শীতের সকালে ঝটিকা শফরে
নমস্কার সবাইকে।কেমন আছেন সবাই।আশা রাখি ঠান্ডায় সবাই সুস্থ আছেন।এবারের ঠান্ডা টা বেশ অসহনীয় হয়ে পড়েছে।রোদের যেন দেখাই মেলে না।
শীতকাল মানেই ঘুরাঘুরি আর খাওয়া দাওয়া র সময়। কিন্তু যেহেতু কুহু এখন ও অনেক ছোট তাই ওকে নিয়ে কোথাও যাওয়ার আগে সাতপাঁচ ভাবতে হয়।কিছু দিন আগে আমাদের বাড়িতে আমার দাদা,বৌদি রা বেড়াতে এসেছিলেন।সেটা অবশ্য আপনাদের সাথে শেয়ার ও করেছিলাম।ওরা সবাই যখন এসেছিল ঠান্ডা টা এতটাও ছিল না।আর তাই ভাবলাম সবাই মিলে কোথাও থেকে ঘুরে আসি।যেখানে দিন যেয়ে দিনে আসা যায়।
কোথায় যাব ভাবতে ভাবতে দাদা বলল দেখি তো গুগল মেপে সার্চ দিয়ে।আশেপাশে কোন প্লেস আছে যাওয়ার মতো।তারপরই পেয়ে গেলাম কাঙ্খিত লোকেশন। মেঘাই বাঁধ নামে ধুনট উপজেলায় একটা জায়গা রয়েছে। মোটামুটি ভালোই পিকনিক স্পটের মতোন করেছে যায়গাটা।
জায়গা ঠিক করার পর পরদিন খুব সকালে বেড়িয়ে পড়লাম আমরা অটোরিকশা নিয়ে।মোটামুটি ১ঘন্টার মাঝে আমরা পৌঁছে গেলাম।ওখানে পৌঁছে আমরা অনেক লঞ্চ ও নৌকা দেখতে পেলাম।নদীতে অনেক জল ও ছিল। কুহু তো অনেক খুশি। অনেক দিন পর আমরা ও সবাই মিলে অনেক মজা করলাম।
বাড়ি থেকে কিছু শুকনো খাবার নিয়ে গেসলাম আমরা।সেগুলো খেয়ে ওখানে কিছু টি স্টল দেখলাম।সেখানে সবাই মিলে লাল চা খেলাম।তারপর একটা পেয়ারা মাখার দোকান দেখতে পেয়ে কুহু বায়না করল পেয়ারা খাবে।ওকে পেয়ারা কিনে দিয়ে আমরা কিছু ফটোসেশান করে নিলাম।
দুপুরের মাঝামাঝি আমরা সবাই মিলে ঘোরাঘুরি শেষ করে আবার বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।
আজ এই পর্যন্ত লিখছি।সবাই ভালো থাকবেন, সুস্হ থাকবেন।
শীতকালে ঘোরাঘুরি করতে ভালোই লাগে তবে এবার যে পরিমাণ শীত তাতে কম্বলের নিচ থেকে বের হওয়াই দায়।সুন্দর সময় কাটিয়েছেন যা বুঝলাম।
ফটোর লোকেশন বোধয় দিতে ভুলে গেছেন আপু,দিয়ে নিয়েন।ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টে এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য। এখন তো অনেক টা শীত পড়েছে আমরা গিয়েছিলাম যখন শীতের তীব্রতা অনেক কম ছিল। আর লোকেশন টা মেনশন করেছি।জায়গার নামটা হল মেঘাই বাঁধ।
সবাই মিলে চমৎকার মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আমিও ঘুরতে ভীষণ ভালোবাসি। ঘুরলে শরীর ও মন দুটাই ভালো থাকে। সবাই মিলে কলমি শাকের ফুল কানে দিয়েছেন। দেখতে অসাধারণ লাগতেছে। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ও।সত্যিই খুব দারুণ কিছু সময় পার করেছি সেদিন। শীত টা খানিকটা কমলে সবাই মিলে আবারও কোথাও যাওয়ার প্ল্যান করব ভেবে রেখেছি সবাই। ঘুরলে সত্যিই শরীর ও মন সুস্থ থাকে।
ফ্যামিলির সাথে কোথাও ঘুরতে গেলে খুবই ভালো লাগে। শীতকালে সবাই ঘুরতে বের হয় আর ভালোও লাগে। বেশি শীতের মধ্যে ঘোরাঘুরি একটু কষ্টদায়ক হয়ে যায় আমরা গতকাল সন্ধ্যায় ঘুরতে গেছিলাম এতো পরিমাণে শীত ছিলো যে পুরো শরীর শীতে জমে যাওয়ার মতো অবস্থা তাই খুব বেশি সময় না থেকে তাড়াতাড়ি করে বাসায় ফিরে আসি।কুহু মামনির জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ❤️ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
কুহু র পক্ষ থেকে আপনাকে ও অনেক অনেক ভালোবাসা। শীতকাল আসলেই মানুষের মনে ঘুরতে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।কিন্তু বেশি শীত পড়লে অবশ্য অন্য কথা।তখন লেপ কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে বসে থাকা ছাড়া অন্য সবকিছুই যেন আলসেমি।
ভালোই হয়েছে সবাই মিলে ম্যাপ দেখে ঘুরতে বেরিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ি থেকে কিছুটা খাবার নিয়ে এসেছেন এটা আরো ভালো হলো। পেয়ারা খাওয়ার সময় আপনার মেয়েকে দেখতে ভীষণ মিষ্টি লাগছে। ওর ফটোগুলো ভীষণ সুন্দর হয়েছে। আপনি পোস্টে আরো কয়েকটা ট্যাগ বাড়িয়ে দিতে পারেন আপু। তাহলে মনে হয় আরো ভালো হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে ও আপু আমার পোস্টে এত সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য। আর আপনি ঠিক ই বলেছেন আমার দাদা আসলেই খুব স্মার্টলি কাজ টা করে লোকেশন টা ঠিক করেছেন।আমাদের খুব কাছেই ছিল জায়গাটা।কুহু র তরফ থেকে ও অনেক ভালোবাসা নিবেন।আর পরবর্তী পোস্ট থেকে আমি অবশ্যই ট্যাগের বিষয় টি খেয়াল রাখবো।
@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 7/8) Get profit votes with @tipU :)
শীতের দিনে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে তবে প্রচন্ড শীতের মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে মোটেও ভালো লাগেনা। আপনার দাদা বৌদিদের সঙ্গে খুবই চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আসলে বর্তমান সময়ে google ম্যাপ আমাদেরকে অনেক বেশি সাহায্য করে কোথাও যেতে। আপনার দাদা অনেক চালাক চতুর একজন মানুষ দেখেই বোঝা যাচ্ছে হাহাহা গুগল ম্যাপ দেখেই আপনাদেরকে ঘুরতে নিয়ে গেল। সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করার পাশাপাশি চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফিও তুলে ধরেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য।আর আপনি ঠিক কথাই বলেছেন প্রচন্ড ঠান্ডায় বাইরে ঘোরাঘুরি করতে একদম ভালো লাগে না।আর সেটা উচিত ও না মনে হয় কেননা তখন মজার চেয়ে সাজাই বেশি মনে হয়।