দুধ ডিমের বিকল্প হিসেবে কেরামেল পুডিং বানানোর রেসিপি
পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করছি
![]() |
|---|
আমাদের বাসায় যাদের ছোটবাচ্চা আছে তারা অধিকাংশই একটা কমন সমস্যায় ভুগে থাকি। বাচ্চা ডিম খেতে চায় না, গরুর দুধ খেতে চায় না। আমার মনে হয় ৭০% প্যারেন্টস এই সমিস্যায় ভুগে থাকে। তবে খুব সহজেই এই সমস্যার সমাধান পেতে পারেন যদি আপ্নারা আমার আজকের পোস্ট সম্পূর্ণ অব্দি পড়েন।
ডিম ও দুধের বিকল্প হিসেবে যদি পুডিং কে বেছে নেন তাহলে কেমন হয়? দুধ ও ডিমের সব পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ রেখে বাচ্চাকে যদি পুডিং দেন তাহলে দেখবেন অনায়াসে আপনার বাচ্চা সব টুকু সাবাড় করে দিবে।
![]() |
|---|
আমি আজকে এই পুডিং এর রেসিপি নিয়ে এসেছি। প্রথমেই এই পুডিং তৈরি করতে কি কি উপকরণ লাগবে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করি।
| উপকরণ | পরিমাণ |
|---|---|
| ডিম | ৪ টি |
| গরুর দুধ | ১ কেজি |
| চিনি | ৪ চামচ |
| এলাচ | ২-৩ টি |
| ঘি | সামান্য পরিমাণ |
প্রস্তুত পদ্ধতিঃ এবার ধাপে ধাপে পুডিং বানানোর রেসিপি শেয়ার করা যাক
ধাপ-১
![]() |
|---|
পুডিং এর প্রাণ কেরামেল। কেরামেল বানানো খুবই সহজ। প্রথমে একটি পাত্রে পানি ঘি আর চিনি এমনভাবে জাল করতে হবে যেন পাত্রের সবদিক সমানভাবে জাল হয় তারপর চিনি ফুটে লাল হয়ে আসলে নামিয়ে নিতে হবে। বাকি রঙ এমনি হয়ে যাবে চুলাই বেশি রাখলে কেরামেল পুরে তিতা হয়ে যাবে। এবার কেরামেল সেট হবার জন্যে একটু অপেক্ষা করতে হবে।
ধাপ-২
এবার একটি বাটিতে ৪ টি ডিম নিবো। আমি যেহেতু বড়সড় পুডিং বানাবো তাই ৪ টি নিলাম।
![]() |
|---|
আপ্নারা ছোট পুডিং বানালে আরো কম নিলেও চলবে। এবার সেখানে চিনি দিয়ে কাটাচামচ দিয়ে ফাটিয়ে নিবো। যতক্ষণ না চিনি ভালভাবে গলে যায়।
![]() |
|---|
ধাপ-৩
![]() |
|---|
এবার খাটি গরুর দুধে ২ টি এলাচ দিয়ে গাড় করে জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করে নিবো।২ টি এলাচ ফাটিয়ে দিবো এতে ডিমের আষটে গন্ধ থাকবে না। এর পর দুধ নামিয়ে কুসুম গরম অবস্থায় ঠান্ডা করে নিবো
ধাপ-৪
![]() |
|---|
এই ধাপে এসে ফাটানো ডিমের সাথে গরুর দুধ মিশিয়ে নিবো। এবার যে পাত্রে কেরামেল সেট করে নিয়েছি সেখানে এই দুধ ও ডিমের মিশ্রণ একটি ছাকনি দিয়ে ছেকে ঢেলে নিবো।
ধাপ-৫
![]() |
|---|
এখন একটি বড় পাত্রে পানি নিয়ে চুলায় বসিয়ে দিবো। পুডিং এর পাত্র বসানোর জন্যে আমি একটি স্ট্যান্ড ইউজ করেছি। এবার এই স্ট্যান্ডের উপর পুডিং এর পাত্রটি বসিয়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিবো।
![]() |
|---|
৩০ মিনিট হাল্কা আচে রেখে দিবো। ৩০ মিনিট পর পুডিং এর ভেতর টুথপিক ঢুকিয়ে চেক করে নিবো। যদি টুথপিকে পুডিং না লাগে তাহলে বুঝতে হবে পুডিং রেডি।
ধাপ-৬
এই ধাপে এসে পুডিং নামিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে। এবার পুডিং ৩ ঘন্টা নরমাল ফ্রিজে রেখে দিতে হবে।
![]() |
|---|
ফ্রিজ থেকে বের করে একটি প্লেটের উপর সাবধানে পুডিং ঊল্টিয়ে নামাতে হবে। তাহলেই পেয়ে যাবেন মজাদার রেডি পুডিং
![]() |
|---|
উপস্থাপন
![]() |
|---|
এখন আসি পুডিং এর ফটোগ্রাফি করা নিয়ে। এত মজাদার পুডিং দেখে লোভ সামলানোয় দায় হয়ে পড়েছিল। তারাতারি কিছু ফটো ক্লিক করে একটি চাকু দিয়ে এক অংশ কেটে নিলাম।
![]() |
|---|
আমার ছোট মেয়ে অলরেডি খাবার জন্যে বাহানা ধরেছে। আর কিছু ছবি ক্লিক করে আমরা টেস্ট করা শুরু করলাম এবং টেস্ট করতে গিয়েই অর্ধেক সাবাড় করে দিলাম।
সত্যি কথা বলতে আমার পুডিং টা অসম্ভব মজাদার হয়েছিল। আমার মেয়ে যেখানে ডিম দেখে ১০০ হাত দূরে থাকে সে কিনা ৫-৬ পিছ খেয়ে ফেলেছে। আপনারাও নিজেরা বাসায় চেষ্টা করে দেখতে পারেন, একদম খুব ই সিম্পল রেসিপি।
আজকে এখানেই শেষ করছি। আমার রেসিপি কেমন লেগেছে অবশ্যই মতামত জানাবেন। ভালো থাকবেন সবাই।














TEAM 1
Congratulations! This comment has been upvoted through steemcurator04. We support quality posts , good comments anywhere and any tags.@edgargonalex thanks a lot for supporting
আসলেই সত্যি আজকে আপনি আমাদের সাথে পুডিং তৈরি করার রেসিপিটা শেয়ার করেছেন।আমিও একবার ট্রাই করেছিলাম, পুডিং তৈরি করার জন্য কিন্তু সঠিকভাবে হয়নি।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, অসাধারণ ভাবে উপস্থাপন করার জন্য এই পুডিং তৈরি করার রেসিপিটা। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ