শীতকালীন করণীয়||@ilias12 blog
শীতকাল
From: Bangladesh
Date: 08-12-2023
Source
শীতকালে আসা মানে শরীরের মধ্যে আলাদা এক প্রকার অনুভূতি কাজ করা। যারা নামই হচ্ছে শীত।যা আমরা পরিবেশের তাপমাত্রা এবং শরীরের অনুভূতির মাধ্যমে বুঝতে পারি। সকালে ঘুম ভাঙলেই জানালা খুলে দেখতে পাই কুয়াশা। ছোটবেলা বাসা থেকে বের হয়ে পুকুরের একপাশ থেকে অন্যপাশে দেখার চেষ্টা করতাম। কিন্তু পারতাম না ।আস্তে আস্তে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশা কাটতে থাকে। বিশেষ করে গ্রামের মানুষ শীতকালের অভিজ্ঞতা ভালো ভাবে বুঝতে পারে।আমাদের বাংলাদেশে ও বিভিন্ন দেশে আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পাই , প্রতি বছর বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এর ফলে এখান থেকে অনেক মানুষ উপকৃত হয়।
Incredible India প্ল্যাটফর্মের এডমিন @sduttaskitchen mam এবং এক প্ল্যাটফর্মের মডারেটর এবং সকল সদস্যদের উদ্দেশ্যে আমি আমার একটি ব্যক্তিগত মতামত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে যদি ভালো লেগে থাকে ,তাহলে অবশ্যই বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবেন। শীতকাল উপলক্ষে গরিব দুঃখীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করার যদি উদ্যোগ নেওয়া যেত কেমন হতো। এই প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে এডমিন ম্যাম যদি এই ধরনের উদ্যোগ নেয় তাহলে আমারা পাশে থাকতে পারি। আমার ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করলাম। কতটুকু সম্ভব তা জানিনা। তবে ,আমরা আমাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রত্যেকেই এতটুকু চেষ্টা করতেই পারি যেন আশেপাশের পথশিশু ও সুবিধাবঞ্চিত দুই একজন মানুষকে হলেও সহায়তা করা।
Source
শীতকালীন করণীয় মধ্যে প্রধান বিষয় হচ্ছে শীতের পোশাক পরিধান করা। সকলেই আমরা বিভিন্ন ধরনের শীতের পোশাক পরিধান করে থাকে। শীতকালে অনেকেই দেখা যায় পোশাক না পড়ে বাইরে বের হতে ।এই দিকটা আমাদের সকলের খেয়াল রাখতে হবে। যাতে আমাদের শরীরে ঠিক থাকে। আর শরীর যখন ঠিক হবে তখন আমাদের মনে ভালো থাকবে।
Source
শীতকালে আমরা ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকি। এজন্য ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য আমরা ক্রিম ,লোশন ও বিভিন্ন ধরনের তেল ব্যবহার করতে পারি। যেন আমাদের ত্বকের মধ্যে শুষ্ক ভাব না থাকে। শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়া বড় এক ধরনের চ্যালেঞ্জ। আশা করি আমরা সকলেই অনেক যত্নশীল হবো।
Source
শীতকালে আমরা গরম পানি খাওয়ার চেষ্টা করব। বিশেষ করে অতিরিক্ত যখন ঠান্ডা পড়ে তখন আমরা ঠান্ডা পানি পরিহার করব। এবং গোসলে পানিও যেন আমার গরম করে নেই। এর ফলে ঠান্ডা কম লাগবে এখন শরীর ভালো থাকবে । ঠান্ডা জনিত রোগ থেকে সহায়তা পাব।
Source
আমরা প্রায় সকলেই চা পছন্দ করে থাকি। শীতকালে চায়ের সাথে আদা, তুলসী পাতা, লং, কালিজিরা এগুলো খাওয়ার চেষ্টা করব। এগুলা খেলে ঠান্ডা কাশি হতে মুক্তি পাব।
Source
শরীর গরম রাখতে মধু কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। শরীরের জন্য অনেক উপকারী ও বটে। এজন্য আপরা শীতকালে মধু খাওয়ার চেষ্টা করব। মধু শুধু শরীর গরমে সহায়তা করে না ।বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে। মধু আমার কাছে অনেক বেশি পছন্দের কারণ এটি একেবারে প্রাকৃতিক।
এবার আসি আমার পছন্দের আরো একটি জিনিস নিয়ে। ঘি খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। ঘি ও শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবারের তালিকায় ঘি রাখতে পারি। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের ভর্তা ও খিচুড়ির সাথে ঘি অনেক বেশি ভালো লাগে। অবশ্যই আমরা ঘি খাবার অভ্যাস করব।
Source
এই ছিল আমার আজকের শীতকালীন করনীয় বিষয় ব্লগ। যদি ব্লগের কোনো বিষয়ে ভুল ত্রুটি থেকে থাকে তা অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার ব্লগের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। ব্লগটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না। আপনাদের মূল্যবান মতামত আমার পরবর্তী ব্লগ লেখার মূল শক্তি। আশা করি আপনারা সকলে আমার পাশে থাকবেন । সকালে সুস্থতা কামনা করে, এখানেই শেষ করছি।ধন্যবাদ সবাইকে । আল্লাহ হাফেজ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এক ভাবে যোগপোযুগী একটি বিষয় নিয়ে সাজানো আপনার ব্লগ টি। আমি নিজেও এলার্জির রোগী।এই শীত আসার সাথে সাথেই বেড়ে যায় এর তীব্রতা।হে খুব উপকারী কয়েকটি পথ্য নিয়ে আপনি লিখেছেন হে গরম পানি, মধু,ঘি,ওচা খুব ভালো কাজ করে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে।
তাছাড়া,কালিজিরা,আদা লেবু তুলসী পাতার রস ও আমি খেয়ে অনেক উপকার পেয়েছি।আর আমি আমাদের মেডিসিন ক্লাব থেকে প্রতিবছরই শীত বস্ত্র বিতরণ করে থাকি। খুব ভালো একটা উদ্যোগ নিয়েছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে। এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
@sairazerin আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং স্যালুট জানাই।আমি আমাদের মেডিসিন ক্লাব থেকে প্রতিবছরই শীত বস্ত্র বিতরণ করে থাকি। এ সকল উদ্যোগ শুধু মানুষের উপকারেই আসে না, অনেক মানুষের মুখে হাসিও ফোটায়।
হে ভাইয়া। ঠিক বলেছেন।এই শীত কারো জন্য আরামদায়ক হলেও হতদরিদ্র মানুষের জন্য খুবই ভোগান্তি র কারন। এধরনের কাজ করতে খুব ভালো লাগে আমার। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কমেন্ট এর রিপ্লাই দেওয়া জন্য।
@sairazerin আপনার কাজের প্রতি সম্মান জানাই।
ধন্যবাদ আপনাকে
আপনার এই অসাধারণ মানুষের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে কল্পনা এবং বাস্তব ভাবনা গুলোকে আমি স্যালুট জানাই। মূলত আমি একজন সাধারণ ফ্যামিলির সন্তান হয়েও আপনার এই চমৎকার প্রস্তাবকে স্বাগত জানাই।
কারণ এই প্রচন্ড শীতে অনেক পথশিশু এবং বৃদ্ধরা রয়েছে যারা শীতে কাতর হয়ে থাকে এবং তাদের শীত উপেক্ষা করার মত পোশাক টুকু পর্যন্ত নাই। আমরা যদি নিজেদের উদ্যোগে আশেপাশের মানুষগুলোকে কিছু শীত বস্ত্র বিতরণ করি তাহলে খুবই ভালো হয়।
কমিউনিটির পক্ষ থেকে যদি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় তাহলে ইনশাল্লাহ পাশে আছি। এবং আপনার এই চমৎকার উদ্যোগকে আমি আবারও স্যালুট জানাই এবং ধন্যবাদ এত চমৎকার একটি প্রস্তাব আমাদের মাঝে নিয়ে আসার জন্য।
@steem-for-future আপনার মতামত প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ জানাই। প্রত্যেকটি সৎকাজ মানুষকে সামনের দিকে আগাতে অবশ্যই সহায়তা করবে।
শীতকালে আমাদের করণীয় সম্পর্কে দারুন কিছু লিখেছেন আপনি। একজন সচেতন মানুষ হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই শীতকালের জন্য আলাদা কিছু প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজয়ন, ঠিক যেমনটা বলেছেন আপনি। এছাড়াও আপনি একটি উদ্যোগের কথা বলেছেন, এটি সামনের হ্যাং আউটে উপস্থাপন করবেন দেখুন দিদি কী বলে, বাকিরা কী বলে। নিশ্চই এটি একটি মহৎ উদ্যোগ।
তাছাড়া আপনি আমাদের জন্যে কিছু নিয়ম ও উপায় বাতলে দিয়েছেন যেগুলো আমাদের অনেক উপকারে আসবে বলে আমি মনে করি। সব মিলিয়ে আপনার লিখাটি অসাধারণ ছিলো। ভালো থাকবেন প্রিয় ভাই আর এমন সব লিখা আমাদের উপহার দেবেন এই কামনা করি।
@rakibal ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সঠিক পরামর্শ প্রদানের জন্য। তবে আমার এই প্লাটফর্মের হ্যাংআউট বিষয়ে সঠিকভাবে ধারণা নেই ।যদি বিস্তারিত জানাতেন কখন কিভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তাহলে আমি অবশ্যই অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করব।
আপনি খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন শীতকালীন সময়টা বিশেষ করে আমার কাছে একটু কষ্টকর তবে এটা উপভোগ করতেও আমি বেশ পছন্দ করি, তবে জেনে ভালো লাগলো পানি চা মধু ঘি শীতকালীন সময়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে খুব ভালো কার্যকরী এগুলো বর্ণনা করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
@karobiamin71 আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ।আপনার সাবলীল মতামত প্রকাশের জন্য।
আপনি একটু সময়োপযোগী পোস্ট আজকে করেছেন শীত নিয়ে। শীতের সময়ের আমাদের অবস্থা কি হয় তা নিয়ে আপনি বিশদভাবে আলোচনা করেছেন। আসলে ছোটবেলায় প্রচন্ড কুয়াশা দেখতাম যে সামনের ঘর ষ ও ঠিকমতো দেখা যেত না।বর্তমানে শৈত্যপ্রবাহ ছাড়া শহরে কুয়াশা খুব একটা দেখা যায় না।তবে হ্যাঁ গ্রামের দিকে খুব কুয়াশা পড়ে ।এছাড়া শীতে কি কি খেলে শরীর গরম ও ভালো থাকবে এটি আপনি বর্ণনা করেছেন। শীতে আমাদেরকে কিভাবে চলতে হবে এ বিষয়ে সচেতন করেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে জানা জিনিসকে আবার ঝালিয়ে নিলাম। খুব ভালো লাগলো পড়ে।
শীতের সময় পথ শিশুদের মাঝে শীতের পোশাক ও কম্বল বিতরণ একটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ ।আপনি শীতের সময় উপকারী অনেকগুলো জিনিস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন যা অনেকের উপকারেআসবে।
ধন্যবাদ এত সুন্দর করে লেখার জন্য ।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য ।
আসলেই সত্যি শীত আসলে আমাদের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু কেন জানি না তারপরেও আমার কাছে শীতের সময়টা অনেক বেশি ভালো লাগে। আজকে আপনার পোস্ট পরিদর্শন করতে গিয়ে, শীতে যে সমস্যাগুলো আমাদেরকে সম্মুখীন হতে হয় সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারলাম। তবে একটু সতর্ক হলে অবশ্যই আমরা শীতের সময়ও সুন্দর একটা সময়, পার করতে পারি।
আসলে শীতের সময়ের পথে যারা বসবাস করে, তাদের অনেক বেশি কষ্ট হয়। আমরা যারা স্বাবলম্বী আছি তারা যদি তাদের প্রতি একটু সহানুভূতি দেখাই। তাহলে আমার মনে হয় তারাও একটু ভালো থাকতে পারে। মাঝে মাঝে দেখি শীতের সময় অনেকেই পথে থাকা মানুষগুলোকে শীতের কম্বল বিতরণ করে। এই ইচ্ছেটা আমার অনেক। জানিনা সৃষ্টিকর্তা কখনো আমাকে তৌফিক দান করবেন কিনা। যদি করে অবশ্যই তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব। চমৎকার টপিক নিয়ে আলোচনা করার জন্য ধন্যবাদ।
শীতের তীব্রতা এবছর এখনো না বাড়লেও পূর্ব অভিজ্ঞতা সবারই রয়েছে। শীতকাল অনেকের প্রিয়, আবার কারো৷ কাছে আতঙ্কের নাম।শীতে সামর্থ্য অনুযায়ী শীতবস্ত্রহীন লোকদের সাহায্য করা উচিৎ। আপনি আপনার পোস্টে শীত কালীন সুরক্ষা পেতে অনেক তথ্য শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর একটি উদ্যোগ নিয়ে। অনেক গরীব মানুষ আছে যারা শীতে কোন কিছুই পায় না গায়ে দেওয়ার জন্য তাদেরকে আমরা যদি শীতকালীন কিছু উপহার দিয়ে থাকি তাহলে সৃষ্টিকর্তা খুশি হবেন আর তাই আমি দিদিকে এই দিকটা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।