সবজি বাগান পরিদর্শন।
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@md-razu বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -১৩ ই,বৈশাখ| | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ||শুক্রবার||গ্রীষ্মকাল ||
নিজ হাতে ক্যামেরা নিয়ে কিছু প্রিয় মুহূর্ত বন্দী করার মজাই অন্যরকম।প্রকৃতির রুপ কার না ভালো লাগে।প্রকৃতির রুপ দেখে মানুষের মনে এক অনাবিল সুখ বয়ে যায়।
ফটো-এডিটর দিয়ে বানানো।
device:redmi note 10
What's 3 Word Location:
https://w3w.co/uncorks.nevermore.retake
আজ আপনাদের মাঝে সবজি বাগান পরিদর্শনের যে গল্প শেয়ার করবো। আশা করি এই ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
এইতো কিছুদিন আগে আমাদের সবজি বাগানে গিয়েছিলাম। যদিও বাড়ি থেকে একটু দূরে তবে মেঠো পথ ধরে হাঁটতে ভালোই লাগে। সবজি বাগানে গিয়ে আমি অনেক সময় অতিবাহিত করে থাকি। প্রকৃতির মাঝে এমনিতে আমার অনেক ভালো লাগা কাজ করে। নিজের কাজ নিজে করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। সবজি বাগানে আমরা নিজেরাই কাজ করে থাকি। বিভিন্ন ধরনের সবজি রয়েছে আমাদের এই বাগানে। আমি আর আমার দুই বন্ধু মিলে সবজি বাগান পরিদর্শনে বের হয়েছিলাম। দেখতে গিয়েছিলাম সবজি বাগানে কেমন সবজি ধরেছে। আর কি কি সবজি উঠানো সম্ভব। আমরা আসরের নামাজ পড়ে বাড়ি থেকে বের হই। দিগন্ত জুড়ে শুধু ধানের ক্ষেত। ধানের আইল ধরে সবজি বাগানের উদ্দেশ্যে রওনা হই। আমাদের যেতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগে। তবে মেঠো পথে হাঁটার মুহূর্তটা দারুন ছিল। দিগন্ত জুড়ে সবুজের সমারহ। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।
আমাদের সবজি বাগানটা প্রায় ১৫ শতক জমির উপর তৈরি। সবজি বাগানে বিভিন্ন ধরনের সবজি রয়েছে। চারিদিকে সুন্দর করে প্রাচীর দেওয়া। যাতে অন্যান্য পশু-পাখি তেমন একটা ক্ষতি করতে না পারে। প্রথমে আমরা সবজি বাগানে ঢুকে দেখি পেঁপে গাছে অনেক ফুল এসেছে। যদিও সবজি বাগানটা বেশিদিন করা হয় নাই এর জন্য তেমন একটা সবজি দেখা মিলবে না। পেঁপে গাছে এখনো পেঁপে ধরা শুরু করে নাই। তবে অনেক ফুল এসেছে আশা করা যায় কিছুদিনের মধ্যে পেঁপে ধরা শুরু করবে। তারপর আমার নজর বেগুনের গাছের দিকে এগিয়ে গেল। বেগুন গাছে অনেক বেগুন ধরেছে যা দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। গরম ভাতের সাথে বেগুন ভর্তা খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। বেগুন ভর্তার মধ্যে আলাদা একটা টেস্ট পাওয়া যায়। আমাদের বাগানটা বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক থেকে মুক্ত। যেহেতু এইসবজি বাগান থেকে সবজি আমরা নিজেরাই খাই এজন্য সবজি বাগানে কীটনাশক প্রয়োগ করি না। বাগান করার আগে কিছু জৈব সার প্রয়োগ করা হয়েছিল। আমি কিছু বেগুনের ফুলের ফটোগ্রাফি করি।
এরপর পটল গাছে দেখি অনেকগুলো পটল ধরেছে। বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে বাগান করা যাতে বিভিন্ন ধরনের সবজির স্বাদ নিতে পারি। যেকোনো ধরনের সবজি গাছে থাকলে দেখতে সেটা অনেক সুন্দর দেখায়। তারপর পাশে এরকম কুমড়া গাছে ফুল এসেছে। যদিও ইচ্ছা ছিল অনেক ধরনের সবজি বাসায় নিয়ে যাব। কিন্তু সবজিগুলো এখনো খাওয়ার মত হয়ে ওঠেনি। কিছু কিছু সবজি খাওয়া যাচ্ছে কিন্তু সব ধরনের সবজি এখনো বড় হয়নি। বন্ধুদের সাথে নিয়ে এসেছি ভাবলাম তাদের কিছু সবজি বাসার জন্য দিয়ে দিব। কিন্তু এসে আমি হতাশ হয়ে গেলাম। যদিও বাড়ি থেকে আম্মু বলেছিল সবজি এখনো খাওয়ার মত হয়নি। কি করার অনেকদিন পর সবজি বাগানে যাওয়া এই জন্য ওভাবে চলে গিয়েছিলাম।
এরপর পাশেই দেখি কচুক্ষেত করেছে। কচুক্ষেতের মাঝে অনেক পুইশাক লাগানো রয়েছে। পুইশাক অনেক সুস্বাদু একটি খাবার। পুঁইশাক খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আমাদের সবজি বাগানটা সবুজে শ্যামলে পরিপূর্ণ। যেদিকেই তাকাবেন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি আপনার চোখে ধরা পড়বে। সবজি বাগানের একপাশে অনেকগুলো কলাগাছ লাগানো হয়েছে। কলা গাছের বেশ কিছু কলা ধরেছে। ইচ্ছা ছিল অনেকগুলো কলা নিয়ে বাসায় ফিরব। কিন্তু কলা গাছ থেকে সারানোর জন্য বাসা থেকে কিছু নিয়ে আসা হয়নি। এজন্য কলা না নিয়েই বাসায় ফিরতে হবে। তবে বাসায় যাওয়ার আগে আমরা অনেকগুলো ডাটা শাক জমি থেকে উঠাই। বন্ধুদের অনেকগুলা শাক উপহার দিই। আমিও বাসার জন্য অনেকগুলো শাক উঠিয়ে রেখে দিই।
যখন বিভিন্ন ধরনের সবজি সবজি বাগানে দেখা যাবে তখন আরেকটি পোস্ট আপনাদের সামনে হাজির করব। ইচ্ছা ছিল অনেক ধরনের সবজি উঠানোর। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখনো সবজি ভালোভাবে ধরেনি গাছে। তবে শাক অনেক উঠানো সম্ভব হতো। কিছু শাক আমিও উঠিয়েছি। তবে কলা নিয়ে বাসায় ফেরার অনেক ইচ্ছা ছিল। কলা গাছ থেকে নামানোর জন্য তেমন কোন সরঞ্জাম না থাকায় শুধু শাক নিয়ে বাসায় ফিরতে হলো। আজ এই পর্যন্তই আশা করি সবজি বাগানের কাহিনীটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। এমন না সবজি বাগানে সময় অতিবাহিত করতে আমার বেশ ভালো লাগে। যখন আমার হাতে কোন কাজ থাকে না তখন আমি সবজি বাগানে এসে বিভিন্ন আগাছা পরিষ্কার করি। এবং সবজিতে পানি সেচ দিয়ে থাকি। একদিকে আমার সময়ও অতিবাহিত হলো অন্যদিকে সবজির পরিচর্যা করা হলো।
আমি মো: রাজু আহমেদ, আমি একজন ছাত্র। আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছি। আমি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, রান্না করতে, বই পড়তে, কবিতা পড়তে, খেলাধুলা করতে খুবই পছন্দ করি।স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness OR
আপনারা সবজি বাগানে নিজেরাই কাজ করে থাকেন। বিভিন্ন ধরনের সবজি দেখতে পারতেছি বাগানে। ধানের এই ফটোগ্রাফিটা দেখার মত ছিল। কি দারুন লাগছে। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। বেগুনের গাছটি অত্যন্ত সুন্দর। এগুলো আসলে আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি এরকম ভাবে বাগান করতে পারি তাহলে আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা গুলো মেটানো যাবে। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই ছবিগুলো দেখে।
সবজি বাগানে নিজেরা কাজ করার মধ্যে আলাদা একটা প্রশান্তি পাওয়া যায়। আর এই সবজিগুলো কীটনাশক মুক্ত হওয়াতে খেতেও অনেক কিছু সাধু লাগে। আপনি ঠিকই বলেছেন এভাবে সবজি বাগান করলে দৈনন্দিন চাহিদা মেটানো সম্ভব।
অনেক সুন্দর একটি সবজি বাগান পরিদর্শন করেছেন আপনি। সবজি বাগান পরিদর্শন সম্পর্কে আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। একই সাথে বিভিন্ন সবজির ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগছে। দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের সবজি বাগানে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হয়েছে যা আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা ভালোভাবে মিটাতে সক্ষম হচ্ছে এই সবজি বাগান। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
নিজেদের গাছের টাটকা শাক সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার সবজি বাগান পরিদর্শন করেছেন দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সাথে ফটোগ্রাফিট গুলো চমৎকার হয়েছে। যদিও সবজি গুলো খাওয়ার উপযুক্ত হয়নি। কয়েকদিন পরে আশা করছি সব সবজি খেতে পারবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমি যখন গিয়েছিলাম তখন সবজি বাগানে তেমন একটা সবজি ছিল না। তবে শাকগুলো খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে গেছিল। সামনের দিনে সবজি বাগান নিয়ে পোস্ট করলে বিভিন্ন ধরনের সবজি দেখতে পারবেন আশা করি।
সবুজ প্রকৃতির মাঝে সময় অতিক্রম করতে সকলের কাছেই অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি দেখছি আপনার জমিতে বেশ কিছু সবজির গাছ লাগিয়েছেন। আপনার জমিতে সুন্দর সুন্দর সবজি গাছ গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। বর্তমান সময়ে সবজি বাজার থেকে কিনার থেকে বাড়ির আশেপাশে লাগানো অনেক ভালো। কেননা বর্তমান সবুজ সবজির দাম অনেক বেশি।
চেষ্টা করেছি অল্প করে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করার জন্য। জামাত দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে। বাজারে যে সবজিগুলা বিক্রি হয় সেগুলো কীটনাশক প্রয়োগ করে চাষ করা। ধন্যবাদ মতামতের জন্য।
গ্রামে থাকার মধ্যে এই একটা প্রশান্তির ব্যাপার আর সেটা হলো টাটকা সবজি খাওয়া। আপনি এবং আপনার বন্ধু মিলে সবজি বাগান পরিদর্শন করেছেন। বেশ ভিন্ন ভিন্ন যাতে সবজি এখানে তৈরি করেছে দেখাই যাচ্ছে। তবে গ্রামের মেঠো পথে হাঁটতে বেশ ভালো লাগে। সব মিলে সবজি বাগানে বন্ধুর সাথে বেশ ভালো একটা সময় পার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সেই মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গ্রামে থাকা অবস্থায় চেষ্টা করি প্রতিদিন প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়ানোর। আর প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে আমাদের অনেক ভালো লাগে। সবজি বাগান পরিদর্শনের সাথে সাথে কিছু সবজিও খাবার জন্য বাসায় নিয়ে এসেছিলাম।
সবজি খেতে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটো ধারণ করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার আজকের এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে কিন্তু অনেক কিছু দেখার সুযোগ হয়ে গেল। যেখানে বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি কলা লাল শাক থেকে শুরু করে অনেক কিছু। আর এই সমস্ত ফটোগুলো দেখে যেন একদম মনে হল সবজি বাগানের মধ্যে আমিও প্রবেশ করেছি।
আমাদের সবজি বাগানে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হয়েছে। চেষ্টা করেছি প্রত্যেকটা সবজির ফটোগ্রাফি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সবজি বাগান পরিদর্শনে দারুন একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ভাইয়া। তবে সবজি বাগানে আরো বিভিন্ন ধরনের সবজি ধরলে আপনি আবার একটি পোস্ট তৈরি করবেন। তবে এখন তেমন কোন সবজি ধরে নি তাই আপনি আজকে শুধু শাক নিয়ে বাড়িতে গিয়েছেন। বৃষ্টি হলে হয়তো বা আপনার সবজি বাগান আরো সুন্দর হতো এবং দ্রুত ফল ধর। যাইহোক খুবই ভালো লাগলো আপনার সবজি বাগান দেখে ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি যখন সবজি বাগানে গিয়েছিলাম তখন তেমন একটা সবজি ছিল না কাছে। পরবর্তীতে অবশ্যই চেষ্টা করব বিভিন্ন ধরনের সবজির ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। আরেকটা কথা ঠিকই বলেছেন বৃষ্টি হলে সবজিগুলো দ্রুত ফল হত।