The Diary Game: 7th September, 2021 || A diary of a busy day ||
আসসালামু আলাইকুম!!
- আজ সোমবার,
- ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ইং.
সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন,
আশা করছি আপনারা সবাই যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সবাই নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনায় ব্যক্ত করি সবসময়! আজ আমি সবার সাথে আমার দিনলিপি শেয়ার করবো। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।
সকাল
আজ তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙে গেলো। ঘুম থেকে উঠে সাধারণত মোবাইল চেক করি। কোন নোটিফিকেশন এসেছে কি না। যথারীতি তাই করলাম। এর পর বারান্দায় এসে দাঁড়ালাম। সকালের শুভ্রতা যেন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। ব্যস্ত এই শহর অনেক টাই নীরবতা পালন করছে।
আমাদের বারান্দায় অনেক ধরনের গাছ লাগলো আছে। আমার প্রিয়তমা অনেক যত্নে এই গাছ গুলোকে বড় করছেন। অনেক ধরনের ফুল গাছ, ক্যাপসিকাম গাছ, গোলাপ, বেইলি ফুল অন্যতম। আজ লক্ষ্য করলাম ক্যাপসিকাম গাছে ২ টা ক্যাপসিকাম ধরেছে যদিও দেখতে মরিচের মতো। ফুল গাছে ফুল ফুটেছে, যা দেখতে অসাধারণ সুন্দর। আমি অনেক গুলো পিকচার তুললাম।
এই সব করতে গিয়ে অলমোস্ট সকাল ৮ বেজে গেলো। ফ্রেশ হলাম। নাস্তা করে নিলাম। আজকের নাস্তা নুডলস আর ডিম অমলেট। ডিম অমলেট আমাকেই করতে হয়েছে বিকজ প্রিয়তমা আজ ব্যস্ত তাকে তাড়াতাড়ি বের হতে হবে। নাস্তা শেষ করে চা খেলাম। অনেক টা সময় মোবাইল ইউজ করলাম। মেসেঞ্জার, ফেইসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইস্টিমিট চেক করলাম।
সকাল ৯ টায় অফিসের উদ্দেশ্যে বের হলাম। বাসার সামনে থেকে রিকশা নিয়ে অফিস পৌছে গেলাম ৯ঃ৩০ মিনিট এর মধ্যে। অফিস মানেই ব্যস্ত। অফিসে পৌছে হাল্কা ফ্রেশ হয়ে নিলাম। নিজের ডেস্কে বসে পিসি অন করে নিলাম। এর মাঝে সাপোর্ট স্টাফ চা দিয়ে গেলো চা খেলাম। এর পর শুরু হয়ে গেলো কর্মব্যস্ততা।
দুপুর
সাধারণত ওয়ার্কিং ডের দুপুর মানেই কর্মব্যস্ততায় ভরপুর। সারাদিন কেটে যায় অফিসের নান ব্যস্ততায়। কখন যে সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে যায় বুঝাই যায় না, আজো তাই হলো। আজ লাঞ্চ করলাম দুপুর ৩ টার সময়। প্রিয়তমা বাসা থেকে লাঞ্চ রেডি করে দেন। আজকের আয়োজন গরুর মাংস, ভাত, ডাল। লাঞ্চ শেষ করে টেরেসে গিয়ে একটু মধ্য দুপুরকে উপভোগ করলাম। যান্ত্রিক শহরের মধ্য দুপুর। ব্যস্ততায় যা থাকে ভরপুর।
ফিরে এসে সাপোর্ট স্টাফ কে বললাম চা দিতে, চা খেলাম শুরু হয়ে গেলো কর্মব্যস্ততা।
বিকেল
সাধারণত বিকেল আমাদের দিনের শেষ হিসেবে প্রতীয়মান হয়। বিকেল আমাদের জানান দেয় যে আজকের দিনটা শেষ। কারণ কর্মচঞ্চল দিনের পর বিকেলের আগমন ঘটে। কর্মব্যস্ত দিনের বিকেল আমাদের জীবনে ক্লান্তি নিয়ে আসে। সারাদিন এর কাজের চাপের ক্লান্তি ফুটে উঠে। কর্মব্যস্ত দিনের বিকেল তেমন একটা উপভোগ করার সুযোগ হয় না। অফিস শেষ করে বাসায় যাওয়ার মাঝেই বিকেল গাড়ি সন্ধ্যা নেমে আসে। আজকেও তাই হলো।
সন্ধ্যা
গোধূলির রক্তিম আভা ছড়িয়ে নেমে আসে সন্ধ্যা। পৃথিবীর সকল ব্যাস্ততাও যেন শেষ হয়ে একরাশ ক্লান্তি নিয়ে সন্ধ্য নেমে আসে। আর আমিও সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে বাসায় ফিরে আসলাম। অফিস থেকে বের হলাম প্রায় সন্ধ্যা ৬ঃ৩০ মিনিট এর দিকে। বাসায় ফিরে আসলাম প্রায় ৭ঃ০০ সময়। বাসায় এসে ফ্রেশ হলাম। নামাজ পড়লাম। কিছুক্ষন অপেক্ষা করার মাঝেই আমার প্রিয়তমা নাস্তা বানিয়ে নিয়ে আসলো নাস্তা খেলাম। আজকের নাস্তা টা মজার ছিলো। ছোট পেয়াজু আর শুকনো মুড়ি। যা খেয়ে সত্যি অনেক ভালো লাগে। নাস্তা খাওয়া শেষ করে চা খেলাম।
যেহেতু সারাদিন ব্যস্ততার মাঝে ছিলাম তাই মোবাইল ইউজ করার সুযোগ হয়নি। তাই আব্বুর আম্মুর সাথে কথা বললাম।সবার খোঁজ খবর নিলাম। অনেক ক্ষন ধরে মোবাইল ইউজ করলাম।
আমার বই পড়তে ভীষণ ভালো লাগে তাই যখনি সুযোগ পাই বই নিয়ে বসি। আজ বসলাম শাহাদাৎ হোসাইন এর একটা বই "নিঃসঙ্গ নক্ষত্র"। ভালোই লাগছে পড়তে। পড়তে থাকলাম।
রাত
বই পড়তে গিয়ে কখন যে পুরো কাহিনীর মাঝে ঢুকে গেলাম আর এর মাঝে কখন যে ১০ বেজে গেলো বুঝতে পারিনি। প্রিয়তমা এসে জানান দিলো ডিনার করতে হবে। তাই তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে এশার নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ শেষ করে ডিনার করলাম। আজকের আয়োজন ইলিশ মাছ ভাজা, সবজি, ডাল, ভাত। ডিনার শেষ করে ঘুমানোর প্রস্তুতি। আর এই ভাবেই, জীবন থেকে হারিয়ে গেলো আরো একটা দিন।
প্রবাহমান জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে ক্রিয়েট হয় নানান স্মৃতি। ডায়েরির পাতায় সব হয়তো ফুটে উঠে না,হয়তো তা সম্ভব ও নয়! নানান স্মৃতি বিস্মৃতির মাঝেই জীবন এগিয়ে যায়। সময় যখন যেভাবেই যাক না কেন হাসিমুখে গ্রহণ করতে পারলেই জীবন সুন্দর! আলহামদুলিল্লাহ!
নিরাপদ থাকুন!! সুস্থ থাকুন!!
সবার জন্য শুভ কামনা!!
ধন্যবাদান্তে
@msi-shishir
ভালো পোস্ট করেছেন
থ্যাংকস ডিয়ার!!