাবে ফিরে আসে
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমরা সাধারণত আমাদের রাগের বশে অনেককে অনেক রকম অপমান করে ফেলি। ব্যাপারগুলো হয়তো এমন হয় না যে কেউ ইন্টেনশনালি অপমান করছে কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে কারো দোষ ধরছে। সেটা হলেও হতে পারে। কারণ আমাদের চারপাশে কতো ধরনের, কতো রকমের, কতো চিন্তার মানুষ রয়েছে। সেগুলো আমরা নিজেরাও জানিনা। কিন্তু সাধারণত করা হয়ে যায় রাগের বশে। বেশিরভাগ সময় আসলে রাগ জিনিসটা কখনোই একেবারে ভালো কিছু নয়। তাই রাগের বশে কোনো কাজ করলে, সেটা যে কখনোই ভালো হয় না সেটাও নতুন কিছু নয় ।
তবে একটা ব্যাপার আমি খেয়াল করে দেখেছি যে। কেউ যদি রাগ করে কাউকে অপমান করে এবং যাকে অহেতুক অপমান করা হলো সে যদি মনে সত্যিকার অর্থেই কষ্ট পায়। তাহলে আসলে সেই কষ্টটা কিভাবে যেনো যে অপমান করেছে তার দিকেই দিনশেষে ফিরে আসে। এটা কোনো অলৌকিকতা কিংবা আশ্চর্যজনক ঘটনা কিনা আমি জানিনা। কিন্তু এটা আমি প্রায় সময় খেয়াল করেছি যে, কাউকে কষ্ট দিলে সেই কষ্ট নিজেই আবার বিপরীত দিকে ফিরে আসে।
তাই আমার মনে হয় কোথাও কোনো যদি ভুল হয়েও যায়। তাও অন্য কাউকে অপমান করা উচিত নয়। কারণ আপনি যদি অপমান করতে চান। তাহলে আসলে ওই অপমানটা হয়তো আপনি সেই মুহূর্তে করতে পারবেন এবং একটা পৈশাচিক আনন্দ পাবেন। কিন্তু ওই পৈশাচিকতা কিভাবে যেনো আপনার দিকে ফিরে আসবে, সেটা আপনি টের ও পাবেন না। এই কথাগুলো যে শুধু আমি আপনাদের বলছি তা নয়। আমি আমার নিজেকেও বলছি। কারণ আমি যে নিজে একেবারে ধোয়া তুলসী পাতা তা নয়। কারণ দোষে গুণ এই মানুষ। তাই নিজের দোষ গুলো সম্পর্কে যদি একটু সচেতন হতে পারি। যদি নিজের চোখে নিজেই আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারি। তবে আমার মনে হয় নিজের দোষ গুলো থেকে কিছুটা হলেও বেরিয়ে এসে ভালো কিছু করা সম্ভব।