পূজোর দিন সকালবেলা
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন ।আজকে আবারো কার্তিক পূজার পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে। আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে।
গত কালকের পোস্টে আমি আপনাদের আমার বাড়ির দুয়ারে কার্তিক রেখে যাওয়ার গল্প করেছিলাম। কিন্তু যারা কার্তিক রেখেছিল তাদের নাম আমি উল্লেখ করিনি। আজকে আমি তাদের সম্পর্কই আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। কিন্তু পরের দিন সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে আমি ফ্রেশ হওয়ার পর যখন ছাদে উঠলাম। তখন ছাদ থেকে ঈশা বলছে বৌদি তোমরা বাড়িতে কার্তিক পুজো করবে না। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম তুমি কি করে জানলে যে আমাদের বাড়িতে কার্তিক রেখে গেছে। তখন আমি ঈশাকে বললাম কার্তিক রেখে গেছো তাহলে এসে তুমি পুজোর জোগাড়টা করো। ঈশা দেখলাম হেসে আমাকে বলল আমরা রাখিনি কার্তিক। আমি আবার যখন ঈশাকে বললাম হাতের লেখাটা মনে হয় ঈশানের ।তখন ও কোন কিছুই না জেনে শুনে ফট করে বলে ফেলল অত সুন্দর হাতের লেখা ঈশানের। তখন আমার আরো বেশি সন্দেহ বেড়ে গেল।
খানিকক্ষণ পর আমাদের বাড়িতে ঈশান আসলো। ঈশান আমাকে সবার থেকে একটু বেশি ভালোবাসে। ঈশান কে জিজ্ঞেস করতেই ঈশান সব সত্যি কথা বলে দিল। যাইহোক কার্তিক ফেলার প্ল্যানটা ছিল ঈশার। এটা ওদের অনেক দিনের প্ল্যান।আমি রাতের বেলায় যখন ছাদে হাঁটাহাঁটি করছিলাম ।তখন তিনজন মিলে গেট খুলে বেরিয়েছিল। কিন্তু আমাকে দেখে আবার তিনজনেই ভিতরে ঢুকে গিয়েছিল। তিন জনের মধ্যে একজন হল ঈশার বাবা ,একজন ঈশান, আর ঈশা। আমি যখন নিচে খেতে গিয়েছিলাম। ঠিক তখনই সুযোগ বুঝে আমার বাড়ির দুয়ারে কার্তিক রেখে গিয়েছিল ।তবে কার্তিকটা রেখেছিল ঈশার বাবা। সকাল বেলায় সকলেই আমার খুব পিছনে লাগছিল। ঈশার বাবা থেকে শুরু করে প্রত্যকে।
আমি যখন সকাল বেলায় উঠে মামাদের কাছে ফোন করি, পূজোর বাজার করবার জন্য। তখন মেজ মামা আমাকে বলছে ঈশার বাবা নাকি দুর্গা পূজোর সময় থেকেই মামাকে বলে রেখেছিল। এবার তোকে কার্তিক পুজোয় খুব ভালো করে খাওয়াবো। শাশুড়ি মা যখন ফোন করে নিমন্তন্ন করছিল ।আমার মামা তো হেসেই পাগল।যাইহোক কাকু কার্তিক ফেলে খুব ভালো করেছে। আমার শাশুড়ি মা খুব আনন্দ পেয়েছে। সকালবেলা থেকেই পুজোর তোড়জোড় করতে হবে। দিনের দিন সবকিছু ব্যবস্থা করা সত্যিই খুবই অসুবিধা। আবার আমার কার্তিক অনেক কিছুই খেতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা সেই রকম কোন কিছুই আয়োজন করতে পারিনি। আমার স্টিমিটের অধিকাংশ সদস্য হয়তো জানে আমার এ বছরে জেঠু মারা যাওয়ার কারণে আমাদের পুজোর কাজকর্ম করতে বারণ আছে। কিন্তু আমার বাড়িতে যে কার্তিক ফেলে গেল সে জেনে শুনেই কার্তিক রেখে গেছে।
তাই এ বছরে মামাদের দিয়ে কোনরকম বাজার দোকান করিয়ে আমার কার্তিককে পুজো করা হয়েছিল। কার্তিক পুজো করতে বেশ অনেক কিছুই লাগে। আবার কার্তিক পুজোয় নাকি কার্তিকের দিদাকে ও থাকতে হয়। আমার মা কার্তিক পুজোর আগের দিন বাড়ি গিয়েছিল। সকাল বেলায় আবার মাকে ফোন করাতে আমার মা ছুটতে ছুটতে চলে আসে। মেয়ের বাড়িতে কার্তিক ফেলেছে সেই আনন্দে। সকলে মিলে পুজো জোগাড় করা শুরু করে দিয়েছিলাম। পরবর্তী পোস্টটি পুজোর গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
আজ এইখানেই শেষ করছি। আবার অন্য কোন গল্প নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
আমি খেয়াল করে দেখছি যে দিদি আপনি প্রতিটা পূজায় খুব মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। এই পূজাটাও ছোট আয়োজনের মধ্য দিয়েও খুব ভালোভাবেই সারতে পেরেছেন।
ধর্মপ্রাণ মানুষরাই সব সময় চেষ্টা করে সাধ্য মতো ইবাদত করতে যাইহোক পূজোর আনন্দময় দিন সম্পর্কে আমাদের কাছে উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Welcome 🤗