প্যাঁচা ও প্যাঁচানি
আমার বড়দের সকলকে প্রণাম জানাই। যেহেতু আমার পরীক্ষা চলছে, সে কারণে আমার এরকম পোস্ট গ্যাপ হচ্ছে। আমি প্রায় এক সপ্তাহ আগে পোস্ট করেছিলাম। আবার আজকে পরীক্ষা দিয়ে এসে পোস্ট লিখছি। তবে আমার পরীক্ষা শেষ হয়ে যাচ্ছে আর দুদিন পরে। তাই তখন আমি পোস্ট করতে পারবো। তবে এর মাঝে একদিন দুপুরবেলায় পড়তে ইচ্ছা করছিল না বলে, আমি ছবি আঁকতে বসে ছিলাম। আসলে সেই সময় দিদি ছিল না। তাই দিদিও বুঝতে পারিনি আমি কখন ছবিটা এঁকেছি। আজকে সকালে আমি দিদিকে ছবিটা দেখলাম।
এই ছবিটা আসলে একটা গ্লাসের উপর ছিল। মানে আমাদের বাড়িতে একটা ক্লাস আছে যেটা তামার। স্টিলের যেমন ক্লাস হয় তেমন তামার ও গ্লাস হয়। বাড়িতে আমার মা শখ করে তামার গ্লাস কিনেছিল। গ্লাসের ওপর এরকম সুন্দর কার্টুনের ছবি ছিল। খুব কম সময় কি আকবো বুঝতে পারছিলাম না। যেহেতু বেশি সময় দেওয়ার পরিস্থিতি ছিল না। তাই এরকম কার্টুনের ছবি আঁকলাম।
পরীক্ষাটা শেষ হয়ে গেলে আমি অনেক অনেক ছবি আঁকতে পারবো। আর যদি কেউ আমাকে এখন জিজ্ঞেস করে যে আমার পরীক্ষা কেমন হচ্ছে, তাহলে বলবো পরীক্ষা মোটামুটি ভালই হচ্ছে। এবার কি যে রেজাল্ট বেরোবে জানিনা।
প্রথমে আমি ভেবেছিলাম এই গ্লাসটা অর্থাৎ এই তামার গ্লাসটা কৃষ্ণনগরের বারোদোল মেলা থেকে কেনা। কিন্তু পরে জেনেছি দিদি অনলাইন কোন একটা জায়গা থেকে কিনেছে।তবে আমাকেও দিদি বারোদোল থেকে অনেক কিউব কিনে দিয়েছে ।আসলে এই মেলাটি হল আমাদের কৃষ্ণনগরের একটি বিখ্যাত মেলা। দিদি নিজের পোস্টে মনে হয় জানিয়েছে ।এটা বৌদি ও জানাতে পারে ।এই মেলাতে অনেক অনেক দোকান বসে ।আর এটি রাজবাড়ীর মাঠে হয়। রাজবাড়ী মাঠ খুব বড়।
আমরা প্রতি বছরই এই মেলায় যাই ।এখানে অনেক ঠাকুরও থাকে। লাইন বাই লাইনে। আমার মা সেখানে পূজাও দেয়। দুপুর বেলার দিকে আমরা পুজোতে যাই ।আর সন্ধ্যেবেলার দিকে আমরা মেলা ঘুরতে যাই। মেলাতে কোন না কোন জিনিস কিনে থাকি। প্রতিবছরই এটা হয়। কোনো না কোনো জিনিস কেনাই হবে। না জিনিস কিনে বাড়িতে আসা হয় না। না হলে খেয়ে আসা হবে। মানে ফুচকা ,আইসক্রিম ইত্যাদি।
আমি আইসক্রিম খুব ভালোবাসি এবং তার সঙ্গে ফুচকাও ভালোবাসি। কোন জায়গায় গেলে ফুচকা না হলে আইসক্রিম তো খাবই। আমার দিদিও তাই গেলেই সোজা আইসক্রিম পার্লারে ঢুকে পড়ে। দিয়ে আইসক্রিম খাই আর আমাদের জন্যও নিয়ে আসে।
আমার বাবা অত এইসব মেলার জিনিস খেতে ভালোবাসে না। মাঝে মাঝে খায় ।বাকি আমরা ভাই ,বোনই বেশি খাই। আর আমার মা ঝাল মসলা জিনিস খেতে খুব ভালোবাসে। কিন্তু আমি ওতো বাসি না। খাই কিন্তু কম খাই। ঝুরিভাজা আমার খেতে খুব ভালো লাগে। যেটা মাও খায়।
ছবি আঁকার ধাপগুলো আমি পরপর শেয়ার করেছি। আর সাথে নানা রকম কথা বললাম। প্রথমেই ছবি আঁকার কার্টুন গুলো পেন্সিল দিয়ে এঁকে নিয়েছি। এই কার্টুনগুলোকে দেখতে আমার অনেকটা পেঁচা আর প্যাচানির মতন লাগছে। সুকুমার রায়ের একটা কবিতা আছে প্যাঁচা প্যাঁচানি। দিদি খুব সুন্দর করে আমাকে এটা শোনায় আর আমি খুব হাসি, ওই কবিতাটা শুনে। এই দুটোকে দেখতে আমার সেরকমই লাগছিল। তাই আমি আঁকতে বসেছিলাম। তারপরে কালো রং দিয়ে আউটলাইনগুলো করে নিয়ে, রংগুলো করে নিয়েছি। প্রত্যেকটা রঙ আমি কাঠ পেন্সিল দিয়ে করেছি।