হারানো চিঠির খোঁজে-দ্বিতীয় পর্ব
দাদির ডায়েরি
রিয়া বুঝতে পারল, চিঠিগুলো থেকে কোনো উত্তর পাওয়া সম্ভব নয়। তাই সে দাদির অন্যান্য জিনিসপত্র ঘাঁটতে শুরু করল। তার দৃষ্টি আকর্ষণ করল একটি পুরানো ডায়েরি। ডায়েরিটি ছিল গাঢ় নীল রঙের, বাইরে সোনালি অক্ষরে লেখা ছিল “লক্ষ্মী”।
ডায়েরিটি খুলে রিয়া দেখতে পেল, প্রথম পৃষ্ঠাতেই লেখা রয়েছে, “প্রিয় সুবীর, তোমার জন্যই এই ডায়েরি লিখছি।” রিয়ার মনে উত্তেজনা বাড়তে থাকল। সে একে একে ডায়েরির পাতাগুলো উল্টাতে লাগল।
ডায়েরির শুরুতে দাদির জীবনের নানা স্মৃতি লেখা ছিল। ছোটবেলা, তার পড়াশোনা, বাবা-মায়ের সাথে সম্পর্ক—সবকিছু ছিল সেখানে। তবে রিয়া একটি জায়গায় এসে থেমে গেল। সেখানে লেখা ছিল, “তুমি যখন প্রথমবার আমাকে দেখেছিলে, তখন আমিও তোমাকে চিনতে পারিনি। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমাদের বন্ধুত্ব গাঢ় হতে লাগল।”
এই লাইনগুলো পড়ে রিয়া বুঝতে পারল, তার দাদি ও সুবীরের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ডায়েরিতে এক জায়গায় এসে লেখা বন্ধ হয়ে গেছে। ডায়েরির শেষের দিকে কয়েকটি পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।
রিয়া ভীষণভাবে মর্মাহত হল। তার মনে হল, সেই ছেঁড়া পৃষ্ঠাগুলোতেই হয়তো তার প্রশ্নের উত্তর ছিল। কিন্তু কীভাবে পাবে সেই হারানো পাতাগুলো?
তবে রিয়া হাল ছাড়ল না। সে ঠিক করল, সে এই গল্পের পরবর্তী অধ্যায় খুঁজে বের করবে। ডায়েরির শেষ অংশে লেখা ছিল একটি নাম—“কালিয়াচক”। সেই নামের পাশে একটি ঠিকানা ছিল।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.