কবিতা পাঠ || বাতাসে লাশের গন্ধ || 10% beneficiary @shy-fox
আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।
image source: pixabay
আজ ২৬ শে মার্চ। স্বাধীনতা দিবস। এটা অবশ্য উল্লেখ করা নিষ্প্রয়োজন কারণ বাঙালি মাত্রই জানে ছাব্বিশে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস এবং ১৯৭১ সালের এই দিনে আমাদের দেশ প্রথম বারের মত স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষিত হয়। আর যে মহানায়ক এই ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
এই ঘোষণার পর থেকেই আমাদের দেশের সাধারণ নিরীহ মানুষের উপর কি ভীষণ রকম অত্যাচার শুরু হয়েছিল; সেটা আমি কিছুই দেখিনি। তাই সেই সময়ের মানুষের কথা, তাদের দুঃখের গল্প, সীমাহীন কষ্টের গল্প এসব ঠিকঠাক অনুভব করা আমার জন্য সম্ভব নয়। কারণ আমি তাদের পরিস্থিতিতে পড়িনি। তবু হুমায়ূন আহমেদ স্যারের জ্যোৎস্না ও জননীর গল্প উপন্যাসটি পড়ে কিছুটা হলেও সেই দুঃসময় আঁচ করতে পেরেছি। ওই বইটা পড়ার পর থেকে নিজের ভেতরে একটা কেমন বোধ সৃষ্টি হয়েছে, তাদের কষ্টগুলো এখন একদম নিজের কষ্ট মনে হয়। আর যতই ভাবি ততই অবাক হই, যাদের নিজেদের আত্মবিশ্বাস ছাড়া নিজেদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আর কিছুই ছিলনা তারাই কিভাবে দেশটা স্বাধীন করে ফেলল!
আমি সেই দুঃসময় দেখিনি; কিন্তু সেই সময় বেঁচে থাকা মানুষগুলো তো দেখেছে। আজকে আমার পাঠ করা কবিতাটি এই বিষয়বস্তুকেই প্রতিফলিত করে। আজকের কবিতাটি কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর বাতাসে লাশের গন্ধ। এই কবিতাটিতে কবি জানিয়েছেন স্বাধীনতার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে, সেই দুঃসময়ে ঘটে যাওয়া অনেক বীভৎস ও অনাকাঙ্খিত ঘটনার কথা যার জন্য তিনি রাতে ঘুমাতে পারেন না।
স্বাধীনতা দিবসে চলুন কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ রচিত কবিতাটি শ্রবণ করা যাকঃ
আশা করি কবিতাটি আপনাদের ভাল লেগেছে; আর একবার হলেও মনে পড়েছে অর্ধদশক পশ্চাতে থাকা মানুষগুলোর আত্মত্যাগের কথা।
সবাই ভাল থাকবেন। পুনরায় স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি।
ধন্যবাদ
সুন্দর ছিল আপনার আবৃতি । তাছাড়াও এই কবিতাটি শুনলে এমনিতেই আমার শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যায় । শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আর আসলেই এই কবিতাটা এমনই, কেউ যদি এটাকে ফিল করে শুনে তাহলে গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়।
ওয়াও আপনি দারুন একটি কবিতা পাঠ করেছেন ।রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর এই কবিতাটি মুক্তিযুদ্ধের কবিতা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে কবিতা টি চরম উত্তেজনার জন্ম দেয়। রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ লেখাগুলো আমার খুব ভালো লাগে বিশেষ করে আমার কবিতাগুলো। সেই সময়কার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট নিয়ে তার এই রচিত কবিতাটি আপনি সুন্দর ভাবে পাঠ করেছে। এত সুন্দর একটি কবিতা আপনার কন্ঠ শুনতে পারার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আপনার মত আমারও রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ এর কবিতাগুলো খুব ভাল লাগে।
আপনার কবিতা আবৃতি দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু । আপনি অনেক সুন্দর হবে কবিতা আবৃত্তি করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্যও শুভ কামনা রইল।
আপু খুবই চমৎকার কন্ঠে অত্যন্ত চমৎকার একটি কবিতা আবৃত্তি করে শুনিয়েছেন, আপনার কবিতা আবৃত্তি শুনে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কবিতাটি শুনে মুক্তিযুদ্ধের সেই নির্মমতা নিষ্ঠুরতা এত সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ যে কেউ শুনলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু স্বাধীনতা দিবসে খুবই চমৎকার একটি কবিতা আমাদের মাঝে আবৃত্তি করে শুনিয়েছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা অবিরাম।
ধন্যবাদ ভাইয়া। স্বাধীনতা পেয়ে আমাদের কত লাভ হয়েছে বা আমাদের সুবিধাগুলো কি কি তা আমরা অনেক সময় অনেকভাবে জানতে আর বুঝতে পারি। কিন্তু এই স্বাধীনতার পেছনেও কিছু গল্প আছে, সেগুলো কবি তুলে ধরেছেন এই কবিতায়।
উফ অসাধারণ ছিল আপু। অসাধারণ আপনার আবৃতি সেই সাথে দারুন একটি ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ব্যবহার করেছেন দারুন লাগছে শুনতে। আর কবিতাটি সত্যিই অসাধারণ ছিল লিরিক্স গুলো দিয়ে দিলে একটু মনে হয় ভালো হতো আমার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করলাম। পরবর্তীতে লিরিক্স দিতে ভুল হবেনা।
twitter
মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা রইল।
আজকের এই দিনে সকল শহীদদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা। আপনার কন্ঠে রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ কবিতাটি শুনে খুবই ভালো লাগলো। কবিতাটি খুব অসাধারণ ভাবে আপনি আমাদের মাঝে পরিবেশন করেছেন। আপনার আবৃত্তি খুবই দুর্দান্ত। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তর অন্তর থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। খুব অনুপ্রেরণা পেলাম আপনার সুন্দর মন্তব্য থেকে। আর আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভাইয়া।