স্বাধীনতা দিবস, হলের ফিস্ট এবং মধ্যরাত অবধি ঘোরাঘুরি || 10% beneficiary @shy-fox
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসিরা। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
আপনারা সবাই জানেন ২৬ শে মার্চ আমাদের জাতীয় জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। আর যদি কৌতুকভরে বা মজার ছলে বলতে হয় তাহলে ২৬ শে মার্চ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। ২৬ শে মার্চ আর ১৬ই ডিসেম্বরে আমাদের হলগুলোতে ফিস্টের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও পুরো ক্যাম্পাস সাজানো হয় কয়েক দিন আগে থেকেই এবং সবার মধ্যেই সবসময়ই একটা সাজ সাজ রব থাকে। আজকে আমার পোস্টটি আসলে এটা নিয়েই।
গতকাল সারাদিন আমার খুব মন খারাপ ছিল। কারণটা অন্য একটা পোস্টে বলবো। এরপর আলহামদুলিল্লাহ দৈবক্রমে সবকিছু ঠিক হয়ে গেল। তখন প্রায় সন্ধ্যা। রেস্ট নিচ্ছি এমন সময় আমার পাশের রুমের বান্ধবী এসে বলল তার ট্রাইপডের সমস্যা হচ্ছে। সেটা সমাধান করার জন্য তার রুমে গেলাম। সে চা করে আনল। এরপর ক্যামেরা সেট করা, ইন্টারভিউ নেওয়া আরো কত হাবিজাবি কাজ করেছি। এরপর দুইজন মিলে কবিতা পাঠ করেছি। এই করতে করতে ৭ঃ৩০টা। ফিস্ট দেবার সময় হয়ে এসেছে। তড়িঘড়ি করে রেডি হয়ে ডাইনিং এ গেলাম। বহু দিন পর আবার সেই ফিস্টের লম্বা লাইনে দাড়ালাম।
অনেক প্রতিক্ষার পর প্রভোস্ট ম্যাম আমাদের কুপন নিলেন এবং আমাদের ভেতরে ঢোকার অনুমতি দিলেন। খাবার হিসেবে ছিল পোলাও, রোস্ট, খাসির রেজালা, ডাল, মিষ্টি, কোক আর পান। ভোজন রশিক না আমি তাই সবার পছন্দের রেজালা কখনোই প্লেটে তুলিনা। এজন্য আমার সাথে যে ফিস্টে যায় সব সময় তার ভাগ্যে দুটো রেজালা পরে।
খাওয়া দাওয়ার পাঠ শেষ করে রুমে আসলাম। এরপরে বাসায় কথা বলে নিলাম। আমাদের প্ল্যান ছিল বাসায় কথা বলে বাইরে ঘুরতে বের হব। হলগুলো একটু ঘুরব আর সেন্ট্রাল ফিল্ডে বসে মুক্ত বাতাস খাব। সব শেষ করে হল থেকে বের হতে হতে ৯ঃ৩০টা। প্রথমেই প্রীতিলতা মানে আমার হলে ছবি তুললাম।
হলগুলোকে খুব সুন্দর করে সাজানো হয়। এবারো তাই হয়েছে। আমাদের হলের সামনেই আছে সুফিয়া কামাল হল। এই হল সাজানোও সুন্দর ছিল।
এরপরে আমরা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে যাই। প্রত্যেকবারই এই হলের ভেতরে সুন্দর করে সাজানো হয়। আমরা যখন ছবি তুলতে যাই তখন দুজন নৃত্যশিল্পী নৃত্য করছিল।
এরপর টারজানে গেলাম। সেখান থেকে দুটো চা নিয়ে সেন্ট্রাল ফিল্ডের দিকে হাটা দিলাম। এত্ত বাতাস ওদিকে! গা জুড়িয়ে যায়। সেখানে বসে অনেক হাবিজাবি জিনিস নিয়ে কথা বললাম। আমাদের মত অনেকেই সবান্ধব আড্ডা দিচ্ছিল। ১০ঃ৩০ টার দিকে সেখান থেকে উঠি এবং মুক্তমঞ্চ দিয়ে নেমে ক্যাফের দিকে যাই। ক্যাফেতে খুব সুন্দর গান বাজে প্রতি রাতে। আজকেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি।
গান শুনতে শুনতে দুইবার ক্যাফে চক্কর দেই। অমর একুশের নিচে বসি। এরপর ভাবলাম টি এস সির ছাদে যাব। খুব আশা নিয়ে টি এস সি গেলাম। কিন্তু ছাদ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই নিচে ঘুরেই ফিরতি পথ ধরলাম। ক্যাফের কাছে এসে আবার অমর একুশের নিচে বসলাম।
এরপর ১১ঃ৪৫ নাগাদ উঠে পড়লাম। রোডে এসে পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখি ক্যাফের রোডটা খুব সুন্দর লাগছে, যদিও ছবিতে সেই সৌন্দর্য এর লেশমাত্র এসেছে।
হলে যাবার জন্য উঠে পরলেও আসলে ঠিক হলে যাওয়া হলনা। কেন জানি খুব সাফোকেটিং লাগে আজকাল। তাই টারজানে আরো একটু বসলাম। অনেক সময় কাটিয়ে শেষে হলে ফেরার মন হল।
এই ছিল আমাদের ঘটনাবহুল গতকালের দিন। খুব সুখের কিছু না, তবে জানি এই সব স্মৃতিই একদিন আমাদের কাছে অমূল্য হয়ে থাকবে।
লোকেশনঃ https://what3words.com/hazy.trailers.replied
ডিভাইসঃ রিয়েল মি ৮ ৫জি
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার লিখাটি পড়ার জন্য। সবাই ভাল থাকবেন।
আবারও ধন্যবাদ সবাইকে
আপনাকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই।
স্বাধীনতা দিবসে সকল শহীদদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা।
রাতের বেলায় এত সুন্দর আলোক সজ্জায় পরিবেশে বাহিরে ঘুরাঘুরি করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। আলোকচিত্র গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে বাইরের পরিবেশ খুব অসাধারণ।
এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
স্বাধিনতা দিবসে আপনার ঘোরাঘুরির অনুভূতি জেনে সত্যি খুব ভালো লাগলো। খুব মজা করেছেনা আপনারা। সাথে কিছু সুন্দর সুন্দর ছবি দিয়েছেন এতে পোস্টটি দেখতে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন সব। শুভেচ্ছা রইলো আপনাদের জন্য।
আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। কারণ এই রকম অনুভূতি আমার নিজেরও আছে। হলে মাঝে মাঝে এরকম ভালো খাবার হইলে অনেক ভালো লাগে। কারণ হলে খাবারের বাজে অবস্থা সব সময় ভালো লাগে না। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনি দেখে বোঝা যাচ্ছে। এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এই সময়টাতেই রাতের বেলায় বাইরে সময় কাটাতে খুবই ভালো লাগে। আর চারপাচটা যদি হয় এমন আলোকসজ্জায় সজ্জিত তাহলেতো ভালোলাগাটা আরো বেড়ে যায়। যেহেতু আপনি ভোজন রসিক না তাই খাওয়া-দাওয়ার কথা বলে খুব একটা লাভ নেই। যদিও এমন একটা ফিস্ট আমি এটেন্ড করতে পারলে খুবই খুশি হতাম। সময়টা এমনিতে ভালোই কাটিয়েছেন দেখা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই সময়ে ঘুরতে বেশ ভাল লাগে। আর যেখানেই যাই সেখানেই উৎসব উৎসব একটা ভাব। তাই ভাল লাগা আরো বেড়ে যায়।
চারিদিকে রং বেরংয়ের আলো। অসাধারণ একটি পরিবেশ। এরই সঙ্গে খাবারগুলোর কথা শুনে আমার তো জিভে পানি চলে আসছে। এবং খুব আনন্দ করেছেন। আমার তো দেখেই চলে যেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর ছিল ফটোগ্রাফি গুলো এবং দারুণ উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।।
ধন্যবাদ ভাইয়া। হ্যা খুব আনন্দ করেছি ভাইয়া। তবে খাবারগুলোর কথা নিয়ে খুব উচ্ছ্বসিত হবেননা। আমার কাছে খুব ভাল রান্না মনে হয়নি। 😪
সর্বপ্রথম বলবো আপনাকে স্বাধীনতা দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। স্বাধীনতা দিবসে আপনি অনেক ঘুরাঘুরি করেছেন। অনেক মজা করেছেন দেখে মনে হচ্ছে। সাথে কিছু সুন্দর সুন্দর ছবি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ স্বাধীনতা দিবসে আপনার কাটানো কিছু মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল 😍😍
দেরিতে হলেও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা রইল। তাছাড়াও ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।