ভ্রমণ পোস্ট || ওয়াইফকে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণ (পঞ্চম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে কক্সবাজার ভ্রমণের চতুর্থ পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে পঞ্চম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম, আমরা সাগর নিবাস রিসোর্টের প্রাইভেট বিচ থেকে ইনানী বিচের দিকে রওনা দিয়েছিলাম। তারপর মোটামুটি অল্প সময়ের মধ্যেই ইনানী বিচে পৌঁছে গিয়েছিলাম। আপনারা যারা ইনানী বিচে গিয়েছেন,তারা জানেন যে রাস্তা থেকে ইনানী বিচের দিকে নেমে, বাম পাশে ডাব বিক্রি করা হয়। আমি যতবার ইনানী বিচে গিয়েছি ,ততবারই সেখান থেকে ডাব কিনে খেয়েছি। তখন যেহেতু দুপুর বেলা ছিলো, তীব্র রোদের কারণে তাকাতেই কষ্ট হচ্ছিলো। যাইহোক তবুও বিচে ঘুরাঘুরি করতে লাগলাম এবং ইনানী বিচের নৌকা গুলো দেখতে লাগলাম।
Location
আসলে ইনানী বিচের নৌকাগুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। নৌকাগুলোর ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। যাইহোক এরপর ভাবলাম ইজি বাইকে চড়ে লাল কাঁকড়ার চরে যাবো। আসলে লাল কাঁকড়া শুধুমাত্র শীতের সময়ই দেখা যায়। আমরা যেহেতু শীতকালে গিয়েছিলাম,তাই লাল কাঁকড়া দেখার সুযোগ মিস করিনি। যাইহোক ৫০০ টাকা দিয়ে ইজি বাইক ভাড়া করেছিলাম ৩০/৪০ মিনিটের জন্য। বাইক ড্রাইভারের সাথে চুক্তি হয়েছিল প্রথমে লাল কাঁকড়ার চরে গিয়ে লাল কাঁকড়া দেখবো বেশ কিছুক্ষণ। তারপর বিচের মধ্যে বাইক দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরবো। যাইহোক আমরা প্রথমে ইজি বাইকে চড়ে লাল কাঁকড়া বিচের দিকে যেতে লাগলাম। বাইক ড্রাইভার বাইক ড্রাইভ করছিলো এবং আমরা দুইজন বসে ছিলাম।
Location
আমি তখন ভিডিওগ্রাফি করা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। যাইহোক লাল কাঁকড়ার চরে নেমে বেশ কয়েকটি লাল কাঁকড়া দেখেছিলাম। কিন্তু লাল কাঁকড়ার সামনে যাওয়ার পরে সাথে সাথে বালুর ভিতরে ঢুকে যায়। তাই ভিডিওগ্রাফি এবং ফটোগ্রাফি করার সুযোগ পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ করে বাইক ড্রাইভার মোটামুটি বড় সাইজের একটি লাল কাঁকড়া ধরে আমাদের সামনে নিয়ে এসেছিলো। সেই লাল কাঁকড়া দেখতে ভীষণ কিউট লেগেছিল। যাইহোক আমি সেই লাল কাঁকড়ার ফটোগ্রাফি করার পর,আমরা আবারও বাইকে চড়ে একেবারে সমুদ্রের পানির সামনে চলে গিয়েছিলাম। আসলে ইনানী বিচের বেশ কয়েক জায়গায় পানি ছিলো। তাই হেঁটে সমুদ্রের পানির সামনে যাওয়ার কোনো উপায় ছিলো না। তাই অনেকেই দেখলাম ইজি বাইক ভাড়া করেছে।
Location
যাইহোক সমুদ্রের পানির একেবারে সামনে গিয়ে বাইক থেকে নামলাম। সমুদ্রের পানির সামনে যেতেই মনটা একেবারে ভালো হয়ে গিয়েছিল। কিছু মানুষ দেখলাম সমুদ্রের পানিতে নেমে গোসল করছিলো। যদিও খুব বেশি মানুষ পানিতে নামেনি। কিন্তু সুগন্ধা বিচে গেলে দেখা যায় যে, অনেক মানুষ সমুদ্রের পানিতে নেমে একসাথে গোসল করে। যাইহোক ঘুরে ঘুরে ইনানী বিচের সৌন্দর্য দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। সমুদ্রের পানির কালারটাও দারুণ লেগেছিল। মোটামুটি অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরি করে, আমরা বাইকে চড়ে রাস্তার সামনে চলে গিয়েছিলাম। তারপর বাইকের ভাড়া দিয়ে, আমরা সিএনজি তে উঠে মিনি বান্দরবানের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। যাইহোক মিনি বান্দরবান গিয়ে আমরা কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
Location
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১২.৫.২০২৪ |
লোকেশন | কক্সবাজার,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
দেখতে দেখতে পঞ্চম পর্বে চলে আসলাম। অনেকদিন ধরেই আপনার এই কক্সবাজার ভ্রমণের পোস্ট দেখছি আপনি খুবই চমৎকারভাবে পুরো ব্যাপারটা আমাদের মাঝে প্রত্যেকটা পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরছেন। ইনানি বিচ আসলেই অনেক বেশি সুন্দর সেখানে আমরা ঘুরতে গিয়ে অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম। আপনিও দেখছি সেখানে দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেকদিন পরে আবার কক্সবাজারের ইনানী বিচ দেখে নিজের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই ইনানী বিচ আসলেই খুব সুন্দর। আমরা সেখানে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলাম। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এখন পর্যন্ত আমার কক্সবাজার ভ্রমণ করা হয়নি। মানুষের ইচ্ছে থাকে বিভিন্ন বাইরের দেশে ঘুরার। আর আমার ইচ্ছে হলো নিজের দেশের এতো সুন্দর যায়গা গুলোই আগে ঘুরে শেষ করব। আপনার তোলা বীচের ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে এটাহ বাহিরের দেশের দৃশ্য। কিন্তু আমাদের দেশেই এতো সুন্দর ঘুরার জায়গা। ধন্যবাদ ভাইয়া বিচের সৌন্দর্য গুলো আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম।
সময় এবং সুযোগ পেলে অবশ্যই কক্সবাজার ঘুরতে যাবেন। যাইহোক পোস্টটি দেখে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
ইজি বাইকের ড্রাইভার বড় একটি কাকঁড়া ধরে আপনার সামনে নিয়ে আসলো। আবার আপনি ফটোগ্রাফিও করেছেন। অথচ আমরা দেখতে পারলমা না। এটা কিন্তুু ঠিক হলো না। যেহেতো ফটোগ্রাফি করেছেন আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার দরকার ছিল। ধন্যবাদ।
সেই বড় লাল কাঁকড়াটি ভিডিওগ্রাফি পোস্টে শেয়ার করেছিলাম ভাই। তাই একই ছবি আবারও শেয়ার করলাম না। যাইহোক পোস্টটি দেখে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই কক্সবাজার ভ্রমণের পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করে আসছেন৷ আজকেও খুবই সুন্দর একটি পর্ব শেয়ার করেছেন এবং খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনি এখানে আমাদের মাঝে অনেক সবকিছু ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন৷ আশা করি পরবর্তীতে আরো কিছু পর্ব আপনার কাছ থেকে দেখতে পাবো৷
হ্যাঁ ভাই সামনে অবশ্যই আরও কিছু পর্ব দেখতে পারবেন। যাইহোক পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।