|বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী কাঠের শিল্প এবং এর বর্তমান অবস্থা|
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পের মধ্যে কাঠের তৈরি আসবাবপত্র অন্যতম। সময়ের ব্যবধানে বাংলার ঐতিহ্যের তালিকাতেও জায়গা করে নিয়েছে এই শিল্প।
অথচ টেকসই আর দীর্ঘস্থায়ী বলে এখনও গ্রামের মানুষের কাছে এর কদর রয়েছে। বাড়িতে বাড়িতে বাপ দাদার আমলে তৈরি কাঠের তৈরী বিভিন্ন রকমের ব্যবহার সামগ্রী এবং আসবাবপত্র দেখতে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের গাছ রয়েছে। এই গাছের কাঠ দিয়ে এদেশে তৈরি হয়েছে একটি হস্তশিল্প। এই শিল্পটি অনেক প্রাচীন। হস্ত শিল্পের মধ্যেএটি অনেক জনপ্রিয়। কাঠের তৈরি আসবাব পত্র অনেক টেকসই হয়। আমাদের দেশে অতীতের কাঠের তৈরি এ শিল্পটির অনেক কদর ছিলো। আমাদের বাসা-বাড়ি গুলোতে এখনো অনেক কাঠের তৈরি আসবাব পত্র রয়েছে। সেগুলো আজও অনেক ভালো অবস্থায় রয়েছে। কাঠের তৈরি শিল্পের মধ্যে রয়েছে খাট,পালঙ্ক, কেদারা, টেবিল, জলচৌকি, ছোফাসেট কাঠের আলনা, আলমারি, কাঠে ফুলদানি ইত্যাদি অনেক ঐতিহ্যবাহী আসবাব পত্র।
কাঠের তকতা গুলোতে নানান নকশা এবং কারু কাজ করা হয়। এই নকশা এবং কারুকাজে উঠে এসেছে আমাদের অতীত ঐতিহ্য এবং আমাদের ঐতিহাস আমাদের জীবনগাথা। এগুলোর প্রতিটি নকশা এক একটি ঘটনা বা ঐতিহাসকে তুলে ধরে। এরকম অনেক নিদর্শন রয়েছে যেগুলো আমাদের সমৃদ্ধ অতীতকে বর্ননা করতে সক্ষম। বিভিন্ন সভ্যতার নিদর্শন এই সব শিল্পের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি। আমাদের দাদা কিংবা বাবাদের আমলের তৈরি কাঠের তৈরি আসবাব গুলো আমাদের সবার বাসায় রয়েছে। সেগুলো কিন্তু খুবই টেকশই। কিন্তু আজকের দিনে এই কাঠের শিল্প তাদের কদর হারাচ্ছে। এই শিল্পের সাথে জরিত শ্রমিকরা তাদের কর্মসংস্থান হারাচ্ছে। তারা তাদের রুটি রুজির জন্য এই শিল্পটি বেছে নিয়েছিলো কিন্তু আমাদের বর্তমান সময়ে আমরা দেখতে পাই কাঠের এই স্থান দখল করে মিয়েছে স্টিল, পারটেক্স, অটোবির মতো কৃত্রিম কিছু উপাদান।
কিন্তু এই কাঠের শিল্পের পেছনে লুকিয়ে রয়েছে আমাদের সোনালী দিনের অতীত, এগুলো আমাদের দেশের ঐতিহাস এবং এ দেশের ঐতিহ্যকে ধারণ করে রেখেছে। তবে কিছু কিছু গ্রাম অঞ্চলে এখনো কাঠের কাজ এবং এর কারিগরদের দোখা যায়। কাঠের কাজ অনেক যত্নের সাথে করতে হয়। তাই এই শিল্পের বস্তু গুলো তৈরি করতে অনেক সময় লাগে।
বর্তমানে এটি একটি ব্যায়বহুল একটি শিল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
কিন্তু আমাদের এ অতীত ঐতিহ্যটি ধরে রাখতে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা বর্তমানে আধুনিক যুগে বসবাস করছি৷ এ যুগে কোনো কিছুই অসাধ্য নয়। আমরা চাইলের এই প্রাচীন শিল্পটিকে বাঁচিয়ে রাখতে পারি। বহু শিল্প রয়েছে যার নামও আমরা জানি না। আমাদের এর ব্যাপাের সচেতন হতে হবে।
Vote for @bangla.witness
@naeem |
---|
কাঠের হস্তশিল্প আমাদের সকলের গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। আর আমাদের দেশে প্রাই মানুষ এই কাঠের তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহার করে। ধন্যবাদ
এই শিল্প টি আমার বেশ পছন্দের একটা শিল্প। মিস্ত্রিরা তাদের বিশেষ দক্ষতা দিয়ে এমন সুন্দর ডিজাইন তৈরি করে। আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ
কাঠের উপর কারুকাজ করা জিনিসগুলো অনেক সুন্দর হয় ।ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আপনি আপনার আলোচনায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলেছেন। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ফলে তৈরি বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে কাঠ নিয়ে কারুকাজ করা শিল্পের কথা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ।ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
ধন্যবাদ
কাঠের তৈরি হস্তশিল্প নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। কাঠের উপর নকশা করা জিনিসগুলো অনেক সুন্দর হয় ।ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কাঠ মিস্তিরিরা এই কাঠে নকশা তৈরি করে থাকে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ।
ঐতিহ্যবাহী কাঠের তৈরি হস্ত শিল্পের মধ্যে খাট অন্যতম। খাট ঘরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, এই কাঠ মিত্রুিরা অনেক কষ্ট করে জীবন সংগ্রাম করে। আপনি অনেক সুন্দর উপস্থাপন করছেন ভাই অনেক ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
কাঠ শিল্প নিয়ে অসাধারণ লেখছেন ভাই, কাঠের তৈরি জিনিস গুলো দেখতেও খুব ভালো লাগে, যারা কাঠ মিস্ত্রি তারাই শুধু কাঠে অনেক ধরনের নকশা তৈরি করতে পারে,আর এগুলো কাজ হলো ধৈর্যের কাজ,খুব ধৈর্য ধারন ধরে কাজ করতে হয়। আপনার তোলা ছবি গুলো অসাধারণ হয়েছে, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ
মিস্তিরা অনেক পরিশ্রম দিয়ে তৈরি করে। অনেক ডিজাইন তৈরি করে। দেখতে অনেক ভালোই লাগে।
ধন্যবাদ
কাঠের শিল্প বিশেষ করে কাঠ দিয়ে তৈরি আসবাবপত্রের ব্যবহার বহু আগে থেকেই চলে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এটি ব্যবহৃত হবে। তবে বর্তমানে মানুষ লোকাল কাঠমিস্ত্রি দিয়ে আসবাবপত্র বানানোর পরিবর্তে দোকান থেকে ভালো ব্র্যান্ডের ফার্নিচার কিনে নিয়ে আসেন। তাই দিনে দিনে কাঠমিস্ত্রির সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ।
কাঠ দিয়ে আমাদের অনেক ঐতিহ্যবাহী জিনিসপত্র বানানো হয়।যা বর্তমানে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। খুব সুন্দর পোস্ট করেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ।