লাইফ সটাইল-মেয়ের জন্মদিনের সুন্দর কিছু মুহূর্ত (শেষ পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগ25 days ago

আসসালামু আলাইকুম


আমি @maria47 বাংলাদেশ থেকে। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই অনেক ভাল আছেন। আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়া আমিও অনেক ভালো আছি।আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে মেয়ের জন্মদিনের সুন্দর কিছু মুহূর্ত (শেষ পর্ব ) শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।


মেয়ের জন্মদিনের সুন্দর কিছু মুহূর্ত (শেষ পর্ব)


IMG_20241030_000404.jpg
Device-XANON-X20


অনেক কষ্ট মেয়েকে প্রস্তুত করানো কেক কাটার জন্য।বাচ্চাদের কোনো জায়গায় স্থির করে দাড় করানো খুবই কষ্টকর।আমার মেয়ে বেশ দুষ্ট তাই কখনোই তার ছবি তোলা যায় না।তবুও চেষ্টার চালিয়ে গেছি।আর সফল ও হয়েছি।এরপর সবাই কে ডাকা হয়।ওর বাবা তো রান্না বান্নায় ভীষণ ব্যস্ত ছিল।সে কেক কাটতে বলতেছিল।কিন্তু আমি জোর করেই তাকে নিয়ে আসি।সে চামচ হাতে নিয়ে দাড়িয়ে ছিল।একটু পর পর গিয়ে রান্না ঘরে গিয়ে দেখতেছিল খাবার পুড়ে যাচ্ছে কিনা।


IMG_20241030_000423.jpg
Device-XANON-X20
IMG_20241030_000433.jpg
Device-XANON-X20


ওর মামা আর দুই ভাই সহ কেক কাটার জন্য দাঁড়ায়।মেয়েও বেশ খুশি মনে তাদের সাথে মনে আনন্দ নিয়ে দাঁড়িয়েছিল।কিন্তু যখন ক্যান্ডেল টা জ্বালানো হয় তখন মেয়ে ভয়ে একদম তার মামার কোলে গিয়ে উঠে।কিছুতেই সে আসবে না।এমন ভাবে ভয়ে গুটিয়ে গিয়েছিল।এক লাফে কোলে উঠে বসে।এরপর যখন নিভে যায় ক্যান্ডেল টা তখন মেয়ের ভয় কেটে যায়।সে মনে করেছিল হয়তো তার গায়ে এসে পড়বে।যখন নিভে গিয়েছিল তখন একদম হেসে দিয়েছিল।

IMG_20241030_000453.jpg
Device-XANON-X20
IMG_20241030_000501.jpg
Device-XANON-X20


সবাই ওর এমন কাণ্ড দেখে হেসে দিয়েছিল।কি যে করে মেয়ে টা নিজেও জানে না।এরপর সে নিজেই কেক কাটতে যায়।এরপর সবাই মিলে কেক কাটে।আর বাকি সবাই হাত তালি দিচ্ছিল।মেয়ে সেই তালে আবার নাচতে ছিল।এরপর মেয়ে সবাই কে কেক খাওয়ায় দে।এরপর সবাই মেয়েকে খাওয়ায় দেয়।এরপর সে বায়না করে সে আবার কেক কাটবে।মেয়ে ভীষণ মজা পেয়েছিল।



IMG_20241030_000616.jpg
Device-XANON-X20


এরপর আমি যে কেকটি মেয়ের জন্য প্রস্তুত করেছিলাম সেটাই মেয়েকে কাটতে দিয়েছিল।এরপর আমার বানানো কেক কাটে।এত ভীষণ খুশি ছিল।আর খুবই মজা করে কেক খাচ্ছিল।কেক কাটার পর্ব শেষ হলে।মেয়েকে আমি তার বাবার হাতের কাচ্চি খাওয়াই দেই।ওর বাবা দারুন রান্না করতে পারে। বাসায় কোনো আয়োজন হলে সে নিজের হাতে সব রান্না করে।ওর হাতের খাবার খেতে সবাই ভালোবেসে।এমন মনোযোগ দিয়ে রান্না করছিল আর আয়োজন করেছিল।মনে হচ্ছিল মেয়ের জন্মদিন নয় মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলছে।খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত ছিল।



মেয়ের জন্মদিনে দারুন কিছু সময় কাটিয়ে ছিলাম।মেয়ের জন্মদিনের সুন্দর কিছু মুহূর্ত আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে।আমার জীবনের এমন একটি মুহূর্ত সকলের সাথে ভাগ করে নিতে পেরে আমার খুবই আনন্দ হচ্ছে।আশা করি আমার শেয়ার করা মুহূর্ত গুলো সকলের কাছে ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ সবাইকে।



আমার পরিচয়

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20231220_171352.jpg

আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47। আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়াও ছবি তুলতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কোন ভিন্ন ধরনের কিছু দেখলেই আমি সেটির ছবি তুলে রাখি। নিত্য নতুন জিনিস বানাতেও ভীষণ ভালো লাগে। এছাড়াও নিত্য নতুন আর্ট করতে আমার খুবই ভালো লাগে।

Sort:  
 24 days ago 

আপনার মেয়ের জন্মদিনের শেষ পর্ব দেখে অনেক ভালো লাগলো। দেরি করে হলেও তাকে তার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। ভাইয়া তাহলে এত মজাদার খাবার তৈরি করতে পারে শুনে ভালো লাগলো। আর আপনিও মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষ্যে সুন্দর দেখতে কেক তৈরি করেছেন। আপনার কেকটাও মজা করে খেয়েছিল শুনে ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটা মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 23 days ago 

ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।

 24 days ago 

আপনার মেয়ের বার্থডে সেলিব্রেট এর আগের পর্ব গুলো দেখা হয়নি। তবে আজকের পর্ব দেখে বেশ ভালো লাগলো। খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনারা সবাই মিলে। আপনার মেয়ে তো দেখছি অনেক খুশি। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

 24 days ago 

আপনার মেয়ের জন্মদিনের সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। জন্মদিন মানেই অন্য রকমের আনন্দ। আর জন্মদিনে বাচ্চারা অনেক বেশি আনন্দ করে। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট দেখে।