অনুভূতি।steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আজ - ১৫ই, অগ্রহায়ণ |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল |


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।




photoshop-gdbf3e1329_1920.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

কেমন আছেন সকালে? আশা করি ভালো আছেন। যদিও বর্তমানে আমরা যে সকল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি সে সকল পরিস্থিতিতে ভালো থাকাটা কিছুটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে আমাদের সকলের জন্য । মুখে ভালো আছি বললেও প্রকৃতপক্ষে আমরা ভালো নেই এ সকল বিভ্রতিকর পরিস্থিতির কারণে। তারপরও ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। আমাদের চলার পথে জীবনে অনেক ধরনের নানান অপ্রিতিকর ঘটনা সম্মুখীন হতে হয়। তবে সেই সকল পরিস্থিতি গুলো মেনে নিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

যাই হোক বর্তমানে এই সকল অদ্ভুত পরিস্থিতির কথা আর নাইবা বললাম। আমি মনে করি যত বেশি এই সকল কথাগুলো নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা করব তত বেশি সময় অপচয়। নিন্দুকের করা নিন্দা নিয়ে আমরা কখনই সমালোচনা মেতে উঠবো না। আরেকটি কথা যেটি না বললেই নয়, সত্য কখনো চাপা থাকে না, সত্য অবশ্যই উঠে আসবে শুধু সময়ের অপেক্ষা। আমাদের এতদিনে পরিশ্রমের এই সুন্দর পরিবেশটাকে নষ্ট করার অধিকার কারোরই নেই। এই সকল কাজ যারা করেছে কিনবা এই সকল কাজের সাথে যারা জড়িত তারা নিশ্চয়ই শাস্তি পাবে তার কর্মের ফল হিসেবে। আর তা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। যাইহোক এই সকল বিষয়গুলোকে কিংবা বিষয়গুলোর সাথে জড়িত সে সকল লোক গুলো নিয়ে কথা বলতে আমার রুচিতে বাঁধছে। এই সকল বিষয়গুলো নিয়ে যত কম কথা হবে ততই ভালো। কেননা এ সকল কথাগুলো নিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করাটা বোকামি। জীবনের সময়ের অনেক মূল্য। এই সকল নিকৃষ্ট বিষয় গুলো নিয়ে আমাদের মূল্যবান সময় গুলো নষ্ট করার কোন মানেই হয় না।

যাইহোক, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন আমি কিছুদিনের জন্য ঢাকায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। এবং তিন দিন হতে চলল ঢাকা থেকে ফিরেছি। ঢাকা থেকে এসে বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। এখনো কিছুটা অসুস্থ বোধ করছি। আসলে আমি জার্নি খুব একটা সহ্য করতে পারি না। তবে এবারের জার্নি থেকে সবচেয়ে বেশি কাবু করে দিয়েছে আমাকে ঘুম। ঢাকায় যে কয়দিন ছিলাম তার মধ্যে আমার মনে হয় না একটা রাত ও ভালোভাবে আমি ঘুমাতে পেরেছি। আত্মীয়-স্বজন সবাই মিলে আড্ডা দিতে বসলে কখন যে রাত পেরিয়ে ভোর হয়ে যেত টেরিই পাওয়া যেতে না। এছাড়াও মানুষ ছিল বেশি যার কারণে ঘুমানোর ঠিক মত জায়গা ছিল না। তবে একটু কষ্ট হলেও বেশ ভালোই সময় কেটেছে। বেশ অনেক বছর পর নানুর বাড়ির ফ্যামিলির আমরা সকলেই একত্রিত হয়েছিলাম। যার কারনে বেশ ভালোই কেটেছে সময়গুলো আর সব থেকে বড় ব্যাপার হয়েছে এত বছর পর নানাকে আবার দেখতে পেয়েছি।

যাইহোক ঢাকা থেকে আসার পর আপনাদের সাথে কোন রাইটিং পোস্ট শেয়ার করা হয়নি। আসলে কিছুটা অসুস্থ এবং মন-মানসিকতা ভালো না থাকায় রাইটিং পোস্ট লেখার প্রতি খুব একটা উৎসাহ বোধ করছিলাম না। এছাড়াও এইকদিন যে কয়েকটি পোস্ট শেয়ার করেছি তা আগে থেকেই তৈরি করা ছিল। যাইহোক আজ কিছুটা মন স্থির করে ভাবলাম একটু সময় নিয়ে আপনাদের সাথে ঢাকায় কাটানোর কিছু সময় এবং সাধারণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করি।

আমাদের আসতে যেতে দুদিন আর মাঝে তিন দিন ছিলাম মাত্র ঢাকায়। তাই খুব বেশি ঘোরাফেরা করতে পারিনি। শুধুমাত্র একদিনই বের হয়েছি হাফিজ ভাইয়া সুমন ভাইয়ের সাথে দেখা করতে। যদিও বিষয়টি আপনারা সুমন ভাইয়ের পোষ্টের মাধ্যমে আমাদের তিনজনের দেখা করার বিষয়টি নিশ্চয়ই জেনেছেন।

আসলে বেশ কয়েকদিন আগে আমি একটি পোস্টে বলেছিলাম। ঢাকায় নানাকে দেখতে যাওয়া ছাড়াও আরেকটি বিশেষ কারন রয়েছে, আর যেটির জন্য আমি খুব এক্সাইটেড ছিলাম। ইতিমধ্যে আপনারা বুঝতে পেরেছেন আমি কোন সে বিশেষ কারণটির কথা বলেছিলাম তখন। আমাদের এই তিনজনের দেখা করাটাই ঢাকায় যাওয়ার সে বিশেষ কারণটই ছিল।

সত্যি ভার্চুয়াল লাইফে দেড় বছরের সম্পর্কের পর আমরা যখন রিয়েল লাইফে তিনজন দেখা করি তখনকার ওই অনুভূতিটা ছিল অন্যরকম। কিছু কিছু অনুভূতি আছে না যা মুখে কখনোই প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমার অনুভূতিটাও ঠিক তেমনটাই ছিল, আর যে অনুভূতিটা আপনাদের মুখে বলে আমি বুঝাতে পারব না। আমি অন্তত আমার অনুভূতি কিংবা ভালো লাগার বিষয়গুলোকে অন্যের কাছে খুব ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারিনা। যার কারনে অনেক সময় অনেক কিছুই অজানা থেকে যায় । যাইহোক যখন হাফিজ ভাই এবং সুমন ভাইয়ের সাথে দেখা করি তখন তাদের দেখে মনে হয়েছে বহু চেনা পরিচিত কাছের বড় ভাই এবং বন্ধু। তাদের আন্তরিকতা এমন বন্ধুত্ব সুলভ আচরণ দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ। আমাদের তিন জনের কাটানো ওই সময় গুলো আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় গুলোর মধ্যে একটি হয়ে থাকবে।

যাই হোক, আজ খুব ছোট্ট করে আমাদের তিনজনের প্রথমদেখা হওয়ার সে অনুভূতিটি শেয়ার করলাম। তবে অন্য একদিন বিস্তারিত ভাবে সেসব ঘটনা এবং আমার অনুভূতিগুলো আপনার সাথে শেয়ার করব।

তো আজ এ পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হচ্ছে অন্য কোনদিন অন্য কোন আলোচনা নিয়ে।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 2 years ago 

আসলে ঠিক বলেছেন ভাইয়া, এই ধরনের খারাপ চিন্তা গুলো আমরা মনে না রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই ভালো। তাছাড়া আমরা সবাই যদি ঠিক থাকি তাহলে কোন একজন কিছুই করতে পারবে না। এইসব চিন্তাধারাগুলো সত্যি আমাদের মনে রাখার কোন দরকার নেই। আপনার নানাকে দেখতে ঢাকায় যাবেন এটা শুনেছি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে। সেখানে এটাও বলেছিলেন আরও একটা বিষয় রয়েছে সারপ্রাইজ। তবে এটা যে ভার্চুয়াল ভাইদের সাথে দেখা করা সত্যিই ভীষণ আনন্দের ব্যাপার। সুমন ভাইয়ের পোস্টে আপনাদেরকে দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। এরকম অনুভূতি বলে শেষ করা যাবে না। আপনারা সবাই একসাথে থাকুন আর ভালো থাকুন এটাই কামনা।

 2 years ago 

আমাদের এই তিনজনের দেখা করাটাই ঢাকায় যাওয়ার সে বিশেষ কারণটই ছিল।

আমাদের এই পরিবারের সদস্যদেরকে খুবই আপন মনে হয়। আসলে হয়তো কারো সাথে কখনো দেখা হবে কিনা জানিনা কিন্তু প্রত্যেকটি মানুষের সাথেই গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আপনি হাফেজ ভাই ও সুমন ভাইয়ের সাথে দেখা করেছেন জেনে সত্যি ভালো লেগেছে আমার। আসলে কিছু কিছু অনুভূতি হয়তো বলে প্রকাশ করা যায় না। তবে বুঝতে পারছি সময়টা অনেক ভালো কেটেছে। হয়তো স্মৃতির পাতায় এরকম স্মৃতিগুলো মধুর হয়েই থাকবে। তবে ভাইয়া আপনি রাত জাগার কারণে কিংবা আপনার বিশ্রাম কম হওয়ার কারণে হয়তো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যাইহোক ভাইয়া একটু বিশ্রাম করেন আশা করছি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে যাবেন। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে হয়তো ভালো থাকা কঠিন হয়ে গেছে। কিন্তু সেই বিষয়গুলো যতই মনে করবেন ততই আরো কষ্ট বেড়ে যাবে।

 2 years ago 

সুমন ভাইয়ার পোস্ট এর মাধ্যমে জেনেছি, তবে ভাইয়া আপনারা দেখা করেছেন এই প্রথম আমিও আমার মধ্যে ভাল লাগাটা খুঁজে পেয়েছি।এর নামই অনুভূতি। আপনারা আমার বাসার খুব কাছাকাছি এসেছিলেন।অনেক ভাল লাগলো ভাইয়া।বাসায় এলে আরও ভালো লাগত।অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ।

 2 years ago 

আসলে সত্যিকার অর্থেই কারো মন ভালো নেই, এমন একটি অপৃতিকর অবস্থা হঠাৎ করেই হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। যাক এগুলো যতটা ভুলে থাকা যায় ততই ভালো। কারন খারাপ মানুষের ছায়ার আশেপাশে গেলেও খারাপ লাগে। সবকিছু সামলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতেই হবে ভাই।
সুমন ভাইয়ের পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাক্ষাতের বিষয়টি জানতে পেরেছি। আজ আপনার চমৎকার একটি অনুভূতি জানতে পারলাম ভাই। আপনাদের এই চমৎকার বন্ধন অটুট থাকুক এই কামনা করছি।

 2 years ago 

সত্যিই,আমরা ভালো না থেকে ও প্রতিনিয়ত আমরা ভালো থাকার অভিনয় করে যাচ্ছি।একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, আমরা আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করতে পারিনা এইসব অকল্পনীয় বিষয়গুলি নিয়ে।অবশ্যই সত্য একদিন প্রকাশ পাবে এবং অপরাধী তার কঠিন শাস্তি পাবে।আপনার সুস্থতা কামনা করছি ভাইয়া।তাছাড়া আপনি যে ঢাকায় হাফিজ ভাইয়া ও সুমন ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

সত্যিই অদ্ভুত বিষয় ভার্চুয়াল জীবন।বছরের পর বছর হয়তো এভাবেই কেটে যাবে।আমাদের আদেও দেখা হবে না। তবুও কতটা ভালোবাসা, কতটা টান একে অপরের প্রতি।প সেটা একটা খারাপ সময় আসলে আরো ভালোভাবে বোঝা যায়। আমরা ভেঙ্গে পড়ি না বরং একসাথে থাকি। আপনাদের মিট আপের ব্লগটা পড়ে বেশ ভালই লেগেছিল।সেই উৎসাহটা যেন মনের ভেতরে আমিও অনুভব করতে পেরেছি।এটাই হয়তো আবেগ, এটাই হয়তো ভালোবাসা প্রত্যেকের সাথে প্রত্যেকের।