গল্প-একটি দরিদ্র মেয়ের বড় হওয়ার গল্প(পর্ব ১০)||
আসসালামু আলাইকুম
আমি একজন বাংলাদেশী। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47 আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি একটি ক্রাফট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আপনারা সবাই কেমন আছেন।আশা করি সকলে ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি একটি গল্প শেয়ার করতে যাচ্ছি।গল্প লিখতে বা পড়তে ভীষণ লাগে আমার।কিন্তু সময়ের অভাবে হয়তো সেটা হয়ে উঠে না।আজ আমি একটি দরিদ্র মেয়ের বড় হওয়ার গল্প (পর্ব ১০) লিখতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
একটি দরিদ্র মেয়ের বড় হওয়ার গল্প(পর্ব ১০):
Source
ছাবিনার বড় বোনের নাম ছিল সাবানা।ওর ছোট ভাই বলে আমাদের বোনের কোনো অসুখ ছিল না বোন।ওর সাথে অনেক বড় একটা ঘটনা ঘটেছিল তোকে আমরা কখনও সেটা জানতেই দেয় নি। তুই সেটা শুনলে খুবই কষ্ট পাবি বোন।এর জন্য তোকে কখনও জানতেও দেওয়া হয় নি।কিন্তু আজকে তোকে সেই কথা বলতে কোনো বাঁধা নেই।তোর জানা খুবই প্রয়োজন এটা আমি মনে করি।
সাবানা খুবই অল্প বয়সে আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিল।একটা বোনকে জীবন থেকে হারিয়েছি।আর একটা বোনকে আর হারাতে চায় নি।তাই তোকে একটা নতুন জীবন দেওয়ার চেষ্টা করেছি।তোর খারাপ কখনও আমরা চাযই না।সাবানা যখন ক্লাস নাইনে পড়ে তখন একটা ছেলে ওকে খুবই পছন্দ করতো।কিন্তু আমাদের বোন ছিল একদম অন্যরকম।সে এইসবে কোনো পাত্তা দিত না।সে ছিল অন্য রকম একটা মানুষ।
এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল।তার মতো সহজ সরল মানুষ আমরা জীবনে একটাই দেখেছি।যার মধ্যে নেই কোনো হিংসা নেই কোনো অহংকার।এক কথায় পারফেক্ট মানুষ।তার কথা বলেও শেষ করা যাবে না।আর তার গুণের তো কোনো শেষ নেই।বলে লিখেও শেষ করতে হয়তো বা কখনোই পারবো না। বকাটে ছেলেরা তাকে রাস্তা ঘাটে অনেক কথা বলতো।কিন্তু একটা ছেলে সাবানা কে এতটা পরিমাণ ভালোবাসতো যা বলে বুঝানোর ভাষা নেই।
মন প্রাণ দিয়ে সে ভালোবেসেছিল সাবানা কে।কিন্তু সাবানা এইসব বিষয় খুবই অপছন্দ করতো।সে কাউকে পাত্তা দিত না।পড়াশুনা পরিবার তার কাছে সব কিছুর প্রাধান্য বেশি ছিল।করো কথায় কোনো কান দিত না।সে মাথা নীচু করে স্কুলে যেত আবার মাথা নিচু করে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরত।কিন্তু ছেলেটি ছিল বড় লোকের ছেলে।সে যখন কোনো পাত্তা কি পায় নি তখন সে একদম ভেঙ্গে পরে।ছেলে টি সাবানার জন্য নিজের হাত কেটে ফেলেছিল।এর জন্য ছেলের পরিবার আমাদের অনেকবার হুমকি দেয়।এমনকি তারা বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল।
কিন্তু বাবা মা এমকি আমরাও রাজি ছিলাম না। আর সাবানা ও এই কথা শুনে কেঁদেছিল।সে চায় নি এখনি বিয়ে করতে।কিন্তু কয়েক দিন পর ছেলেটি ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিজের জীবন শেষ করে।এর জন্য ওর বাবা মা আর পাড়া প্রতিবেশী আমাদের অনেক ধরনের কটু কথা শুনিয়েছিল।বাবা মার এমন লাঞ্ছনা অপমান সহ্য করতে না পেরে আমাদের বোন নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করে।অনেক চেষ্টা করেও তাকে আমরা বাঁচাতে পারি নি।সেই দিনের কথা মনে হলে বুকটা কষ্টে ফেটে যায়।এরপর ছাবিনা ও একদম কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।এরপর তিন ভাই বোন কান্না শুরু করে।এমন সময় অনয় তাদের খাওয়ার জন্য ডাকতে আসে।এরপর খাওয়া দাওয়া শেষে ওরা রওনা দেয় ছাবিনার ভাইয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে।সেইখানে গিয়ে কি হচ্ছে জানতে হলে অবশ্যই পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।আজ এই পর্যন্ত থাকলো।ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডি নাম @maria47. আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি।