বাসার ছাদে মুরগির খামার বা মুরগি পালন
রবিবার,
তারিখঃ ১০-০৯-২০২৩
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছো। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকেও ভালোই রাখছে। আমরা বাসার ছাদে কিভাবে মুরগির খামার বা মুরগি পালন করবো। আমাদের বাসার ছাদ কমবেশি সবাইরে ফাকা থাকে। প্রথমে বাঁশ কেটে চিকন চিকন করে কেটে নিতে হবে। তারপর এগুলোকে ভালো করে সিলিয়ে নিতে হবে। ভালো করে সিলিয়ে না নিলে বাঁশের ধারালো অংশ দিয়ে মুরগি আঘাত পাবে এমন কি মরেও যেতে পারে।
এরপর চিকন চিকন করে সিলিয়ে নেওয়া বাঁশ গুলো তারকাটা দিয়ে একটু ফাক ফাক করে বেড়া বা চাটি বানাতে হবে। এভাবে চারপাশে চারটা চাটি দিতে হবে। এখন এই চাটির উপর দিয়ে ভারী কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে দিতে হবে। কাপড় টা দেওয়ার কারণ হচ্ছে যাতে করে রোদ, বৃষ্টি, বাতাস থেকে মুরগি গুলোকে শুরক্ষিত রাখা যায়।
যদি একটা ছাদের দৈর্ঘ্য ৩০ ফিট হয় আর প্রস্থ ২০ ফিট হয় সেই ছাদে ৩০০ থেকে ৪০০ মুরগি বাচ্চা লাগানো যাবে। আর বাচ্চার দামও খুব বেশি না একেক বাচ্চা ২০ থেকে ২৫ টাকা হলেই পাওয়া যায়। এখন মুরগির বাচ্চা খামারে নিয়ে আসার আগেই কিছু জিনিস রেডি রাখতে হবে সেগুলো হলো কাঠের গুঁড়া এনে শুকিয়ে রাখতে হবে। কারণ শুকনো কাঠের গুঁড়া খামারে ভালো করে ছিটিয়ে দিয়ে রাখলে মুরগির বিষ্ঠার গন্ধ হবে না।
আরো লাগবে খাবার দেওয়ার জন্য খাবারের পট আবার পানি দেওয়ার জন্য লাগবে পানির পট আরো প্রয়োজনীয় কিছু মেডিসিন খাবার রেডি রাখতে হবে।এগুলো রেডি থাকলে এখন মুরগির বাচ্চা এনে খামারে ছেড়ে দেওয়া যাবে। এখন খামারে করণীয় কিছু কাজ প্রতিদিন একবার করে খামারের চার পাশে জীবাণু নাশক দিয়ে স্প্রে করতে হবে খামারের ভিতরে যে মানুষ প্রবেশ করবে তাকেও পরিষ্কার পরিছন্ন ও জীবাণু মুক্ত থাকতে হবে।
খামারে প্রতিদিন নিয়ম করে দুই বেলা পরিমান মতো খাবার দিতে হবে সকালে এবং রাতে। এভাবে মুরগির বয়স যখন ৩০ থেকে ৪০ দিন হয়ে যাবে তখন মুরগির ওজন হয়ে যাবে ২কেজি থেকে ৩ কেজি এখন আমরা মুরগি বেচা কিনা করতে পারবো । একেক মুরগির দাম হবে ৪০০টাকা থেকে ৫০০ টাকা। আর আমাদের একেক মুরগির বাচ্চার জন্য খরচ হবে খাবার, ঔষধ, কারেন্ট বিল কাঠের গুঁড়া কেনা, পরিশ্রম সব মিলে ১৫০ টাকা থাকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।
ধন্যবাদ,
@mazadul
অনেক সুন্দর একটি পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এর আগে আমি কখনো দেখিনি বাসার ছাদে মুরগি লালন পালন করা। আপনার কাছে এই পদ্ধতিটি দেখে খুবই ভালো লাগলো। বর্তমানে মুরগির অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই এভাবে বাসার ছাদে মুরগি লালন পালন করা বুদ্ধিমানের কাজ। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বাড়ির ছাদে এখন মানুষ অনেক কিছুই করছে। বাড়ির ছাদে অনেকে গাছ লাগায় কেউ আবার মুরগির খামার তৈরি করে। মুরগির খামার করা বেশ ভালো ছাদে কারণ ছাদে করলে মুরগির খামারের যে গন্ধ সেটি বাতাসে মিশে যায় এবং আশেপাশের কোন দুর্গন্ধ ছড়ায় না। আপনি বেশ চমৎকার করে মুরগির ফার্ম তৈরি করার কিছু পদ্ধতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনি যথেষ্ট সময় নিয়ে পোস্টটি তৈরি করেছেন এবং সঠিক মাপগুলো দিয়ে আমাদেরকে জানিয়েছেন। কিভাবে এই খামারটি তৈরি করতে হবে এবং কিভাবে মুরগির খাবার দিতে হবে। মুরগির কিভাবে যত্ন করতে হবে। মুরগিদের রোগবালাই যাতে না হয় এ জন্য কি করা লাগবে আপনি সে বিষয়গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এবং আপনি বেশ সুন্দর কিছু মুরগির ছবি এবং খামারের ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। তবে বাঁশের নেটের থেকে এখন লোহার তৈরি নেট গুলো বেশি খামারে ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলো বেশ মজবুত এবং টেকসই এগুলো সহজে নষ্ট হয় না এবং সহজে কোন বন্যপ্রাণী এসে মুরগির ক্ষতি করতে পারে না। তবে এখন প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে খুব সহজে মুরগির খাবার এবং পানির ব্যবস্থা করে দেওয়া যায় যাতে মুরগি সহজে নিজে নিজে খেতে পারে এবং বারবার কষ্ট করে খাবার এবং পানি দিতে হয় না।
আপনি দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। বসতবাড়ি ছাদেও যে এভাবে মুরগি পালন করা যায় তা আমার জানা ছিল না।এটি খুবই সৃজনশীল একটি উদ্যোগ। বাড়ির ছাদে কি ভাবে মুরগির খামার তৈরি করা যায় এবং কিভাবে মুরগী প্রতিপালন করা যায় তা আপনি তুলে ধরেছেন। তবে পোল্ট্রি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ একটি ব্যবসা। অনেক সময় লাভ হয় আবার অনেক সময় বিরাট আকারে ক্ষতি হয়। তবে পরিশ্রম করলে একসময় একটা ভালো ফল পাওয়া যায়। আমাদের দেশে আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য পোল্ট্রি সিস্টেম চালু হয়েছে। এই পোল্ট্রি সিস্টেমের মাধ্যমে দেশের সিংহভাগ আমিষের চাহিদায় পূরণ হচ্ছে। বিশেষ করে যারা নিম্ন আয়ের মানুষ তারা এই মুরগিগুলো কিনে তাদের মাংসের চাহিদা পূরণ করেন। আপনি অনেক সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাসার ছাদে মুরগি পালনের পদ্ধতি খুবই সুন্দরভাবে আলোচনা করেছেন ভাই। মুরগি পালন করে অনেকেই স্বাবলম্বী। আমারও এক সময় মুরগির খামার ছিলো। মুরগি পালন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার, তবে আমি মুরগি পালন করে লাভবান হতে পারিনি। সব সময় লস হতো,মুরগি বিক্রির সময় হলে মুরগি মারা যেতো, যার জন্য অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাকে। তবে আপনার পোস্ট আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। আপনি সঠিক মাপ তুলে ধরছেন। কতটুকু জায়গাতে কয়টা মুরগি পালন করা যাবে। সেগুলো বিস্তারিত বুঝিয়ে দিয়েছেন। বাঁশের বেতি দিয়ে খুবই সুন্দর ভাবে জাল তৈরি করা হয়েছে। তাতে মুরগি গুলো সব সময় সুরক্ষিত থাকবে। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই, ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
https://twitter.com/MdMasum56689380/status/1700852509647204610?t=55T-uSn1WszkgjoY2OmgEQ&s=19
বাসার ছাদেও মুরগির খামার করা যায় এই প্রথম দেখলাম,তবে উদ্যোগটা ভালো। আর পথে মুরগি থেকে যদি ২ থেকে ৩০০ টাকা প্লাস লাভ হয়,তাহলে তো ভালোই। তাহলে তো ভাই মুরগির খামারে ভালই লাভ হয়। বাসার ছাদে মুরগির খামার বা মুরগি পালন সম্পর্কে খুব সুন্দর লিখেছেন। মুরগির খামার সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করে, পোস্টটি খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে উপস্থাপন করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থিত করার জন্য ।
চমৎকার একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।বাসার ছাদে মুরগি পালনের জন্য করনীয় সকল কার্যক্রম ও পদ্ধতি গুলো আপনি অনেক সুন্দর ও বিস্তারিত ভাবে আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন। আপনার এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে যে কেউ অনেক সহজেই বাসার ছাদে মুরগি পালনের জন্য একটি খামার তৈরি করতে পারবেন। আপনার আজকের এই বিস্তারিত আলোচনাটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে ভাই। অনেকের জন্যই আপনার আজকের এই পোস্টটি অনেক হেল্পফুল হবে। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আসলে আমি অনেক ধরনের ফারাম দেখেছি তবে আপনার পোস্টের প্রথম বার দেখলাম বাসার ছাদে মুরগি লালন পালন করে থাকে। আসলে আমার এক বন্ধু ছিল আগে সে মুরগি লালন পালন করতো এবং এখনো মুরগি লালন পালন করে কিন্তু সে তো মাটিতে একটি ঘর বানিয়ে তার সাইডে এরকম বাসের বাতা করে চতুর্দিক দিয়ে ঘিরে রেখেছে। যাতে করে চারদিকের বাতাস ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। কারণটা হলো এসব মুরগির হাওয়া বাতাস সব সময় প্রয়োজন। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। আপনার সামনের দিনগুলো আরও শুভ হোক এই প্রত্যাশাই করি। ধন্যবাদ