দ্বিতীয় দিন জগদ্ধাত্রী প্রতিমা দর্শন

in Incredible India8 days ago

নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই খুব ভালো আছেন। আজকে আবারো জগদ্ধাত্রী পুজোর পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি আপনাদের মাঝে।

IMG20241111140908.jpg

আমি আর দিদা

রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের শহর কৃষ্ণনগরে এখনো চলছে জগদ্ধাত্রী পূজার রমরমা। আজ মা জগদ্ধাত্রী দ্বিতীয় বিসর্জন। সবকিছুই আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব। আজকে শেয়ার করব আপনাদের মাঝে আমার পরিবারকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার গল্প। আপনারা হয়তো আমার পোস্টে শুনেছেন জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় প্রত্যেক বাড়িতেই আত্মীয়-স্বজনরা আসেন। আমার মামার বাড়িতেও আমার মা ,বোন প্রত্যেকেই এসেছে। বোনদের নিয়ে ঠাকুর দেখার গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। কিন্তু আমার দিদার বয়স হয়েছে ।এমনকি শরীরে বিভিন্ন রোগের বাসা বেঁধেছে। তাই দিদা একা একা একদমই কোথাও যেতে পারে না। এমনকি বেশ অনেকগুলো বছরই দিদাকে ঠাকুর দেখতে নিয়ে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। দাদু বেঁচে থাকাকালীন প্রত্যেক বছর দিদাকে ঠাকুর দেখতে নিয়ে যেতো। দিদার সেই কথা গুলোই মনে মনে ভাবে আর আমাদের বলে।

IMG_20241112_213220.jpg

ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া

তাই এই বছরে ঠিক করেছিলাম দিদাকে নিয়ে কিছু ঠাকুর দেখতে বের হব। পুজোর সময় সব রকম বাদ্যযন্ত্র এ ছাড়া মাইক , বিভিন্ন ধরনের বাজনা সবকিছুই প্রত্যেকটি মন্ডপে মন্ডপে বাজে ।এইসব আওয়াজ দিদা সহ্য করতে পারবে না বলে তাই ভেবেছিলাম রাত দুটোর সময় ঠাকুর দেখতে যাব। কিন্তু আমাদের টোটো ওয়ালার শারীরিক অসুবিধার কারণে আগের দিন রাত্রে বেলায় ঠাকুর দেখতে যেতে পারিনি। সকাল বেলার নিজের পাড়ার পুজো শেষ হবার পর দুপুর দেড়টা নাগাদ আমি দিদা ,আমার মা, বোনের মেয়ে ,মামার মেয়ে ,আমার বর আর কাকা শ্বশুরের ছেলেকে নিয়ে বেরিয়েছিলাম ঠাকুর দেখতে।আগের দিনকেই শ্বশুর ,শাশুড়িকে ঠাকুর দেখিয়ে নিয়ে এসেছিলাম। তাই আমাদের সাথে পরের দিন শ্বশুর-শাশুড়ি ঠাকুর দেখতে বের হয়নি।

IMG20241111155937.jpg

আমি আর বুনু

আমার মা প্রত্যেক বছর মামার বাড়িতে ঠাকুর দেখতে আসে। কিন্তু ঠাকুর দেখতে বের হতে একদমই চান না ।এ বছরে আমি জোর করে ঠাকুর দেখতে নিয়ে গিয়েছিলাম। দিনের বেলাও নো এন্টি থাকার কারণে বেশ অসুবিধাই হচ্ছিল। কারণ পূজোর পরের দিনকে ঘট বিসর্জনের জন্য নো এন্ট্রি থাকে। ঘট বিসর্জনের গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। ঘট বিসর্জনে ও বেরোয় এক বিশাল শোভাযাত্রা। যাই হোক প্রত্যেককে নিয়ে দুপুর রোদের ভিতরেই কৃষ্ণনগরের অধিকাংশ ঠাকুর দেখে ফেলেছিলাম। সমস্ত ঠাকুর দেখতে দেখতে প্রায় সন্ধ্যা নেমে এসেছিল।

IMG20241111140902.jpg

আমি আর মা

আমাকে দেখে তো সকলেই খুব অবাক হচ্ছিল। কারণ আমি আগের দিন এত হাঁটাহাঁটি করে আবার পরের দিন ঠাকুর দেখতে বের হয়েছি। আবার রাত্রে বেলায় ভাসান দেখতে যাব। জগদ্ধাত্রী পূজার সময়টা আমার কাছে ভীষণ আনন্দের। আমি সমস্ত ঠাকুরের ভিডিও লিংক এর মাধ্যমে শেয়ার করেছি ।আপনারা চাইলে কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী প্রতিমা ও প্যান্ডেল দর্শন করতে পারেন। তবে আমরা যেহেতু পূজোর পরের দিন ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলাম। তাই সমস্ত প্যান্ডেল ভাঙ্গা শুরু হয়ে গিয়েছিল। সমস্ত প্যান্ডেল না ভাঙ্গলে প্রতিমা গুলি মন্ডপ থেকে বের করতে অসুবিধা হবে। কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজো সমস্ত কিছু আয়োজন মাত্র একটা দিনের জন্য ।একটা দিন পূজো হয়ে গেলেই আবার সমস্ত কিছু এক-নিমেষের মধ্যে ভেঙে ফেলা হয়।


যাইহোক আজ মা জগদ্ধাত্রী দ্বিতীয় বিসর্জন। সবকিছুই আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব। আজ এখানে শেষ করছি ।সকলে ভালো ।থাকুন সুস্থ থাকুন।

Sort:  
Loading...
 7 days ago 

মানুষের যখন বয়স হয়ে যায় তখন অনেক কিছু থেকে তারা বঞ্চিত হয়ে যায়। আপনার দিদার এখন অনেক বয়স হয়েছে সে হয়তোবা অনেক কিছু মিস করে। কারণ সে এখন নিজের মন মতো কোথাও যেতে পারে না। এটা খুবই ভালো কাজ করেছেন আপনার দিদা কে নিয়ে আপনারা ঠাকুর দেখতে গিয়েছেন । এবং সাথে আরও অনেক ছোট ছোট ভাই বোনেদের নিয়ে গিয়েছেন এবং আপনার হাসবেন্ড ও গিয়েছে এটা দেখে ভালো লাগলো।যাই হোক সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।