শৈশব স্মৃতি-কানামাছি খেলার মজার একটি স্মৃতি||
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। শৈশব স্মৃতিগুলো যখন মনে পড়ে তখন সত্যি অনেক ভালো লাগে। মনের অজান্তেই হাসি চলে আসে। আসলে শৈশবের সেই দুরন্ত দিনগুলো এখন অনেক মিস করি। আবারো মন চায় শৈশবের মাঝে হারিয়ে যেতে। তাই তো আজকে আমি শৈশবের একটি মজার স্মৃতি সবার মধ্যে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।
কানামাছি খেলার মজার একটি স্মৃতি:
Source
শৈশব মানেই ভালোলাগা, শৈশব মানেই আনন্দের কিছু মুহূর্ত। আর শৈশবের সেই সোনালী দিনগুলোর কথা যখন মনে পড়ে তখন মনের অজান্তেই ভালো লাগা কাজ করে। তেমনি আমাদের জীবনের শৈশবের এমন কিছু স্মৃতি আছে যেগুলো কখনো ভুলতে পারিনা। বিশেষ করে শৈশবের বিভিন্ন মজার মজার খেলার স্মৃতিগুলো বেশি মনে পড়ে। সেই সাথে মনে পড়ে কিছু মজার ঘটনা। আজকে আমি আমার শৈশবের কানামাছি খেলার একটি মজার ঘটনা সবার মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। তখন খুব সম্ভবত ক্লাস ফাইভে পড়তাম। যেহেতু তখন তার ক্লাস ফাইভে এক্সট্রা ক্লাসের ব্যবস্থা ছিল তাই অনেকটা সময় আমাদের সেখানে কাটাতে হতো। আর যিনি প্রধান শিক্ষক ছিলেন তিনি অনেকটা সময় নিয়ে ক্লাস নিতেন। তাই তো এক্সট্রা ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ক্লাসের ফাঁকে কিছুক্ষণ সময় বিরতি ছিল। বিরতির সময় আমরা বিভিন্ন রকমের খেলাধুলা করতাম।
প্রতিদিনের মতো সেদিনও কিছুটা সময় বিরতি ছিল। হালকা কিছু খাওয়া দাওয়া করে ছুটে চলে গিয়েছিলাম খেলার মাঠে। যেহেতু আমাদের স্কুলের মাঠ অনেকটাই বড় ছিল তাই আমরা দারুণ দারুণ খেলার আয়োজন করতাম সেখানে। তবে স্যার যাতে আমাদেরকে সহজেই খুঁজে পান সেজন্য খুব কাছাকাছি আমরা খেলা শুরু করলাম। যেহেতু একেক দিন একেক রকমের খেলা নিয়ে আমরা হাজির হতাম তাইতো সেদিন কানামাছি খেলার ইচ্ছে হলো। আমাদের এক বন্ধুকে চোখ বেঁধে দেওয়া হল। আসলে যার চোখ বেঁধে দেওয়া হয় সে ভীষণ মন খারাপ করে। কিন্তু খেলার নিয়ম অনুসারে একজনকে চোখ বেঁধে দিতেই হবে। এরপর সবাই চোখ বেঁধে থাকে ছেড়ে দিল। আড়াল থেকে সবাই মাথায় টোকা দিতে লাগলো। কিন্তু ছেলেটি কিছুতেই বুঝতে পারছিল না কোন দিকে যাবে। সবাই তো দূর থেকেই টোকা দিয়ে চলে যাচ্ছিল। আর সে শুধু এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করছিল।
এভাবে খেলাটা বেশ ভালোই জমে উঠেছিল। ছেলেটাও বেশ মজা পাচ্ছিল। আর কিছুটা সময় হাটাহাটি করে সবাইকে খোঁজার চেষ্টা করছিল। এর পরে ঘটলো মজার একটি ঘটনা। হঠাৎ করে স্যার চলে এসেছেন। যেহেতু আমাদের প্রধান শিক্ষক উচ্চতায় একটু শর্ট ছিলেন তাই আমাদের থেকে খুব একটা বেশি লম্বা ছিলেন না। যখন স্যার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন ছেলেটি হঠাৎ করে স্যারকে গিয়ে জড়িয়ে ধরে। আর চোর চোর বলে চিল্লাতে থাকে। এই দৃশ্য দেখে আমরা হাসবো না দৌড়ে পালাবো সেটাই বুঝতে পারছিলাম না। আসলে সেই পরিস্থিতিতে এতটাই হাসি পাচ্ছিল যেটা বলে বোঝানোর মত নয়। এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে বিপদের শেষ নেই। যেদিকে যাব সেদিকেই বিপদ।🤣
ছেলেটি বারবার করে বলছিল আমি চোরকে ধরে ফেলেছি এবার আমার ছুটি। অন্যদিকে স্যার কি বলবেন সেটাও বুঝতে পারছিলেন না। রাগারাগি করবেন না হাসবেন সেটাও বুঝতে পারছিলেন না। ছেলেটি যখন চোখ খুলে দেখল সে স্যারকে জড়িয়ে ধরে আছে তখন তার মুখটা দেখার মতই ছিল। ছেলেটি এতটাই অবাক হয়েছিল যেটা বলার মত নয়। সেই সাথে আমরাও অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। সেদিন সার অবশ্য তেমন কিছুই বলেননি। তবে এই বিষয়টা নিয়ে বেশ হাসাহাসি হয়েছিল। কয়েকদিন পর্যন্ত সবাই ওই বন্ধুটাকে ক্ষ্যাপাচ্ছিল। বারবার বলছিল কিরে স্যারকে চোর বানালি শেষ পর্যন্ত🤣। ছেলেটি ভীষণ লজ্জা পেয়েছিল। এরপর থেকে স্যারের সামনে গেলেই সে মাথা নিচু করে থাকত। লজ্জায় সে চোখ তুলে কথাই বলত না। আমরাও সেই সুযোগে তাকে বেশ ক্ষ্যাপাতাম।
শৈশবের অনেক স্মৃতি এখনো মনে পড়ে। শৈশবের সেই সোনালী দিনগুলোর কথা এখনো মনে পড়ে। সময়ের সাথে সাথে স্মৃতিগুলো হয়তো চাপা পড়েছে। তবে মনের অজান্তেই মাঝে মাঝে পুরনো অনেক কথা মনে পড়ে যায়। তাই তো আজকে আমি আমার শৈশবের কানামাছি খেলার মজার একটি ঘটনা সবার মাঝে তুলে ধরলাম। আশা করছি আমার শৈশবের কানামাছি খেলার স্মৃতি সবার ভালো লেগেছে।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
আপু আপনার শৈশবের স্মৃতিময় পোস্ট পরে শৈশবে হারিয়ে গিয়েছিলাম। গ্রা যারা ছিলো কানামাছি খেলা অনেক বেশি খেলেছে। আমার এক বন্ধু তো কানামাছি খেলতে খেলতে হারিয়ে গিয়েছিলো। আসলে সোনালী দিন গুলোর কথা মনে পড়ে মনের অজান্তেই হাঁসি চলে আসে। সারাদিন কতই না দুষ্টামি করে বেরিয়েছি। আপনার লেখা গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
যারা গ্রামে ছিলাম তারা সত্যিই অনেক বেশি কানামাছি খেলতাম। আর সেই সুন্দর স্মৃতি গুলো এখনো মনে পড়ে ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আপনার শৈশব জীবনের চমৎকার একটি স্মৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে এরকম পরিস্থিতিতে শিক্ষকের নিকট লজ্জা অনুভব করাটাই ছিল স্বাভাবিক। তবে আপনারা যে তাকে খ্যাপাতেন এটা অবশ্য ঠিক কাজ করেননি। যাহোক অসাধারণ একটি শৈশবের স্মৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আমি চেষ্টা করেছি শৈশবের সেই সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার। সত্যি ভাইয়া আমার সেই বন্ধুটি ভীষণ লজ্জা পেয়েছিল।
আপনার পোস্টটি দেখে ছোটবেলার কথা ভীষণ মনে পড়ছে আপু। খুবই চমৎকার একটি বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।ছোটবেলায় আমরা সকলেই কানামাছি খেলেছি ।কানামাছি খেলতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কিন্তু এখন সেই সময় সুযোগ কোনটাই নেই। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্ট পড়ে আপনার ছোটবেলার কথা মনে পড়ছে জেনে ভালো লাগলো। কানামাছি খেলতে সত্যি অনেক ভালো লাগতো। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
স্কুলে খেলা করতে গেলে এরকম কত যে মজা হতো আপু আপনার গল্প পড়ে সে স্মৃতি গুলো মনগুলো মনে পড়ে গেল। কানামাছি খেলাতে একজনের চোখ বাধা হয় আর সে সবাইকে খোঁজে। তেমনি আপনার গল্পে একজনকে চোখ বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তারপরে তার পাশ দিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক যা ছিল আর তাকে ধরে ছেলেটি চোর চোর বলে চিৎকার করছিল। সত্যি গল্পটি পড়ে অনেক মজা পেলাম আপু। তবে আপনাদের স্যার হয়তোবা অনেক ভালো তাই ছেলেটিকে তেমন কিছুই বলেনি। শৈশবের এরকম সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু
শৈশব স্মৃতি মানে অনেক আনন্দের । ছোটবেলা আমরাও স্কুলে অনেক খেলাধুলা করতাম। কানামাছি খেলার মজার গল্পটি পড়ে আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে। স্যারকে জড়িয়ে ধরে চোর বলে চিৎকার দেওয়ার বিষয়টি পড়ে বেশ মজা পেলাম। যাই হোক স্যার খেলা ভেবে ছেলেটিকে বেশি কিছু বলেনি। সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যিই আপু শৈশবের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে। আর সেই স্মৃতিগুলো অনেক আনন্দের। সেই সময় তো অনেক মজা করতাম। ধন্যবাদ আপু আমার পোস্ট পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য।
শৈশব কালের শীতকালে কানামাছি খেলা আমার একটি প্রিয় খেলা ছিল। আজকে আপনি আপনার শৈশব কালের কানামাছি খেলার কিছু রঙ্গিন স্মৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শৈশব কালের কানামাছি খেলার স্মৃতির সাথে আমার শৈশবের কানামাছি খেলার স্মৃতির কিছুটা মিল রয়েছে। তবে আমরা এই কানামাছি খেলা টি সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে খেলতাম। তখন এই খেলা শেষ করে পড়তে বসে যেতাম।
ভাইয়া আমি চেষ্টা করেছি আমার শৈশবের সেই মজার স্মৃতি তুলে ধরার। আপনি কানামাছি খেলতেন জেনে ভালো লাগলো।
শৈশবের স্মৃতি অনেক মজার থাকে আপু।সত্যি আপু এই কানামাছি এক সময় অনেক খেলতাম।আপনার পোস্ট পড়ে কিছু সময়ের জন্য ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছি।তবে এখনকার বাচ্চাদের এমন শৈশব নেই বলেই চলে। যাইহোক স্যারকে জড়িয়ে ধরাটা সত্যি মজার ছিল। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ছোটবেলায় কানামাছি অনেক খেলতাম। আর এই মজার স্মৃতিটি শেয়ার করতে ভালোই লেগেছে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
আপু ঠিক বলেছেন শৈশবের সেই দিন গুলো খুব মিস করি। আমারও মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে সেদিনে ফিরে যেতে। কিন্তু যায় দিন আর কখনও ফিরে আসে না। সেই দিনগুলো সবসময় স্মৃতির পাতায় রয়ে যায়। আপু শৈশবের স্কুল জীবনের খুব সুন্দর একটি গল্প বলেছেন। আপনার গল্প পড়ে তো হাসি থামানো খুবই কষ্টের ব্যাপার। সত্যিই সেই মুহূর্তে স্যার যেমন বোকা হয়ে গেলো তেমনি ছেলেটিও। আমরা ছোটবেলায় এমন কিছু ঘটনা পেলেই ক্ষ্যাপানো শুরু করতাম। এভাবে ক্ষ্যাপানোর মধ্যে আলাদা একটা আনন্দ আছে। সবার জীবনে এমন হাজরো ঘটনা রয়েছে। সেদিন গুলো কোথায় যেনে হারিয়ে গিয়েছে। আপু আপনার পোস্ট পড়ে যেনো শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ শৈশবের এত সুন্দর স্মৃতি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু শৈশবের দিনগুলো এখন অনেক মনে পড়ে। আর সেই স্মৃতিগুলো মনে হলেই ভীষণ হাসি পায়। দুষ্টুমি আর অন্যান্য স্মৃতিগুলো মনে হলেই ভালো লাগে।
হাহাহাহা, পোস্টটি পড়ে অনেক মজা পেয়েছি। আসলে বলতে গেলে আমাদের প্রিন্সিপাল ও তেমন একটা লম্বা ছিলেন না। মোটামুটি হাইটে শট তবে এমন ঘটনা কখনো হয়নি। যাই হোক আপনি অনেক সুন্দর এবং মজাদার একটি ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এটা সত্যি উপভোগ করে খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে
আমার পোস্ট পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি ভাইয়া আমাদের প্রধান শিক্ষক অনেকটা শর্ট ছিলেন। তাই তো ভুল হয়ে গিয়েছিল।
আপু খুব সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন আপনি শৈশবকালের কানামাছি খেলার স্মৃতিময় মুহূর্ত শেয়ার করেছেন যা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আমাদের সময় কানামাছি খেলাটা অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। এখন আর বাচ্চাদের এই কানামাছি খেলতে দেখা যায় না গেলেও খুব কম। কিন্তু আমাদের সময় কানামাছি খেলাটা না খেললেই নয় ছিল। আসলে এই ধরনের পোস্ট চোখে পড়লেই অতীতের স্মৃতিগুলো চোখের সামনে ভেসে ওঠে। খুব ভালো লাগলো আপনার এই পোস্টটি দেখে ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কানামাছি খেলতে আমার খুবই ভালো লাগতো। আর সেদিনের মজার স্মৃতি শেয়ার করার চেষ্টা করেছি আপু। মন্তব্য করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।