রেসিপি-ঝাল ঝাল লইট্টা মাছ ভুনার রেসিপি||
আসসালামু আলাইকুম
আমি @maria47।আমি একজন বাংলাদেশী।আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে একজন নতুন সদস্য। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ঝাল ঝাল লইট্টা মাছ ভুনার রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
ঝাল ঝাল লইট্টা মাছ ভুনার রেসিপি


মাছ খেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।যে কোন ধরনের মাছ খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। মাছের মধ্যে এই লইট্টা মাছ খেতেও আমার খুবই ভালো লাগে। লইট্টা মাছের শুটকি কিংবা মাছ ভুনা খেতে আমি খুবই পছন্দ করি।এই মাছ ঝাল ঝাল করে রান্না করলে খেতে দুর্দান্ত লাগে। আজ আমি আমার রান্না করা লইট্টা মাছের ঝাল ঝাল ভুনার রেসিপিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আমি রেসিপিটি তৈরি করেছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
| ক্রমিক নং | নাম | পরিমান |
|---|---|---|
| ১ | লইট্টা মাছ | পরিমাণ মতো |
| ২ | কাঁচা মরিচ | ৪টি |
| ৩ | রসুন বাটা | ১ ১/২ চা চামচ |
| ৪ | জিরা বাটা | ১ চা চামচ |
| ৫ | পেঁয়াজ কুঁচি | ১/২ কাপ |
| ৬ | মরিচের গুঁড়া | ১/২ চা চামচ |
| ৭ | লবণ | পরিমাণ মত |
| ৮ | হলুদের গুঁড়া | ১/২ চা চামচ |
| ৯ | সয়াবিন তেল | ৪টেবিল চামচ |

ঝাল ঝাল লইট্টা মাছ ভুনার রেসিপির ধাপ সমূহ:
ধাপ-১




প্রথমে চুলাতে একটি কড়াই বসিয়ে তেল ঢেলে দিব। এরপর তেল ভালো ভাবে গরম হয়ে গেলে পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে দিব।এরপর একটি চামচের সাহায্যে নেড়েচেড়ে বেরেস্তা করে একটি প্লেটে উঠিয়ে নিব।
ধাপ-২



পেঁয়াজ বেরেস্তা গুলোকে ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিব।
ধাপ-৩


এরপর আবারো ওই তেলে রসুন বাটা,জিরা দিয়ে চামুচের সাহায্যে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিব।
ধাপ-৪


এরপর পরিমাণমতো লবণ দিয়ে দিব।
ধাপ-৫


এরপর হলুদের গুঁড়া ও মরিচের গুঁড়া দিয়ে চামচের সাহায্যে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিব।
ধাপ-৬


এরপর সামন্য পরিমাণ পানি দিয়ে চামচের সাহায্যে নেড়েচেড়ে মসলা গুলো ভালোভাবে কষিয়ে নিব।
ধাপ-৭


এরপর বেটে নেওয়া পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে চামুচের সাহায্যে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিব।
ধাপ-৮



এরপর মাছ গুলো দিয়ে চামচের সাহায্যে নেড়েচেড়ে মসলার সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিব।
ধাপ-৯


এরপর পরিমাণমতো পানি ও কাঁচা মরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ আঁচে রেখে দিব।
শেষ ধাপ

কিছুক্ষণ আঁচে রাখার পর আমার রেসিপিটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে যাবে।
উপস্থাপনা:

ঝাল ঝাল লইট্টা মাছ ভুনার রেসিপি তৈরি হয়ে গেলে উপস্থাপনার জন্য প্রস্তুত করে নিব।এভাবে ঝাল ঝাল লইট্টা মাছ ভুনা করে খেতে আমার অনেক ভালো লাগে।এই রেসিপিটি তৈরি করে শেয়ার করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে।আজ আমি আপনাদের মাঝে এমন একটি রেসিপি তুলে ধরতে পেরে খুবই আনন্দিত।আমি সবসময় চেষ্টা করব নতুন কিছু আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য।আশা করি আমার তৈরি করা রেসিপিটি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47। আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়াও ছবি তুলতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কোন ভিন্ন ধরনের কিছু দেখলেই আমি সেটির ছবি তুলে রাখি। নিত্য নতুন জিনিস বানাতেও ভীষণ ভালো লাগে। এছাড়াও নিত্য নতুন আর্ট করতে আমার খুবই ভালো লাগে।



আমি শুনেছি লইট্টা মাছ নাকি খুব নরম হয়। আপনার মাছগুলো রান্নার পর ভেঙে যায়নি? রান্নার রংটা তো খুবই সুন্দর হয়েছে আশা করি খেতেও খুব ভালো হয়েছিল।
রান্নার ছবি দেখলেই বোঝা যায় আসলে রেসিপিটা খেতে কেমন সুস্বাদু হবে। লইট্টা মাছ ভুনা রেসিপির ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। লোভনীয় এই রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই রেসিপিটি খেতে সত্যি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
লইট্টা মাছ আমার বেশ ভালো লাগে খেতে। এই মাছটা খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকার। এই মাছটা অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। অনেকদিন হলো খাওয়া হয়না। আজকে আপনার রেসিপি-র মাধ্যমে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এভাবে পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে কখনো ভুনা করে খাওয়া হয়নি। রেসিপিটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে ভীষণ ভালো হয়েছে খেতে। মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপু এই মাছ খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এই মাছটা পুষ্টি গুনে ভরপুর।ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
লইট্যা মাছ বাংলাদেশে খুব বিখ্যাত জানি। এখন পশ্চিমবঙ্গেও প্রচুর প্রচলিত। আপনি সুন্দর একটি পদ রেঁধেছেন। দেখতেও বড় ভালো লাগছে। এই মাছের ভুনা আশা করছি খেতে খুব ভালো হয়েছিল। সামনে পেলে নিশ্চয়ই একবার চেখে দেখতাম। আরো সুন্দর সুন্দর রান্না করুন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করুন।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এটি বাংলাদেশের খুবই বিখ্যাত একটি মাছ। এই মাছের শুটকি কিংবা মাছটি খেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
লইট্টা মাছ ভুনার রেসিপি দুর্দান্ত হয়েছে আপু। লইট্টা মাছের শুটকি খেয়েছি। তবে এই মাছ কখনো খাইনি। আপনি এত সুন্দর করে আপনার রান্নার প্রণালী তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
লইট্টা মাছের রেসিপিটি খেতেও দুর্দান্ত হয়েছিল। লইট্টা মাছের শুটকি কিংবা মাছ খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আজ আপনি আমাদের সাথে খুব সুস্বাদু একটি লইট্টা মাছের ভুনা রেসিপি শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। সুন্দর রেসিপিটি তৈরীর ধাপগুলো আমাদের সাথে সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি আজকে খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। বিশেষ করে যে কোনো মাছের ভুনা রেসিপি খেতে বরাবরই আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আপনার তৈরি এই লইট্টা মাছের ভুনা দেখে লোভ সামলানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও রেসিপির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে কতটা সুস্বাদু হয়েছিলো। ধন্যবাদ রেসিপি তৈরির প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে দেখানোর জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ চমৎকারভাবে লইট্টা মাছ ভুনার রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আজকে প্রথম এই মাছের নাম শুনলাম এর আগে কখনো শুনি নাই। তবে রেসিপি তৈরির পদ্ধতি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এর আগে যদি এই রেসিপি কখনো না খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই একবার বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন।আশা করি খুবই ভালো লাগবে।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু শুনেছি আপনি আমার বাসার খুব কাছাকাছিই নাকি থাকেন। কিন্তু কথা হলো এত কাছে থেকে এমন রেসিপি করে খাবেন আর শেয়ার করবেন সেটা মেনে নিবো না, মানবো না। বাসার ঠিকানা দেন চলে আসবো। বেশ দারুন মজাদার শুটকির রেসিপি আপনি শেয়ার করেছেন। উপস্থাপনাও বেশ সুন্দর করে করেছেন। আমার কাছে দারুন লেগেছে। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
লইট্টা শুঁটকি ভুনা খেয়েছি কিন্তু লইট্টা মাছ ভুনা খাওয়া হয়নি। তবে এই ধরনের রেসিপি একটু ঝাল ঝাল হলে খেতে একটু বেশিই সুস্বাদু লাগে। আপনার রেসিপির কালার খুব সুন্দর এসেছে। নিশ্চয়ই খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার উপস্থাপনা লোভনীয় হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।