মিষ্টির রস দিয়ে টমেটোর চাটনি রেসিপি
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি, সকলেই ভালো আছেন। আজকে নতুন একটা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে। আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে।
আজকে শেয়ার করবো মিষ্টির রস দিয়ে টমেটোর চাটনি। দুপুরবেলায় ভাত খাবার শেষ পাতে একটু চাটনি হলে ভালোই লাগে। সেটা যে কোন চাটনি ।তবে বেশিরভাগ সময় আমরা বাড়িতে টমেটোর চাটনি বানিয়ে থাকি। শীতকালে যেমন টমেটো ছাড়া কোন তরকারী হয় না, ঠিক তেমনি টমেটোর চাটনি খেতে ভালোই লাগে। টমেটো এখন সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায়। তবুও যখনকার সবজি তখন খেতে বেশি ভালো লাগে। টমেটোর মধ্যে আমরা বিভিন্ন উপকারিতা পেয়ে থাকি। বাড়িতে যখন রসের কোনো মিষ্টি আনা হয়। তখন মিষ্টির রস বেশিরভাগ সময় ফেলে দেওয়া হয়। কিংবা রস দিয়ে কি করব সেটা ভাবতে হয়।
ভিডিও লিংক |
|---|
আমাদের বাড়িতে যখন কোন রসের মিষ্টি আনা হয় তখন মিষ্টির রস আমরা জমিয়ে রাখি ।হয় চাটনি বানানোর জন্য ।নয়তো রসালো বোদে বানানোর জন্য। দুটোই কিন্তু খেতে ভালো হয়। এমনকি খুব সহজেই তৈরি হয়ে যায়। মিষ্টির রস দিয়ে চাটনি খুব সুন্দর হয়। আমি এর আগে কখনো মিষ্টির রস দিয়ে চাটনি বানায়নি ।কিন্তু শাশুড়ি মাকে দেখি মাঝে মাঝেই মিষ্টির রস দিয়ে চাটনি বানাতে। খেতে কিন্তু অসাধারণ লাগতো। সেই থেকে আমি শাশুড়ি মা কে দেখে শিখেছি মিষ্টির রস দিয়ে কিভাবে চাটনি বানাতে হয় ।এটা শুধু টমেটোর চাটনি বলেই নয় ।যে কোন চাটনি তৈরি করতে মিষ্টির রস দিলে সেই চাটনি আঠালো প্রকৃতির হয়। খেতেও খুব ভালো লাগে। চলুন তাহলে শুরু করি আজকে বাড়িতে বানানো খুব সহজেই মিষ্টির রস দিয়ে চাটনি বানানোর পদ্ধতি।
| নং | সামগ্রী | পরিমাণ |
|---|---|---|
| ১ | টমেটো | ২৫০ গ্ৰাম |
| ২ | সরিষার তেল | সামান্য |
| ৩ | কালো সরষে | সামান্য |
| ৪ | লবণ | সামান্য |
| ৫ | ভাজা মশলা | পরিমাণ মতো |
| ৬ | মিষ্টির রস | পরিমাণ মতো |
প্রথম ধাপ
প্রথমেই চাটনি বানানোর জন্য গ্যাস অন করে একটা কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। কড়াইতে পাঁচফোড়ন আর শুকনো লঙ্কা ভেজে নিয়েছি ।ভাজা মশলা তৈরি করার জন্য। ভাজা মশলা চাটনি তে দিলে চাটনির স্বাদ আরো দ্বিগুণ বেড়ে যায়। মশলা ভালো করে ভেজে নেওয়ার পর একটা হামাল দিস্তার সাহায্যে মশলা গরম থাকতে থাকতে ভাজা-মশলা গুঁড়ো করে নিতে হবে। আপনারা চাইলে শিল - নোড়া দিয়ে ভাজা মশলা গুঁড়ো করে নিতে পারেন।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপরে পরিমাণ মতো টমেটো ভালো করে ধুয়ে কেটে নিতে হবে। আমি খুব অল্প পরিমাণে টমেটো ব্যবহার করেছি। আপনারা চাইলে বেশি পরিমাণে ব্যবহার করতে পারেন। তখনই সমস্ত উপকরণের পরিমাণ বেড়ে যাবে। টমেটো সাইজটা টুকরো টুকরো করে কেটে নিতে হবে।
তৃতীয় ধাপ
এরপর আবারো গ্যাস অন করে কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। কড়াইয়ে সামান্য পরিমাণে সরিষার তেল দিয়েছি। তেল গরম হলে সামান্য পরিমাণে কালো সরষে তেলের মধ্যে দিয়ে দিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এবারে কেটে রাখা টমেটো গুলো কড়াইতে দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে। নাড়াচাড়া করার সময় সামান্য পরিমাণে লবণ অ্যাড করে দিয়েছি। লবণ দিলে টমেটো থেকে জল বেরোবে নরম হয়ে সিদ্ধ হয়ে যাবে। লবন দিয়ে নাড়াচাড়া করে খানিকক্ষণ একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
পঞ্চম ধাপ
খানিকক্ষণ পর ঢাকনা খুলে দেখা যাবে টমেটো গুলো প্রায় সিদ্ধ হয়ে এসেছে। এমন কি টমেটো থেকে খানিকটা জলও বেরিয়েছে। চাটনির টমেটো গুলো একদম পাকা ছিল না।একটু শক্ত ছিল।জল যখন শুকিয়ে আসবে তখন পরিমান মত মিষ্টির রস টমেটোর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। আবার খানিকক্ষণ নাড়াচাড়া করে ঢাকনা দিয়ে প্রায় ১০-১৫ মিনিট ঢেকে রাখতে হবে ।গ্যাসের ফ্লেম সব সময় মিডিয়াম রাখতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ
আবারো খানিকক্ষণ পর ঢাকনা খুলে দেখা যাবে টমেটোর মধ্যে রস শুকিয়ে এসেছে। তখন খানিকক্ষণ নাড়াচাড়া করে নিয়ে প্রথমে যে ভাজা মশলা ভেজে রেখেছিলাম সেই ভাজা গুঁড়ো মসলা টমেটোর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে।
তৈরি
ভাজা মসলা দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে সহজ পদ্ধতিতে একদম ঘরোয়া উপায়ে মিষ্টির রস দিয়ে টমেটোর চাটনি রেসিপি।
আমি একদমই অল্প পরিমাণ টমেটো চাটনি তৈরি করেছিলাম। যেহেতু বাড়িতে সদস্য সংখ্যা কম। তাই সেই অনুযায়ী চাটনি তৈরি করেছিলাম । চাটনি অল্প পরিমাণে সকলে খায়।সেই অনুযায়ী আমার সমস্ত উপকরণ আমি ব্যবহার করেছিলাম ।আপনারা যখনই টমেটো চাটনি করবেন পরিমাণ অনুযায়ী সমস্ত উপকরণ ব্যবহার করবেন। এই পদ্ধতিতে টমেটোর চাটনি তৈরি করে খেলে আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে। চাটনি তৈরি করে ঘরে রেখে দিলে অনেক দিন ধরেই খাওয়া যায় ।আমি সমস্ত রেসিপি একদমই ঘরোয়া পদ্ধতিতে করার চেষ্টা করি ।বাইরের কোন উপকরণ ব্যবহার করতে আমার একদমই পছন্দ হয় না। এই পদ্ধতিতে চাটনি খেতে আমি এমনকি আমাদের বাড়ির সকলেই খুবই পছন্দ করে। ভিডিও লিংক দেওয়া থাকলো আপনারা চাইলে দেখতে পারেন।
আজ এইখানেই শেষ করছি। আবার নতুন কোন রেসিপি নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।









আপনার পোস্টের রন্ধন প্রণালী গুলো বরাবরই ভালো লাগে, তবে আজকেরটা একটু বেশিই ভালো লেগেছিল। যদিও টমেটো বারো মাস এখন পাওয়া যায় তবে এটা সম্ভবত শীতকালীন সবজি। পাশাপাশি, টমেটো আমাদের এখানে এই সময়ে প্রচুর পরিমাণে নষ্ট হয়।
কারণ আমরা সঠিকভাবে এটার প্রক্রিয়াজাত ও করতে অক্ষম। তাছাড়া, আপনার মতো এতো যত্ন করে মনের মাধুরী মিশিয়ে রান্না করতে ও কাউকে দেখি না। ঐ যে সল্পমুল্যে এবং সহজেই আমরা এটা পাই তাই সঠিক ব্যবহার ও করি না।
যাইহোক, আপনার রন্ধন প্রণালীটা খুব সুন্দর ছিল। পরবর্তী আকর্ষণীয় রন্ধন প্রণালী পরিদর্শনের অপেক্ষায় রইলাম।
টমেটো চাটনি খেতে আমার বেশ ভালো লাগে। আর সারা বছরই যেহেতু বাজারে কম বেশি টমেটো পাওয়া যায় তাই বারোমাস ই আমাদের বাড়িতে টমেটো কিনে আনা হয়। তবে এই সিজনে বাজারে টমেটোর দাম অনেক কম থাকে। তাই একটু বেশি বেশি করে এখন টমেটো কিনে আনা হয়।
তাই দুদিন পরপরই বাড়িতে টমেটোর চাটনি রান্না হচ্ছে। তোমার রান্নার রেসিপিটা খুব ভালো লাগলো। আর এত সুন্দর করে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছ যে, যে-কেউ চাইলেই বাড়িতে অনায়াসেই রান্না করতে পারে।
আবারো নতুন কিছু আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আমাদের যখন মিষ্টি কিনে আনা হয় তখন আমরা সেই মিষ্টির পানি ফেলে দেই কিন্তু আপনি দেখছি সেই মিষ্টির রস দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে টমেটোর চাটনি তৈরি করেছেন যেটা দেখতে অনেক বেশি লোভনীয় দেখাচ্ছে ইনশাল্লাহ একদিন তৈরি করে দেখার চেষ্টা করব অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার লোভনীয় খাবার তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।