শীতের শুরুটা হলো বরযাত্রী হয়ে
নমস্কার বন্ধুরা,
আমার এবারের শীত প্রথম বিয়েটা শুরু হলো বরযাত্রী হয়েই। করোনার পর থেকে শীতে বিয়ের একপ্রকার হিড়িক লেগে গিয়েছে। বিগত তিন বছরে আমি এত পরিমাণে নিমন্ত্রণ বাড়ি গিয়েছি যে এখন সবগুলোর কথা আর মনেও নেই। আগে যেমন বছরের যেকোনো সময়ে বিয়ের তারিখ থাকলে সেটা সালের যে কোনো ঋতুতেই হোক বিয়ে হতো তবে বর্তমানে সেই তাতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন শীতকালেই বিয়েটা বেশি। আর আমি কেন বিয়ে বাড়ি যাই সে কারণটা আপনারা কম বেশি জানেনই। শীতের প্রথম বিয়েতে নিমন্ত্রণ পেলাম সেটাও বরযাত্রী যাওয়ার তবে যার বিয়ে তারা আদবে পিসেমশাইয়ের পরিচিত। উনি একা একা যাবেন না তাই আমি সঙ্গ দিলাম। এমনিও বিয়ে বাড়ির খাওয়া-দাওয়া মিস করাটা ঠিক না। হাঃ হাঃ 😆। সন্ধ্যে সন্ধ্যে নাগাদ বেরিয়ে বিয়ে বাড়িতে অনেকটা তাড়াতাড়িই পৌঁছে গেলাম।
বিয়েবাড়িতে তখন যথারীতি ফাঁকা। বর কনে সবে সাজ সজ্জা করে বিয়ে শুরু হবে হবে করছে। বরের বাবা পরিচিত হওয়ার জন্য ধরাধরি করে আমাদেরকে প্রথম ব্যাচেই খেতে বসিয়ে দিলো। স্বাভাবিক খাবার সময়ের অনেক আগে হলেও বসে পড়লাম। কারণ যেকোনো নিমন্ত্রণ বাড়ির শুরুতে খাওয়াটা সবচেয়ে ভালো।
যাক টেবিলে বসে ত্রিকোণ আকৃতির মেনু কার্ডটা পড়ে নিলাম। নজর গেলো পাতুরির দিকে, মনে মনে ভাবলাম আজকে ভালোই জমিয়ে খাবো। পাতুরির স্বপ্নে বিভোর আছি এমন সময়ে না জিজ্ঞেস করে পাতে কড়াইশুঁটির কচুরি এবং কাশ্মীরি আলুর দম দিয়ে দিয়েছে। শুরুতেই বেলাইন। সেগুলো মুখ চিপে খেয়ে নিলাম ঠিক তখনই চলে এলো ব্যাটার ফিস ফ্রাই, সাথে নিলাম স্যালাড।
খান দুয়েক ব্যাটার ফিস ফ্রাই নিমিষে সাবড়ে দিয়ে সাদা ভাত চলে এলো। সাথে নিলাম মুগের ডাল আর কাতলা কালিয়া। সেগুলো শেষ করেছি তখনই দেখি ভেটকি পাতুরি এসে হাজির। সেটাও দুখানা নিয়ে নিলাম। পাতুরি শেষে এলো খাসির মাংস, কলকাতার রেওয়াজি খাসি। রেওয়াজি খাসি আমার খুব একটা পছন্দ নয় তাই মাত্র ৮ পিসেই ক্ষান্ত দিলাম।
মেইন কোর্স শেষ করে পেলাম কেশর পেস্তা রসমালাই। সব শেষে সন্ধ্যার সবচেয়ে সুন্দর বস্তুটি পেলাম, নলেন গুড়ের আইসক্রিম। আহা! কি যে স্বাদ।
হা হা হা। রেওয়াজি খাসির মাংস পছন্দ না তাই আট পিস সাবার করেছেন পছন্দ হলে তো বিয়ে বাড়িতে নির্ঘাত মাংসের কম পড়তো। আপনার যে পাতুরি দেখে লোভ লেগে গিয়েছিল তারা মনে হয় বুঝতে পেরেছিল। এজন্য শেষের দিকে পাতুরি দিয়েছিল। ঠিকই বলেছেন দাদা ইদানিং শীতকাল আসলে বিয়ের ধুম পড়ে যায়। কিন্তু কতকাল যে এরকম জমিয়ে বিয়ে খাই না তার কোন ঠিক নেই। ভালো লাগলো আপনার খাওয়া দেখে।
পাতুরিটা ঠিক জমেনি তবে শেষ পাতে নলেন গুড়ের আইসক্রিম দিয়ে সেই দুঃখ মিটে যায়।
বিয়ে বাড়িতে গিয়ে ৮ পিস খাসির মাংস খুবই কম। হাঃ হাঃ
কথায় আছে না খাবারের আগে আর মাইরের পরে। তাই আমার মনে হয় আপনি বেশ ভালোই করেছেন বিয়ে বাড়িরর বরযাত্রীতে গিয়ে। আর সেখানে দেখছি দারুন সব আইটেমের আয়োজন করা হয়েছে। আপনার খাওয়া দেখে তো আমরাই ছুটে যেতে মন চাইছে এমন অনুষ্ঠানে। হি হি হি
ইদানিং শীতকালেই বেশি বিয়ে হচ্ছে। আর গতবছর আপনার অসংখ্য পোস্ট দেখেছিলাম বিয়ে বাড়ি খাওয়া নিয়ে। যদি ভুল না করে থাকি বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার আপনার প্রধান উদ্দেশ্যে হলো খাওয়া হা হা। আর এবার প্রথম বিয়েতে বরযাএী হয়ে গিয়ে প্রথম ব্যাচেই বসে পড়লেন। তারপর খাওয়া শুরু। বেশ চমৎকার ছিল দাদা আপনার সন্ধ্যাটা। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন দাদা নেমন্তন্ন বাড়ির খাবার প্রথমে খাওয়াই ভালো।সব গুলো খাবার খুব লোভনীয়। তবে রেওয়াজি খাসি পছন্দ নয় জন্য আট পিস পছন্দ হলে যে কয় পিস হতো কে জানে🙂।সর্বশেষ কেসর পেস্তা রসমালাই ও নলেন গুড়ের আইসক্রিম একদম জিভে জল এনেছে আমার। ধন্যবাদ দাদা খুুব সুন্দর পোস্টটি করার জন্য।
শীতকাল মানেই বিয়ের সিজন আর কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া দাওয়ার সময়।বিয়ে মানেই আনন্দ, খাওয়া দাওয়াতে ভরপুর।সব মিলিয়ে দারুন সময় কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
দাদা রেওয়াজি খাসি আপনার পছন্দ নয়, তাতেই ৮ পিস খেয়ে ফেললেন। আর যদি পছন্দ করতেন, তাহলে কি যে হতো সেটা বলা মুশকিল😂। শীতকালে বিয়ের দাওয়াত মিস করা একেবারেই ঠিক নয় দাদা। কারণ শীতকালে একেবারে জমিয়ে খাওয়া যায়। আর এমনিতেও দাওয়াতে না গেলে মানুষ কষ্ট পায়। তাই কাউকে কষ্ট না দেওয়াই ভালো 🤣। অন্তত শীতকালে কষ্ট দিয়েন না দাদা 😂। যাইহোক পাতুরির স্বপ্নে বিভোর থাকা অবস্থায় প্লেটে কড়াইশুঁটির কচুরি এবং কাশ্মীরি আলুর দম দিয়ে আপনাকে বেলাইনে ফেলে দিলেও, খাওয়া-দাওয়া কিন্তু বেশ জমিয়ে করেছেন দাদা। সেটা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো করেই বুঝতে পারছি😂। পোস্টটি দেখে আসলেই খুব ভালো লাগলো। বেশ হাসলাম আপনার পোস্টটি পড়ে। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।