গ্রামের নারীরা প্রাচীন পদ্ধতিতে ধান সেদ্ধ করে তৈরি করে পুষ্টিকর চাল
গ্রামের নারীরা সব ধরণের কাজ পারে। সেখন থেকেই তারা বংশ পরম্পরায় শিখেছে ধান সেদ্ধ করে চাল তৈরি করা। অতীতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে তরা তৈরি করতো পুষ্টি সমৃদ্ধ চাল।
সেই চাল খেয়েই তারা বছর শেষ করত। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ এ দেশে কৃষকরা মাঠে ধান চাষ করে সেই ধানের চাল খেয়েই তারা তাদের দিনাতিপাত করত। নবান্নের পর তারা এ ভাবে ধান সেদ্ধ করে পুষ্টিকর চাল খেত। এ জন্য গ্রামের কৃষকদের চালের জন্য বার্তি কোনো অর্থ ব্যায় করতে হয় না। আমাদের সামজে আগে ঢেকিতে বানা চাল পাওয়া যেত।
কিন্তু বর্তমানে এটি আর পাওয়া যায় না। কিন্তু প্রাচীন কাল থেকেই গ্রামের নারীরা এই পদ্ধতিতে চাল তৈরি করত। গ্রামের নারীরা এখনো এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।গ্রামের মেয়েরা বাড়ির আঙিনায় কিংবা বাড়ির সামনের ফাকা স্থানে তারা ইট কিংবা অল্প করে মটি খুরে সেখানে অস্থায়ী ভাবে চুলা বানিয়ে সেখানে ধান সেদ্ধ করে। গ্রামের গাছ কিংবা বাঁশের পাতা বা ধনের খরে অবশিষ্ট অংশ দিয়ে এগুলোতে আগুন দেওয়া হয়। আবার সেই ধান সেদ্ধ করা পর রোদে শুকাতে হয়। শুকানোর কয়েক দিন পরে সেগুলো স্থানীয় ধান ভাঙ্গার মেশিনে নিয়ে গিয়ে ধান বানিয়ে আনে। এতে তৈরি হয় পুষ্টিকর চাল।
এই ধান সেদ্ধ করার ঐতিহ্যটি গ্রাম বাংলার নারীরা এখনো ধরে রেখেছে। কিন্তু বর্তমানে অটো রাইসমিলে তৈরি হয় চাল। বিভিন্ন তার নাম,, কিন্তু সেগুলোতে সেদ্ধ করা চালের মতো পুষ্টি পাওয়া যায় না। সেগুলো মানুষের কোনো উপকারই করে না।
আগে গ্রাম গুলোতে নবান্নের পর ধান সেদ্ধ করার ধুম পরত। কিন্তু গ্রাম বাংলার এই চিরো চেনা দৃশ্যটি আর তেমন চোখে পরে না। সকলে রেডিমেট খেতে অভস্ত তাই চালের বস্তা কিনে কিনে খায়। এটি কিন্তু একদিকে ব্যায় বহুল। অথচ গ্রামের গরিব কৃষকদের সারা বছরে চালের কথা ভাবতে হয় না। তারা চালের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকে। ধান সেদ্ধ করার এ ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিটি অনেক পুরাতন। গ্রামের নারীরা বংশপরম্পরায় এগুলো শিখেছে। তারাই এই ঐতিহ্যটি ধরে রেখেছে। কিন্তু আমাদের গ্রাম গুলো থেকে ধিরে ধিরে হারিয়ে যাচ্ছে ধান সেদ্ধ করা। আবার অনেকে এটিকে ঝামেলা মনে করে তাই ধান বিক্রয় করে দিয়ে চাল কিনে খায়। আবার চিকন চালে জন্যও অনেকে এই ধান সেদ্ধ করে না। কিন্তু মোটা চালটিকেই এনালাইসেস করে তৈরি করে চিকন চাল। আমাদের দেশে কয়েক ধরণের ধান আবাদ হয়। সেগুলোর স্বাদও ভিন্ন ভিন্ন। তবে গ্রাম বাংলার এই সহজ সরল পদ্ধতিতে ধান থেকে সহজের চাল তৈরি করা যায়। আমাদের বাসায় এখনো এ ভাবে ধান সেদ্ধ করা হয়।
Vote for @bangla.witness
@naeem |
---|
বর্তমানে গ্রামের বাড়িতে দেখা যায় ধান সেদ্ধ করে এভাবে শুকাতে। ধান সিদ্ধ নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার পোষ্টের কোয়ালিটি যথেষ্ট উন্নতি হচ্ছে। শুভকামনা রইল ভাই সামনে আরো অনেক ভালো ভালো পোস্ট আমাদের উপহার দিবেন
ধন্যবাদ
ভালোই লাগল আপনার পোস্ট। তবে পোস্ট কোয়ালিটি মোটামুটি ভালোই আছে। আরো ভালো করার চেষ্টা করবেন। ধন্যবাদ ভাই 💝
ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর লিখছেন ভাই ধান সিদ্ধ করার পদ্ধতি। গ্রামের ঐতিহ্য এই ধান সিদ্ধ করা, আপনি অনেক সুন্দর উপস্থাপন করছেন। অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাই
ধন্যবাদ।
ধান সিদ্ধ করার পর সেই সিদ্ধ ধানের পাতিল চুলা থেকে নামানো একটি দুঃসাহসিক কাজ বলে আমি মনে করি তবে যারা এই ধান সিদ্ধর কাজে যুক্ত তারা অনায়াসেই এই পাত্রটি নামিয়ে ফেলতে পারেন। আবার নেটের মধ্যে ধান শুকানোর পদ্ধতিটি আমাদের নতুন আবিষ্কার। এই পদ্ধতিতে ধান শুকানো হলে ধানের কোন অপচয় হয় না। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি করার জন্য।
ধন্যবাদ
আমাদের আগে অনেক ধান সিদ্ধ করে রোদে শুকিয়ে চাল করতে হত। বলতে গেলে আমাদের দুই বাড়িতে বাড়ির বাইরে আবার অন্য মানুষের বাড়িতেও ধান শুকাতে হত। আগের দিন সন্ধা থেকে শুরু হত ধান সিদ্ধের কাজ শেষ হত সকাল হয়ে সারা রাত আমার দাদা-দাদী আর চাচু মিলে ধান সিদ্ধ করতো সেই সিদ্ধ ধান সকালে হতেই রোদে শুকাতে দিতাম সারাদিন মিলে সব শুকানো হলে কিছু ধান বস্তা করে রেখে দিত ভাঙ্গানোর জন্য। আর বাকি ধান আমাদের ধানের মাচায় রাখা হত। পরে সেগুলো ভাঙ্গা হত প্রয়োজন মত। আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।
ধন্যবাদ
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধান সিদ্ধ করে চাল করা এটি হলো সেই প্রাচীনকাল থেকে এক ঐতিহ্য আমাদের দেশের।যার গ্রাম বাংলায় এখনো টিকে আছে।খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
গ্রামে এখন ও মানুষ এই ভাবে ধান সিদ্ধ করে রোদে শুকিয়ে মিলে নিয়ে গিয়ে চাল তৈরি করে। আর এই প্রাচীন প্রথা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। দারুণ একটি পোস্ট করেছেন ভাই আপনি। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ।
প্রচীনকাল থেকে এরকম অনেক মহিলা ধানে পা এবং ধান সিদ্ধ করে আমরা চাল তৈরি করি,কিন্তু এখন এইরকম দৃশ্য গুলো দেখা যায় না, আপনার পোস্ট পরে আমি অনেক কিছু জানতে পারলাম, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আশা করি সামনে আরো ভালো পোস্ট করবেন, ধন্যবাদ ভাই
ধন্যবাদ।
প্রাচীনকাল থেকে মানুষ ধান সিদ্ধ করে চাল তৈরি করে। ধান কিভাবে সিদ্ধ করা হয় তা নিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন ভাই। আমি ছোট বেলা থেকেই এই ধান সিদ্ধ পদ্ধতি দেখতেছি। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ।