ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট || কিছু কিছু মেয়ে মা হওয়ার যোগ্য না (দ্বিতীয় পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই গল্পের প্রথম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক সীমা রতনের বাসায় যাওয়ার পর, রাতে তার পরকীয়া প্রেমিকের সাথে কথা বলার সুযোগ একেবারেই পেতো না। কারণ রতনের মা সীমার সাথে ঘুমাতো। সীমা শুধু দিনের বেলা সুযোগ বুঝে তার পরকীয়া প্রেমিকের সাথে কথা বলতো। যদিও রতনের মা সীমার দিকে নজর রাখতো। তো একদিন সীমাকে তার বয়ফ্রেন্ড বলছে যে দেখা করার জন্য। কিন্তু সীমা বলে যে বাসা থেকে বের হওয়ার কোনো উপায় নেই। তারপর তার বয়ফ্রেন্ড এর জোরাজুরিতে সীমা শেষ পর্যন্ত বলে যে,সে ট্রাই করবে বাসা থেকে বের হওয়ার।
এরপর সীমা একদিন তার শ্বাশুড়ি অর্থাৎ রতনের মা'কে বলে যে, তার কিছু কেনাকাটা করতে হবে এবং সেজন্য সে মার্কেটে যেতে চায়। তখন রতনের মা সীমার সাথে মার্কেটে যেতে চায়। কিন্তু সীমা কিছুতেই রতনের মা'কে সাথে নিতে চায় না। কারণ তার প্ল্যান হচ্ছে শপিং করার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে,তার বয়ফ্রেন্ড এর সাথে দেখা করবে। সীমা যখন রতনের মা'কে তার সাথে নিতে রাজি হলো না,তখন রতনের মায়ের মনে এটা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। তো সেজন্য সীমা যখন বাসা থেকে বের হয়,তখন রতনের মা রতনের ছোট ভাইকে বলে যে সীমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে ফলো করতে। এমনকি রতনের মা রতনের ছোট ভাইকে বলেছিলো, তাকে যাতে সব আপডেট জানায়। তো রতনের ছোট ভাই দেখতে পায় সীমা শপিংমলে না গিয়ে পার্কে যাচ্ছে।
সে তো এটা দেখে একেবারেই অবাক হয়ে যায়। তখন তার মাথার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিলো। একটু পর রতনের ছোট ভাই যা দেখলো,সেটা দেখার জন্য সে মোটেই প্রস্তুত ছিলো না। কারণ সে দেখলো তার ভাবী অর্থাৎ সীমা একটি ছেলের সাথে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। আর ছেলেটা হচ্ছে রতনের এলাকার একটি ছেলে। সেই ছেলের বয়স আনুমানিক ২৫/২৬। সেই ছেলেকে রতনের ছোট ভাই দেখেই চিনে ফেলে। যাইহোক একটু পর তারা পার্কের একটি বেঞ্চে বসে কথা বলা শুরু করলো। তারা দু'জন বেশ হাসিখুশি ছিলো। রতনের ছোট ভাই হঠাৎ করে ভাবলো যে একটি ভিডিও ক্যাপচার করা যাক। তো সে অনেক কষ্ট করে একটি ভিডিও ক্যাপচার করে।
সেই ভিডিওতে মোটামুটি স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিলো সীমা এবং তার বয়ফ্রেন্ড বেঞ্চে বসে কথা বলছে। রতনের ছোট ভাই তার মা'কে ফোন করে এসব জানায়। তার মা তো এসব শোনার পর ভীষণ মন খারাপ করে। তারপর রতনের মা রতনকে ফোন দিয়ে সবকিছু খুলে বলে। এদিকে রতন এই কথা শুনে তো একেবারে ভেঙে পড়ে। কারণ সে সীমাকে সত্যিই খুব ভালোবাসে। যাইহোক পার্ক থেকে বের হয়ে, সীমা তার বয়ফ্রেন্ড এর সাথে একটি মার্কেটে ঢুকে কিছু কসমেটিকস কিনলো। যাতে করে বাসায় গিয়ে বলতে পারে এগুলো কেনার জন্য সে বাসা থেকে বের হয়েছিল। এদিকে রতনের ছোট ভাই বাসায় ফিরে যায় এবং তার মা'কে সবকিছু আবারও খুলে বলে। যাইহোক এরপর আর কি কি হলো,সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং(গল্প) |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ২৫.১০.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার গল্পটার আগের পর্ব যদিও আমার পড়া হয়নি।তবে সীমা এটা মোটেও ঠিক করেনি।আসলে কথায় আছে না অতি চালাকের গলায় দড়ি। সীমা নিজেকে বেশি চালাক মনে করেছিল। এখন তো সবাই জেনে গেল দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়?
আগের পর্বটি সময় পেলে পড়ে নিবেন আপু। যাইহোক গল্পটা পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে এই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে এই পর্বের রিভিউটা সম্পূর্ণভাবে পড়তে। সীমা তো দেখছি তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে গিয়েছে মার্কেট করতে যাবে বলে। আর তার শাশুড়ির সন্দেহ খাওয়ার পর নিজের ছোট ছেলেকে তার পেছনে পাঠিয়েছিল। এখন তো দেখছি সবাই জেনে গিয়েছে অন্য কারো সাথে তার সম্পর্ক আছে। আর সবারই অনেক মন খারাপ হয়েছে। দেখা যাক এখন সে বাড়িতে ফেরার পর কি হয়।
সীমা খুবই জঘন্য মন-মানসিকতার একটি মেয়ে। যাইহোক এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।