এই সর্বপ্রথম ছোট্ট বাবুকে বাসায় রেখে আমার একটু খানি বের হওয়া ।
.png)
Photo edited by canva
সময় এমন একটা জিনিস যেটা আটকে রাখা যায় না নিজের গতিতে বয়ে চলে, আজ দেখতে দেখতে বাবুর বয়স প্রায় দুই মাস হয়ে এসেছে এইতো মনে হচ্ছে সে দিন বাসায় নিয়ে এসেছিলাম এভাবে দিন চলে যাবে মাস চলে যাবে বছর শেষ হয়ে যাবে,,আর আমরা একটা সময় গিয়ে বলবো ওর জীবন থেকে কতগুলো দিন শেষ হয়ে গিয়েছে কত বড় হয়ে গিয়েছে,, আমাদের জীবনটা কত অদ্ভুত তাই না সময়ের সাথে নিজেকে তৈরি না করতে পারলে পরবর্তীতে আফসোস করতে হয়।।
যাইহোক, বাবুর জন্মের পর থেকে এ পর্যন্ত হসপিটাল থেকে বাসায় আসার পরে আমি ওকে রেখে একটা বারের জন্য বাসা থেকে বের হইনি মানে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত যায়নি,,আর যাও গিয়েছি ওকে ডাক্তার দেখানোর ক্ষেত্রে ওকে সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলাম।
কিন্তুু এটা বেশি দিন স্থায়ী হবে না,কারণ মেয়েদের জীবন অনেক বিচিত্র ময় বাড়িতে গেলে নিজেকে সবটা করতে হবে আর তখন, বাজার থেকে শুরু করে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস সবকিছু নিজেকেই করতে হবে, আর সেজন্য আমাকে বাড়ির বাহিরে যেতেই হবে, যদি ও এখানে কিছু প্রয়োজনের আগে হাসবেন্ড এনে রেডি রাখে,,তবে বাসা যেহেতু বেশি দিন নেই তাই এখন থেকে আমাকে প্রস্তুতি নিতে হবে, কিভাবে বাবুকে রেখে বাহিরে যাওয়া যায়,,।
আর তাইতো আজকে গিয়েছিলাম অল্প সময়ের জন্য, প্রথমে যেতে চাইনি কিন্তুু পরবর্তীতে চিন্তা করে দেখলাম যদি বেশি মায়া করি তাহলে কিছুই করা যাবে না,,যেহেতু সামনে আমার উপরে সব কিছু থাকবে তাই এখন থেকে শুরু করা যাক, এমনি তে হাতে গোনা কয়েক দিন পরে পরীক্ষা দীর্ঘ চার টা ঘন্টা ওকে ছাড়া আমাকে থাকতে হবে। তাই এখন থেকে অভ্যাস করছি।
আমার শাশুড়ি তিন বেলা ভাত না খেলেও চলবে কিন্তুু পান তাকে খেতেই হবে,,তবে ঢাকায় আসার পর থেকে সে পান খাওয়া অনেক অংশে কমিয়ে দিয়েছে,, পান শেষ হয়ে গিয়েছিলো সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে শুনেছিলাম, পরে বললাম আমি এনে দিবে,যারা পান খায় তাদের একটা অভ্যাস হয়ে যায় কিছু খাওয়ার পরে পান খেতেই হয় না হলে ভাল লাগেনা,।
সকালে খাওয়া দাওয়া শেষ করে,মনে হলো তার এখন পান খাওয়া প্রয়োজন,যদিও সে বলছিল না তবে এতোটুকু বোঝার সাধ্য আমার হয়েছে,, অন্যদিকে বাবু ঘুমিয়ে ছিলো, তবে ওর ঘুম স্থায়ী না একটু সময়ের মধ্যে উঠে যাবে একবার ভাবি যাই, আবার ভাবি না থাক, এই করে করে রেডি হয়ে নিলাম।কারণ মনের মধ্যে হাজারো কথা বলছি না আমি যাওয়া মাত্র যদি উঠে কান্নাকাটি শুরু করে তখন কি করবে।
কিন্তু আবার এটাও চিন্তা করছিলাম, একটু সময় বা কি হবে, আর এতোটুকু যদি দূরে রাখতে না পারি। তাহলে কিভাবে ওকে বাসায় রেখে গিয়ে আমি বাহিরে সব কাজগুলো করবো,হাজারো চিন্তাভাবনা করে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম। তাছাড়া হাজব্যান্ড অফিসে গিয়েছে তার আসতে আসতে প্রায় সন্ধ্যা এরপরে আবার বাহিরে যেতে বলতেও খারাপ লাগে কারণ তারও তো বিশ্রামের প্রয়োজন আছে ,,।
বাসার নিচে এই আছে ক্যান্টিন হেঁটে গেলে ৫ থেকে ৭ মিনিটের মত লাগে , সত্যি কথা বলতে যাওয়ার সময় আমার এত বেশি অস্থিরতা লাগছিলো, বারবার মনে হলো যদি উঠে যায়, এরপরে দোকানে গিয়ে পান কিনলাম মেয়ের এবং আমার জন্য চকলেট কিনলাম, দোকানে আমার ১০ মিনিটের মত সময় লেগেছিলো কারণ খানিকটা ভিড় ছিলো,,,এরপরে আর কোথাও একটা সেকেন্ডের জন্য দেরি না করে সোজা বাসায় চলে আসি।
বাসায় এসে দেখছিলাম উঠে গিয়েছে তবে খুব একটা কান্নাকাটি করছিল না, এরপরে আর কি শাশুড়ি আম্মাকে পান দিলাম এবং আমি চকলেট খেতে খেতে খানিকটা পোস্ট রেডি করে রাখছিলাম, আজ অনেক দিন পরে পোস্ট লিখতে বসেছি, প্রত্যেকটা দিন আমার ইচ্ছা করে একটা করে পোস্ট করি তবে জানেন তো বড্ড ব্যস্ত থাকি, একটুখানি সময় পাইনা,,।
তবে চেষ্টা আছে আবার নতুন করে কাজ শুরু করব তাইতো বাকি লেখাটা এখন শেষ করলাম, যাইহোক সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ভালো লাগলো, নিজের লেখা শেয়ার করতে পেরে।। আল্লাহ হাফেজ।।।






Curated by: @fombae
আসলে সন্তানকে রেখে মা কোথাও গিয়ে থাকতে পারে না তার পাশাপাশি আপনার সন্তান তো এখনো অনেক ছোট তবে কি আর করার পরিস্থিতি যেমন থাকবে ঠিক তেমনটাই করতে হবে আজকে আপনার ছোট বাচ্চাকে রেখে অল্প সময়ের জন্য বাহিরে গিয়েছিলেন সেটা আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
এবং আপনার শাশুড়ি আম্মা ভাত না খেয়েও থাকতে পারে তবে পান তাকে খেতে দিতে হবে। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম ঢাকায় আসার পর থেকে সে পান খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। আসলে অনেক সময় পরিস্থিতির কারণে সবকিছু মানিয়ে নিতে হয় তাই হয়তো বা সেও মানিয়ে নিয়েছে।
যাই হোক বাহিরে যাওয়ার মুহূর্তটা আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো শুভকামনা রইল আপনার জন্য।