নতুন বছরের প্রথম বিয়ের নিমন্ত্রন
নমস্কার বন্ধুরা,
আপনারা কেমন আছেন? আমি ভালোই আছি। বলা চলে ২০২২ সালের বিয়ের মরশুমের প্রথম নিমন্ত্রণ খেয়ে ভালোই লাগছে। আপনাদের মনে হতে পারে যে ২০২১ সালের বিয়ের মরশুম শেষ হতে না হতে ফের নতুন বছরের বিয়ের মরশুম কি করে যাওয়া শুরু হতে পারে। আমারও তাই প্রশ্ন!! যাক, ওসব ভেবে কাজ নেই। যেহেতু শীতের দিকেই বিয়েগুলো অনুষ্ঠিত হয় তাই নভেম্বর মাস থেকেই এ বছরের বিয়ে খেতে যাওয়া শুরু করে দিলাম। যদিও আমি মূল বিয়ে বাড়িতে যাইনি। আসল কথা হলো বিয়ে বাড়ির অন্দর মহলে যাওয়ার থেকে খাওয়ার প্যান্ডেলে যাওয়াই আমি বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। হিঃ হিঃ।
দুপুরবেলায় রান্না হয়ে যাওয়ার পরে পাত্রীর বাবা নিজে এসে যাওয়ার জন্য বলে গেলেন। আমিও বেশি অপেক্ষা করিনি। ঝটপট স্নান সেরে প্যান্ডেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিলাম।গ্রামের অতি সাদামাটা বিয়ে বাড়ি। তেমন বিশেষ কিছুই আয়োজন নেই। বিয়ে অনুষ্ঠান বাড়ির ভেতর দিকে এবং খাওয়া-দাওয়ার জায়গাটি বাইরে। সুন্দর করে ছোট খাটো প্যান্ডেল বানানো আর পুরোহিত দিয়ে রান্নাবান্না করা।
বিয়ে বাড়ি পৌঁছে ভেতরে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেলাম তবে বাড়ির অন্যরা গেলে আমি খুব একটা গা করিনি। আমি সোজা ছুটলাম প্যান্ডেলের দিকে। সুগন্ধ যে ওদিক থেকেই ভেসে আসছিলো। দুপুর হয়ে গেছে দেরী করা ঠিক হবে ভেবে খাওয়ার লাইনে নিজের নাম দিয়ে পাশেই এক চেয়ার পেয়ে বসে পড়লাম। বাইরে বসে বসে সাথে খাবার মেনুটা শুনে নিলাম। খুবই সাধারন খাবার মেনু। মাছের মাথা দিয়ে ডাল, পাঁচ মিশালি চচ্চড়ি, বাদাম ভাজা, তারপর মাছ কিংবা মুরগির মাংস আর সবশেষে চাটনি, দই ও রসগোল্লা।
কিছুটা সময় বাইরে বসতে আগের লোকগুলোর খাওয়া শেষ হলো। নাম দেওয়া আছে তাই হুড়োহুড়ি করতে হলোনা আগের নিমন্ত্রিতরা বেরিয়ে আসতেই ধীরে সুস্থে প্যান্ডেলের দিকে এগিয়ে টেবিলে দখল করে নিলাম। চেয়ারে বসা মাত্র সামনে পাতা পড়ে গেলো। তারপর গরম ভাত, ভাজা আর ডাল দিয়ে দিলো। আর সাথে পেলাম চচ্চড়ি। আহা। ডাল ভাত আর চচ্চড়ি দিয়ে আমি পুরো ভাতটা সাবরে দিলাম। চচ্চড়ি এতো টাই ভালো হয়েছে যে আমি দুবার নিয়ে নিলাম।
চচ্চড়ি দিয়ে ভাত উড়িয়ে দেওয়ার পর নিলাম একখানা মাছের পিস। পরিচিতরাই পরিবেশন করছিল তাই একটু বড় মাপের মাছের পিসটা পাওয়া গেল। খিক খিক।
শেষ পাতে মিষ্টিমুখ না থাকলে কি জমে? চাটনি, দই আর দু খানা রসগোল্লা সহযোগে খাবারে সমাপ্তি দিলাম।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনার নতুন বছরের বিয়ে নেমন্তন্ন খাওয়ার অনুভূতিটা পরে বুঝতে পারলাম আপনি একজন খাবার প্রেমিক। আর বিয়ের বাড়িতে গেলে সবার খাবার দিকেই চোখ যায়। আর যদি পরিবেশনে নিজের চেনা লোক থাকে তাহলে তো হয়ে গেল। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক মজা পেলাম ধন্যবাদ এটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সে ঠিকই বলেছেন, আমি খাবার প্রেমিক।
আসলে আপনি তো দেখছি একেবারে খাবার প্রেমিক। এজন্য বিয়ে বাড়ির ভেতরেই গেলেন না শুধু মাত্র খাবারের প্যান্ডেলে গিয়ে খাবার খাওয়া শুরু করে দিলেন। খাবারের মেনু একেবারে সাধারণ হলেও কিন্তু বেশ ভালোই লেগেছে আমার কাছে। আর আপনাদের বিয়েতে শালপাতার ওপরে খাওয়াটা আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। আমি আসলে এইভাবে পাতায় খাওয়ার নিয়মটা সিরিয়াল থেকে জেনেছি। শেষ পাতে মিষ্টি, দই, চাটনি সবকিছু মিলিয়ে বেশ ভালোই খেয়েছেন।
বিয়ে বাড়িতে যে কাজের জন্য যাওয়া আমি সেদিকেই চলে যাই। সময় নষ্ট করে লাভ নেই। হাঃ হাঃ
গ্রামের বাড়ির সাদামাটা চটপট দাওয়াত চটজলদি খাবার। আপনার কথা শুনে বুঝতে পারছি তৃপ্তি মত খেয়েছেন, যদিও তেমন বেশি কোন আয়োজন ছিল না। তবে আমি মনে করি অল্প জিনিস ভালো হলে আত্মতৃপ্ত পাওয়া যায়, সেটাই সবচেয়ে ভালো। বছরের প্রথম বিয়ে খাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন দাদা।
এইটাই, আমিও মনে করি যে অল্প জিনিস হলেই বেশি তৃপ্তি পাওয়া যায়।
গ্রামের দিকের বিয়ে এখনও একটু সাদা মাটাই হয়। যেহেতু দুপুর বেলায় পেটে ক্ষুধা ছিল তাই ভিতরে যাওয়ার তাগিদ অনুভব করেননি। ভিতরে যাওয়ার থেকে প্যান্ডেলে খাবার খেতে যাওয়াই বেশি পছন্দ করেছেন আপনি। সুস্বাদু খাবার বলে কথা।
এই বিষয়টি বুঝতে পারলাম না। খাবার টেবিলে বসার জন্য কি নাম দেওয়া ছিল । যাইহোক সাধারণ খাবার হলেও খুবই মজা করে খেয়েছেন বোঝাই যাচ্ছে। এরকম বিয়ে বাড়ির খাবার গুলো এমনিতেই অনেক সুস্বাদু হয়।
সাদা মাটা বিয়েই যেন আমার বেশি ভালো লাগে।
অলিখিত লাইন দেওয়া ছিলো, যেটাতে একবার দাড়িয়ে অন্য জায়গায় বসে পড়লাম। ব্যাস। নাম দিয়ে দিলাম।
দাদা বিয়েতে গেলে বিয়ের অন্দর মহলে যেতে হয় না, বিয়ের খাবার প্যান্ডেল পর্যন্ত গেলে ভালো হয়।মোটামুটি গরম তো নাই কিন্তু শীত শীত ভাব চলে আসসে এমন মুহূর্তে বিয়ের খাবার তো দারুন খেয়েছেন বোঝা যাচ্ছে।তাহলে তো বিয়ের প্যান্ডেলে নেমে গেছেন আপনি শীত আসার আগে।
হ্যাঁ। এখন থেকেই নেমে পড়লাম। হাঃ হাঃ
এই তো। বিয়ের সিজন শুরু হয়ে গেল। এবার শুধু নেমন্তন্ন আসার লাইন। একটাও মিস করা যাবে না। :)
মিস করলেই লস। আর ক বছর তো খেয়ে বেড়াতে পারবো তারপরে এসব আর হবে না। হাঃ হাঃ
বলছি দাদা সবার বিয়ের পর্ব চলে যাচ্ছে আপনার টা কবে হবে শুনি? 😉,, আগে থেকে জানাতে হবে তো, তাহলে সেই বুঝে ভিসা করতে দিতে হবে। হিহিহিহি। অনেকদিন বিয়ে বাড়িতে যাওয়া হয়না। গ্রামের মাঝে সাদামাটা করে হলেও বেশ ভালোই আয়োজন করা হয়েছে দেখছি। খাবারের থালাটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতটা তৃপ্তি ভরে খেয়েছেন। চেটেপুটে সব একদম পরিষ্কার 👌😅
অন্যের বিয়ে খেতে বেশি মজা ভাই। নিজে যেচে গিয়ে বাঁশ নেবো না। খিক খিক
আপনার ওখানে দুপুরে খাওয়া দাওয়া হয় বিয়ে বাড়িতে? বিষয়টা দেখে বেশ ভালো লাগলো। সাথে অনেক গল্পের বইয়ে পড়া কাহিনীর পটভূমি চোখে ভেসে উঠলো। আপনি বুঝি চিকেন খান না? ভালোই তাড়িয়ে তাড়িয়ে খেয়েছেন বর্ণনা শুনে বুঝলাম। 😄বেশ ভালো লাগলো বিবরণ টা।
দুপুরে হয় আবার রাতেও। যার যার সুবিধা মতো করে আরকি।
বিয়ের চিকেন পছন্দ না। চচ্চড়ি সেরা হয়েছিলো সেটা দিয়েই উড়িয়ে দিলাম। হাঃ হাঃ