সুখ আর শান্তি || 10% for shy-fox and 5% for abb-school.

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

রনি জনি দুই বন্ধু, একসাথে পড়াশোনা করে। ছাত্র হিসেবে দুজনেই ভাল। ক্লাসে তারা দুই জনই একবারে দাপিয়ে চলেছে পড়াশোনায় কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেনা পড়াশোনার বিষয়ে।কিন্তু তারা দুজন খুবই ভাল বন্ধু। এভাবেই তারা পড়াশোনা শেষ করে দুজনই সরকারী কোন এক অফিসে চাকরি করে। দুজনই ঢাকায় থাকে পাশাপাশি বাসায়।এক সময় রনি বিয়ে করে সংসার শুরু করে। তখন জনির সংসার থেকে চাপ সৃষ্টি করে বিয়ে করার জন্য।

IMG_20220403_202952.jpg

ছবির উৎস

এক পর্যায়ে জনিও বিয়ে করে সংসার শুরু করে। দুই বন্ধু পাশাপাশি বাসায় থাকে। রনির বউ আবার খুবই স্মার্ট একটা মেয়ে সে সারাক্ষণ শুধু সাজগোজ নিয়ে ব্যস্ত।আর জনির বউ ও স্মার্ট তবে রনির বউয়ের মত না। আবার রনির বউ অনেক লোভি সে সারাক্ষণ শুধু চিন্তা করে কিভাবে অন্যের পকেটের টাকা নিজের পকেটে আনতে হবে। সে তার স্বামীকে শুধু টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে, তখনই রনি চিন্তা করে জীবনে চলতে গেলে টাকার প্রয়োজন আছে, তখন থেকেই তার মাথায় একটা কু বুদ্ধি কাজ করতে থাকে, কিভাবে অন্যের পকেটের টাকা নিজের পকেটে আনা যায় তখন থেকে সে ঘুস খাওয়া শুরু করে।

প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা তার পকেটে চলে আসে, রনির বউ তখন শুধু তার সৌন্দর্য নিয়েই ব্যাস্ত তার বন্ধু বান্ধব নিয়ে সে সারাক্ষণ বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ায় রনির জীবন থেকে যেন শান্তি নামক শব্দ টি হারিয়ে যাচ্ছে। তবে সুখ নামক শব্দ টি তার জীবনে বিরাজমান। আর এদিকে জনির বউ রনির বউয়ের বিলাসিতা দেখে, জনিকে একটুও সুখে থাকতে দিচ্ছেনা। সে শুধু সারাক্ষণ তাকে কথা শুনিয়ে যাচ্ছে। তবে জনি তার জায়গায় সে অটুট সে কখনো চিন্তাই করেনি যে সে ঘুস খাবে।

এভাবে চলতে থাকে তাদের সংসার। রনি ঢাকায় বাড়ি কিনে নিজের বাসায় বসবাস করে আর তারই বন্ধু সে অন্যের বাড়িতে বাড়ায় থাকে অথচ দু জনই একই চাকরি করে। রনি টাকার লোভে পরে ভুলে গেছে সংসারের কথা ভুল গেছে মনুষ্যত্বা।রনি এখন পরকীয়া নিয়ে ব্যাস্ত একের পর এক পরকিয়া চলছে। এক সময় রনিরবউ জানতে পারে সে তখন তার স্বামীকে অনেক বুঝিয়েছে। কে শোনে কার কথা। এ নিয়ে তাদের সংসারে শান্তি বলে কোন কিছুই নেয়। আর এ দিকে জনির সংসারে সুখ আর শান্তিতে মুখর। কারণ তার যে অবৈধ বলে কোন কিছুই নেই।সে যে সৎপথে টাকা উপার্জন করছে। এভাবেই চলে গেল বেশ কয়ক বছর। হঠাৎ একদিন রনির অফিসে দুর্নীতি দমক কমিশন তাদের দুর্নীতি দেখতে হাজির রনির একাউন্ট চেক করল।

এবং তার বাসায় ও যাবে চেক করতে রনি তখন বেশ চিন্তায় পরে গেল তার বাসায় যে টাকা রাখা আছে।সে ঐ টাকার হিসাব কি ভাবে দেবে কমিশনার কে।সে বাসায় যে ফোন দিবে ঐ সময় টুকুও নাই। কারণ তাকে যে অনেক পুলিশ চারদিক ঘিড়ে রেখেছে। রনির বাসায় পুলিশ সহ কমিশনার হাজির তার বাসা চেক শুরু করল। এক পযার্য়ে তার বাসা থেকে বিপুল পরিমান ক্যাশ টাকা উদ্ধার করল।রনিকে নিয়া যাওয়া হল থানায় তারপর কোর্টে কিন্তু তার কোন জায়গায় জামিন হলনা। তার শাস্তি হল বিশ বছর। তার সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হল। রনির বউ ও চলে গেল অন্য একটি ছেলের সাথে অন্য এক সংসারে।

আর রনি জেল খানায় একা একা দিন পার করছে। তাই আসুন আমরা সৎপথে টাকা উপার্জন করি। প্রচুর ধন সম্পত্তির মাঝে সুখ নাই মনের সুখই প্রকৃত সুখ। আর যদি রনির বউ রনিকে তার পরকিয়ার জন্য যে শাসন টুকু করে ছিল সে শাসন যদি সে ঘুসের বেলায় করতো তাহলে যে তাদের সংসার আজ এভাবে ভেঙে যেতনা রনিকেও আজ জেলে থাকতে হতনা। তাই আসুন আমরা রনির কাছ থেকে শিক্ষা নেয়। অবৈধ ভাবে টাকা রোজগার করে আমি বউ সন্তানকে খাওয়াব আর শাস্তির সময় একাই শাস্তি পেতে হবে। তাহলে কেন আমি অবৈধ পথে টাকা রোজগার করব। সৎপথে কম টাকাতেও অনেক সুখ শান্তি থাকে।

Sort:  
 3 years ago 

সত্যি সুন্দর একটা বাস্তবতা ধর্মের কাহিনী আমাদের মাঝে তুলে ধরেছে। এই কাহিনীর মধ্যে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। যা পড়ে অনেকেই নিজেদের ভবিষ্যত সচেতন থাকবেন, আর বাস্তবতাকে জানতে পারবেন।

 3 years ago 

খুবই ভালো একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন,লেখার মান অনেক ভালো আরো ভালো কিছুই হবে আশা করি।আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।শুভ কামনা রইল

 3 years ago 

আপনার লেখাটা খুবই ভালো লাগলো ভাই। আরেকটা বাস্তবসম্মত লেখা আপনি লিখেছেন আসলে আমাদের সংসারে টাকা হয়তো সুখ এনে দেয় কিন্তু শান্তি নিয়ে আসতে অবশ্যই সৎ পথে উপার্জন করতে হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই লেখাটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য